Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পানির মান পরীক্ষার নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৭ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৪ এএম

রাজধানীর ঢাকা মহানগরীর পাইপের মাধ্যমে সরবরাহকৃত ওয়াসার পানির মান পরীক্ষায় ৫ সদস্যের একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী দুই মাসের মধ্যে পানির মান পরীক্ষা করে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে ওয়াসার নিরাপদ পানি সরবরাহে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং নিরাপদ পানি সরবরাহে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। স্থানীয় সরকার প্রশাসন, স্বাস্থ্য সচিব, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের প্রধান প্রকৌশলী, ঢাকা, চট্রগ্রাম, খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
মান পরীক্ষার কমিটিতে স্থানীয় সরকার প্রশাসন, বুয়েটের ব্য্যুরো অব রিসার্চ টেস্টিং অ্যন্ড কনসালটেশন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি ও বায়োলজিক্যাল সায়েন্সে বিভাগ ও আইসিডিডিআরবি’র প্রতিনিধি রাখতে বলা হয়েছে। পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, স্বাস্থ্যবিধি ও দারিদ্র্য নিয়ে সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের একটি প্রতিবেদন ও প্রতিবেদন নিয়ে প্রকাশিত খবর সংযুক্ত করে এই রিট আবেদন করা হয় হাইকোর্টে।
রিটকারীপক্ষের আইনজীবী তানভীর আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, সংবিধানের ১৫ ও ১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জনগণের জীবনমান নিরাপদ ও উন্নয়নের অন্যতম দায়িত্ব রাষ্ট্রের। জনগণের আরোগ্যের প্রয়োজনে স্বাস্থ্যহানিকর যে কোনো ব্যবস্থার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে সংবিধানে। কিন্তু সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংকের দেয়া প্রতিবেদন অনুযায়ী পনি সরবরাহের রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ওয়াসার পানিই নিরাপদ না। বিশেষ করে নগরাঞ্চলে পাইপলাইনে সরবরাহ করা পানিতে ক্ষতিকর ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ত¡ পাওয়া গেছে, যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। তানভীর বলেন, আদালত আদেশে আপাতত ঢাকা ওয়াসার পানির পানির মান পরীক্ষা করতে বলেছে। পরে হয়ত দেশের সব অঞ্চলের পানির মান পরীক্ষা করতে বলবে।
এর আগে, নিরাপদ পানি সরবরাহের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিবাদীদের লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছিলেন ওই আইনজীবী। কিন্তু তাদের সাড়া না পেয়ে এই রিট আবেদন করেছেন। বাংলাদেশের পানি সরবরাহ, পয়ঃনিষ্কাশন, স্বাস্থ্যবিধি ও দারিদ্র্য নিয়ে সম্প্রতি বিশ্ব ব্যাংক ওই প্রতিবেদন দেয়; যা গত ১১ অক্টোবর প্রকাশ করা হয়। পানি, পয়ঃনিষ্কাশন, পরিচ্ছন্নতা এবং দারিদ্র্যের মধ্যে সংযোগ খুঁজে বের করতে বিশ্বের ১৮টি দেশে এই গবেষণা চালায় বিশ্ব ব্যাংক। তার ভিত্তিতে ১৮টি দেশের জন্য আলাদা প্রতিবেদন তৈরি করা হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ অপরিচ্ছন্ন এবং অনিরাপদ উৎসের পানি পান করছে। পানির নিরাপদ বিবেচিত উৎসগুলোর ৪১ শতাংশই ক্ষতিকারক ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াযুক্ত। ১৩ শতাংশে রয়েছে আর্সেনিক। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাইপলাইনের পানির ৮২ শতাংশেই রয়েছে ই- কোলাই। ৩৮ শতাংশ টিউবওয়েলের পানিতে পাওয়া গেছে এই ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া। পাকস্থলী ও অন্ত্রের প্রদাহের জন্য ই-কোলাই ব্যাকটেরিয়াকে দায়ী করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওয়াসা

৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ