Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বাংলাদেশে আমার এক টাকার সম্পত্তিও নেই: তাকসিম

অনলাইন ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১০ জানুয়ারি, ২০২৩, ১২:২৩ পিএম | আপডেট : ২:০২ পিএম, ১০ জানুয়ারি, ২০২৩

বাংলাদেশে নিজের এক টাকার কোনো সম্পত্তি নেই বলে দাবি করেছেন ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান।

ওয়াসার এমডি বলেছেন, অসৎ উপায়ে এখন পর্যন্ত এক টাকাও উপার্জন করিনি। আমার যা উপার্জন তা সবার কাছে স্পট। আয়কর নথিতে আমার সব উপার্জনের তথ্য স্পষ্ট করে উল্লেখ করা আছে। এর বাইরে একটা টাকাও আমি অসৎভাবে আয় করেনি।’

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) কারওয়ান বাজারে ওয়াসা ভবনের নিজ কার্যালয়ে কয়েকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় গণমাধ্যমে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনার বিষয়ে যে খবর প্রকাশিত হয়েছে তা নিয়েও কথা বলেন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

তাকসিম এ খান বলেন, আমি যা বেতন পাই তা সবার কাছেই ওপেন বিষয়। তাই এখান লুকোচুরির কিছু নেই। এই বেতন ছাড়া আমার আয়ের আর কোনোও পথ নেই। আমি যা আয় করি তা সৎভাবে উপার্জন করি যার একটি টাকাও আমার অবৈধ নয়। এই আয় দিয়ে আমার যেভাবে চলা যায় সেভাবেই আমি চলি। আমার স্ত্রী সন্তানরা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ওয়েল স্টাবলিস্ট তাই তাদের টাকা পাঠানোর আমার কোনো দরকার হয় না।’

‘ওয়াসার তাকসিমের যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি!’ শিরোনামে সম্প্রতি একটি জাতীয় দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) প্রকৌশলী তাকসিম এ খান যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে কিনেছেন এসব বাড়ি। সব বাড়ির দাম টাকার অঙ্কে হাজার কোটি ছাড়াবে। দেশ থেকে অর্থপাচার করে তিনি এসব বাড়ির মালিক হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। বাড়ি কেনার অর্থের উৎস ও লেনদেন প্রক্রিয়ার তথ্য তালাশে নেমেছে ইন্টারপোলসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা। বিপুল পরিমাণ অর্থে একের পর এক বাড়ি কেনার ঘটনায় দেশটির গোয়েন্দা তালিকায় সন্দেহভাজন হিসেবে তাকসিমের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।’

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে ১৪ বাড়ি কেনা এবং অর্থ পাচারকারী হিসেবে আন্তর্জাতিক গোয়েন্দা সংস্থার তালিকায় তাকসিম খানের নাম থাকা নিয়ে সম্প্রতি দুটি অভিযোগ জমা পড়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক)। অভিযোগে কিছু বাড়ির সুনির্দিষ্ট ঠিকানা, ছবি, কোন বাড়ি কখন, কত টাকায় কেনা, তা উল্লেখ করা হয়েছে।

গণমাধ্যমে এ নিয়ে খবর প্রকাশিত হওয়ার পর আজ কয়েকজন সাংবাদিকের সঙ্গে মতবিনিময় করেন তাকসিম এ খান। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রে ১৪টি বাড়ি কেনা সংক্রান্ত খবরকে মিথ্যা ও উদ্দেশ্যেপ্রণোদিত বলে দাবি করে তিনি এমন খবর প্রকাশ করায় আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার হুমকি দেন।
ওয়াসার এমডি বলেন, যারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় করার জন্য যে ডাহা মিথ্যা প্রতিবেদন করলো, এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা আমি গ্রহণ করবো। এমন নয় যে আমি এখান থেকে যুক্তরাষ্ট্রে চলে গেছি বরং আমি যুক্তরাষ্ট্র থেকেই ঢাকা ওয়াসায় চাকরি করতে এসেছি। আমি অনেক আগে থেকেই পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। স্ত্রী-সন্তান সেখানে অনেক ভালো মানের চাকরি করে। আমি এখানে একটা টাকাও অসৎ উপায়ে উপার্জন করিনি। ফলে টাকা সেখানে (যুক্তরাষ্ট্রে) পাঠানোরও কোনও প্রশ্ন আসে না।’

তাকসিম এ খান বলেন, আমার স্ত্রী-সন্তান যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক এবং সেখানে ভালো চাকরি করায় তাদের সেখানেও ভালো অবস্থান আছে। এদিকে আমি যা বেতন পাই সবমিলিয়ে আমাদের ভালোভাবে আল্লাহর রহমতে চলে যাচ্ছে। তাই দুর্নীতি, অসৎ উপায়ে উপার্জনের কোনও দরকার হয় না আমার।’



 

Show all comments
  • প্রবাসী-একজন ১০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৬:৩২ পিএম says : 0
    উনি বলেছেন, " আমি অনেক আগে থেকেই পরিবারসহ যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক।" উনি এবং উনার স্ত্রী-সন্তানেরা কখন এবং কিভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হলেন, তা একটু খোলাসা করলে ভালো হতো।
    Total Reply(0) Reply
  • MD ALI AKBOR ১০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৭:১০ পিএম says : 0
    বাংলাদেশে কি আর যোগ্য লোক নেই , তাকে ভারে ভারে এ পদে রাকতে হবে কেন । তার পদইতো অবধ সে লোক কি ভাবে বধ হতে পারে।
    Total Reply(0) Reply
  • মোঃ মুখলেছ ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩, ৩:২৭ পিএম says : 0
    উনি সত্যি কথা বলছেন, উনার সব সম্পত্তি অন্য দেশে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ওয়াসা এমডি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ
function like(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "clike_"+cid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_like.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function dislike(cid) { var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "cdislike_"+cid; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_comment_dislike.php?cid="+cid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rlike(rid) { //alert(rid); var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rlike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_like.php?rid="+rid; //alert(url); xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function rdislike(rid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "rdislike_"+rid; //alert(xmlhttp.responseText); document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com/api/insert_reply_dislike.php?rid="+rid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } function nclike(nid){ var xmlhttp; if (window.XMLHttpRequest) {// code for IE7+, Firefox, Chrome, Opera, Safari xmlhttp=new XMLHttpRequest(); } else {// code for IE6, IE5 xmlhttp=new ActiveXObject("Microsoft.XMLHTTP"); } xmlhttp.onreadystatechange=function() { if (xmlhttp.readyState==4 && xmlhttp.status==200) { var divname = "nlike"; document.getElementById(divname).innerHTML=xmlhttp.responseText; } } var url = "https://old.dailyinqilab.com//api/insert_news_comment_like.php?nid="+nid; xmlhttp.open("GET",url,true); xmlhttp.send(); } $("#ar_news_content img").each(function() { var imageCaption = $(this).attr("alt"); if (imageCaption != '') { var imgWidth = $(this).width(); var imgHeight = $(this).height(); var position = $(this).position(); var positionTop = (position.top + imgHeight - 26) /*$("" + imageCaption + "").css({ "position": "absolute", "top": positionTop + "px", "left": "0", "width": imgWidth + "px" }).insertAfter(this); */ $("" + imageCaption + "").css({ "margin-bottom": "10px" }).insertAfter(this); } }); -->