মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসের সমর্থনে সোমবার বিক্ষোভে উত্তাল ছিল রাজধানী কলম্বোর রাজপথ। এ বিক্ষোভে ১০ হাজারের মতো মানুষ অংশ নেন। রাজাপাকসেকে শ্রীলঙ্কার নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সমর্থনের কথা জানান বিক্ষোভকারীরা।
এর আগে শ্রীলঙ্কার জাতীয় সংসদের স্পিকার কারু জয়াসুরিয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার প্রমাণ না দেওয়া পর্যন্ত দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করা হবে না। বিবৃতিতে তিনি বলেন, জাতীয় সংসদের বেশিরভাগ সদস্যই মনে করেন এই পরিবর্তন সম্পূর্ণ অসাংবিধানিক এবং এটি দেশের রীতি-প্রথার বিরোধী।
বিক্ষোভে স্পিকারের সিদ্ধান্তেরও সমালোচনা করা হয়। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ছাড়াও পার্লামেন্ট ভবনের কাছ দিয়েই এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়। ভারী বৃষ্টি উপেক্ষা করেই রাজাপাকসের সমর্থনে স্লোগান তোলেন বিক্ষোভকারীরা। তাদের স্লোগানগুলো ছিল এমন, ‘এটা কার জামানা, মাহিন্দার জামানা; আমরা কার লোক? মাহিন্দার লোক।’
উল্লেখ্য, গত ২৬ অক্টোবর প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা আকস্মিক সিদ্ধান্তে প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহেকে বরখাস্ত করে দায়িত্ব দেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মাহিন্দা রাজাপাকসেকে। বিক্রমাসিংহে দায়িত্ব ছাড়তে অস্বীকৃতি জানালে দেশটিতে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়।
জাতিসংঘ ও পশ্চিমা কয়েকটি দেশ পার্লামেন্টের অধিবেশন দ্রæত ডাকার আহ্বান জানিয়েছে। প্রেসিডেন্ট আগামী ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত পার্লামেন্টের অধিবেশন স্থগিত করেছিলেন। তবে রবিবার সিরিসেনা ১০ দিনের মধ্যে অর্থাৎ ১৪ নভেম্বর পার্লামেন্টের অধিবেশন আহ্বানের নির্দেশ দিয়েছেন। তার এই সিদ্ধান্তকে অনেক বিলম্বিত বলে অভিহিত করেছে বিক্রমাসিংহের দল।
২০০৫-২০১৫ সাল পর্যন্ত শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট ছিলেন রাজাপাকসে। কিন্তু ২০১৫ সালে একই দলের প্রার্থী রাজাপাকসেকে হারিয়ে সিরিসেনা প্রেসিডেন্ট হন। পরে ২০১৫ সালে পার্লামেন্ট নির্বাচনের পর গঠিত হয় জোট সরকার, সিরিসেনা যার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন বিক্রমাসিংহেকে। কিন্তু তারপর থেকে তাদের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে উঠতে থাকে, যার প্রেক্ষিতে সিরিসেনা গত ২৬ অক্টোবর তাকে বরখাস্ত করেন এবং সাবেক প্রেসিডেন্ট রাজাপাকসেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন।
শুক্রবার (২ নভেম্বর) ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টের ১১৮ জন সংসদ সদস্য অধিবেশন শুরুর দাবি জানানোয় সংশ্লিষ্টরা বিক্রমাসিংহের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে টিকে যাওয়ার বিষয়ে আশাবাদী হয়ে উঠেছেন। পদচ্যুত প্রধানমন্ত্রী বিক্রমাসিংহে নিজেও পার্লামেন্ট অধিবেশন দাবি করছেন, যাতে ‘আস্থা ভোটের’ মাধ্যমে তার প্রতি থাকা সমর্থনের বিষয়টি প্রমাণ করতে পারেন তিনি। এরমধ্যেই সোমবার কলম্বোর পার্লামেন্ট ভবনের কাছে বড় ধরনের শোডাউনে অংশ নেয় রাজাপাকসের সমর্থকরা। সূত্র: আল জাজিরা, বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।