ক্যামেরুনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে একটি বোর্ডিং স্কুল থেকে অপহৃত শিশুরা মুক্তি পেয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, মঙ্গলবার তারা মুক্তি পায়। তবে এখনো ৩ জন অপহরণকারীদের হাতে আটক আছে। খবর বিবিসি ও সিএনএন।
আঞ্চলিক রাজধানী বামেনদার প্রেসবাইটেরিয়ান সেকেন্ডারি স্কুল থেকে সোমবার স্কুলটির অধ্যক্ষ এবং তিন শিক্ষকসহ ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সী অন্তত ৭৯ শিশু অপহৃত হয়। ক্যামেরুনের যোগাযোগমন্ত্রী ইসা বাকারি বলেন, অপহৃত ৭৯ জন স্কুল শিক্ষার্থীই মুক্তি পেয়েছে।
অপহরণকারীদের সঙ্গে আলাপ আলোচনা চালানো এক পুরোহিতও শিক্ষার্থীদের মুক্তির খবর নিশ্চিত করেছেন। স্কুলের প্রিন্সিপাল, একজন চালক এবং শিক্ষক এখনো মুক্তি পাননি বলে তিনি রয়টার্সকে জানান।
সরকার ও বিচ্ছিন্নতাবাদীরা এ ঘটনার জন্য একে অপরকে পাল্টা দোষারোপ করছে। স্কুলটির অপহৃত শিশুদের একটি ভিডিও অনলাইনে শেয়ার হওয়ার পর এটি নিয়ে ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে।
অপহৃত শিশুদেরকে কোন পরিস্থিতিতে মুক্তি দেওয়া হয়েছে তা ষ্পষ্ট জানা যায়নি। তবে তাদেরকে বাবা-মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার আগে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
শিশুদের খুঁজে বের করতে সেনা মোতায়েন করা হয়।
ক্যামেরুনের বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষ ফরাসিতে কথা বলে, ফরাসি নিয়ম-কানুন অনুসরণ করা হয় এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফরাসি ভাষা প্রচলিত। সরকারও ফরাসি ভাষাকে অধিক গুরুত্ব দেয় এবং সরকারি উচ্চপদে ফরাসি ভাষীদের নিয়োগ দেওয়া হয়। ইংরেজি ভাষীরা সেখানে বৈষম্যের শিকার হয়। দেশটির মোট জনসংখ্যার ২০ শতাংশ ইংরেজিতে কথা বলে।
টানা ৩য় বার মার্কিন কংগ্রেসম্যান হলেন বাংলাদেশী
ইনকিলাব ডেস্ক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে নিউ হ্যাম্পশায়ার অঙ্গরাজ্য থেকে পার্লামেন্ট মেম্বার হিসেবে আবারও বিজয়ী হয়েছেন প্রবাসী বাংলাদেশি আবুল খান। এবার নিয়ে টানা তৃতীয় বারের মতো নির্বাচিত হলেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে রিপাবলিকান দলের হয়ে ‘স্টেট রিপ্রেজেন্টেটিভ’ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন আবুল। দলটির হয়ে ডিস্ট্রিক্ট-টোয়েন্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। রিপাবলিকান দলে একমাত্র বাংলাদেশি হিসেবে আবুল খান বেশ উচ্চপর্যায়ে রয়েছেন। এছাড়া রিপাবলিকানদের হয়ে তিনিই একমাত্র নির্বাচিত বাংলাদেশি।
মঙ্গলবার রাতে নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর বরিশাল বিভাগের পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া থানার সন্তান আবুল খান বলেন, ‘সকলের দোয়া চাই মার্কিন প্রশাসনের কেন্দ্রবিন্দুতে ওঠার জন্য। প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সার্বিক কল্যাণে অবদান রাখতেও আমি বদ্ধ পরিকর।’
বিরোধী দলের নেত্রীকে স্পিকার পদে চান ট্রাম্পও!
ইনকিলাব ডেস্ক
হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটেভিসে ডেমোক্র্যাটদের জয়ের পরে ওয়াশিংটনের সবচেয়ে ‘ক্ষমতাশালী’ মহিলার দায়িত্বে ফিরতে পারেন তিনি। ডেমোক্র্যাটদের সংখ্যালঘু নেত্রী ন্যান্সি পেলোসি। যিনি এ বারও হাউসের স্পিকার হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন।
২০০৭ সাল থেকে টানা চার বছর পেলোসি এই পদে ছিলেন। স্পিকারের পদে প্রথম মার্কিন মহিলা হিসেবে বসে ইতিহাস গড়েছিলেন তিনি। রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ বুশের শাসনের শেষ দু’বছরে পেলোসি শক্তিশালী বিরোধী শক্তি হিসেবে কাজ করেছিলেন। তার প্রথম দফার সেই অভিজ্ঞতা ট্রাম্পের ক্ষেত্রে কাজে লাগবে বলে ধারণা বিশেজ্ঞদের। পেলোসি নিজেও পরবর্তী স্পিকার হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদি। এক সাক্ষাতকারে তিনি তার আশাবাদ ব্যাক্ত করে বলেন, এ ব্যাপারে তিনি সেরা ব্যাক্তি কারণ, এই পদে তার অভিজ্ঞতা অনেক বেশী।
ট্রাম্পের প্রস্তাবিত নয়া কর ব্যবস্থা থেকে শুরু করে মেক্সিকো সীমান্তে দেওয়াল তোলার মতো নানা প্রকল্পে এ বার বাধা দেওয়ার সুযোগ আসবে পেলোসিদের হাতে। আর বিশেষ করে ট্রাম্পের জন্য তিনি যদি ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করতে চান, তা হলে মার্কিন প্রেসিডেন্টের পক্ষে আগামী দিনগুলো আরও কঠিন হবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। যদিও ন্যান্সি এত দিন বলে এসেছেন, ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অত শক্তিশালী রাজনৈতিক অস্ত্র ব্যবহার করার পক্ষপাতী নন তিনি। কারণ এই ধরনের বিস্ফোরক পদক্ষেপে আখেরে লাভবান হবেন ট্রাম্পই। রিপাবলিকান ভোটাররা তখন আরও একজোট হয়ে তাদের প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করার চেষ্টা করবেন।
বিশ্লেষকদের মতে, ফের দায়িত্বে এলে পেলোসিকে তাই রাজনৈতিক ভারসাম্য রক্ষার কাজটি করতে হবে সুনিপুণ ভাবে। প্রয়োজনে ট্রাম্পের পাশে দাঁড়াতে হবে। আবার এটাও বোঝাতে হবে, যে তার দল কোনও আইন পাশ করানোর ক্ষেত্রে প্রেসিডেন্টের সঙ্গে একসঙ্গে বসে কাজ করার ক্ষমতা রাখে। পেলোসি নিজেও দলের জয়ের কথা জানার পরে বৃহষ্পতিবার বলেছেন, “ডেমোক্র্যাট
কংগ্রেস এমন সমাধান খুঁজতে কাজ করবে যা আমাদের একজোট হতে সাহায্য করে। বিভাজনের রাজনীতি অনেক হয়েছে। মার্কিন জনতা শান্তি চায়। কাজ দেখতে চায়।”
নিজের প্রজন্মের অন্যতম ক্ষুরধার রাজনীতিক বলে মনে করা হয় ন্যান্সিকে। বস্তুত বারাক ওবামার সময়ে ২০১০ সালে বিতর্কিত স্বাস্থ্য বিল ঐতিহাসিক ভাবে পাশ হয়েছিল ন্যান্সির সুপরামর্শেই। তা সত্ত্বেও আট বছর পরে অনেকের কাছে তার ভাবমূর্তি ইতিবাচক নয়। তার কারণ ভোটারদের মধ্যে পেলোসি খুব একটা জনপ্রিয় নন। সাম্প্রতিক সমীক্ষায় দাবি, ভোটারদের এক তৃতীয়াংশ মনে করেন, হাউসে নতুন নেতা নির্বাচন করা উচিত ডেমোক্র্যাটদের।
মজার বিষয় হচ্ছে, ট্রাম্পই টুইটে তাকে নিয়ে বলেছেন, “হাউসের স্পিকার হওয়া উচিত ন্যান্সি পেলোসির। ডেমোক্র্যাটরা যদি সেটা না চান, আমরা কিছু রিপাবলিকান ভোট যোগ করে দেব। উনি এতটাই সম্মান পাওয়ার যোগ্য!”