নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
রাজশাহীর শেখ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে ব্যাটিং করা মনে হচ্ছে খুব দূরহ কাজ। ২০তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের শেষ রাউন্ডে এসে প্রথম দিনেই ৯৭ রানে গুটিয়ে যায় বরিশাল বিভাগ। রাজশাহী বিভাগও ব্যাটিংয়ে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি। হাতের চার উইকেটে গতকাল ৩৬ রান যোগ করে ১৬০ রানে শেষ হয় রাজশাহীর প্রথম ইনিংস। জবাবে ৬ উইকেটে ২৪৬ রান তুলে দিন শেষ করা বরিশাল প্রথম ইনিংসে ৬৩ রানের দেনা মিটিয়ে হাতে চার উইকেট নিয়ে এগিয়ে ১৮৩ রানে। সহজ জয়ে রাজশাহীর শিরোপা নিশ্চিত করা যতটা সহজ মনে হচ্ছিল ততটা নাও হতে পারে।
৭২ রানে দিন শুরু করা জুনায়েদ সিদ্দিকী আউট হন আর মাত্র ৬ রান যোগ করেই। ফরহাদ রেজা অপরাজিত থাকেন ৩২ রানে। ১৪ রানে ৫ উইকেট নিয়ে রাজশাহীর লেজ গুটিয়ে দেন মনির হোসেন। প্রথম শ্রেনির ক্রিকেটে এ নিয়ে ১১বার ইনিংসে পাঁচ বা তার অধিক উইকেট নিলেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। জবাবে ১০৩ রানে ৪ উইকেট হারালেও পঞ্চম উইকেটে আল-আমিন ও নুরুজ্জামানের ১২৮ রানের জুটিতে ঘুরে দাঁড়ায় বরিশাল। ৩ রানের জন্য তিন অঙ্কের দেখা পাননি আল-আমিন। ১৩১ বলে গড়া তার ৯৭ রানের ইনিংসে ছিল ১৭টি চার। নুরুজ্জামান ফেরেন ৪৫ রানে। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নেয়া মোহর শেখ এবারো নিয়েছেন ৩ উইকেট।
প্রথম স্তরের আরেক ম্যাচে অবনমনের শঙ্কা কাটিয়ে ওঠার মত নৈপূন্য দেখাতে পারেনি হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন খুলনা বিভাগ। হাতের ২ উইকেটে এদিন আরো ৪৪ রান যোগ করে তারা কাল ২৬১ রানে অল আউট হয়। রংপুর বিভাগের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন রবিউল হক, সাজেদুল ইসলাম ও তানবির হায়দার। জবাবে রংপুরের হয়ে ভালো শুরু করেও মারুফ আউট হন ৪২ রান করে। ৩৫ রানে ব্যাট করছেন সোহরাওয়ার্দী শুভ। হাতে ছয় উইকেট থাকলেও এখনো তারা ১৩৫ রানে পিছিয়ে।
ওদিকে কক্সবাজারে দ্বিতীয় স্তরের দুই ম্যাচে কাল আধিপত্য ছিল ব্যাটসম্যানদের। সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ঢাকা বিভাগের আব্দুল মাজিদ ও চট্টগ্রাম বিভাগের সাদিকুর রহমান। ১০৪ রানে সেচ্ছা অবসর নেন মাজিদ। এছাড়া বাকিদেরও ছোট কিন্তু কার্যকরী অবদানে প্রথম স্তরে ওঠার পথেই রয়েছে ঢাকা। নাদিফ চৌধুরির দলের সামনে বড় লিডের হাতছানি। মাত্র দুই রানে পিছিয়ে থাকলেও তাদের হাতে রয়েছে ছয় উইকেট। এর আগে হাতের চার উইকেটে মাত্র ১৮ রান যোগ করে ২৩৮ রানে গুটিয়ে যায় সিলেট। ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন আগের দিনের অপরাজিত ব্যাটসম্যান জাকের আলি।
পাশের মাঠে ঢাকা মহানগরের ৩২৮ রানের জবাব দিচ্ছে চট্টগ্রাম। সাদিকুরের অপরাজিত ১০০ রানের সুবাদে দিন শেষে ৩ উইকেটে ১৯৬ রান তুলেছে ইয়াসির আলির দল। সাদিকুর-পিনাক ঘোষের উদ্বোধনী জুটিতেই আসে ১৪৬ রান। ৭৬ রান করে আউট হন পিনাক। ১৮৫ বলে ৭ চারে করা ১০০ রানের ইনিংস নিয়ে আজ আবার ব্যাট শুরু করবেন সাদিকুর।
এর আগে ৫ উইকেটে ২৬৫ রান নিয়ে দিন শুরু করা মহানগর এদিন মাত্র ৬৫ রান যোগ করে। আগের দিনের অপরাজিত সেঞ্চুরিয়ান মার্শাল আয়ুব এদিন কোন রান যোগ না করেই আউট হন সেই ১১০ রানেই। লেয়ার মিডিল অর্ডারদের ছোট ছোট অবদানে তাদের স্কোরটা লড়াকু পর্যায়ে পৌঁছায়। নাঈম হাসান নেন চার উইকেট, তিনটি নেন সাখাওয়াত হোসেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।