মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গত সপ্তাহে ইন্দোনেশিয়ার যাত্রীবাহী লায়ন এয়ারের যে বিমানটি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে সেটিতে ভয়াবহ যান্ত্রিক গোলযোগের তথ্য পাওয়া গেছে। ব্ল্যাক বক্স উদ্ধারের পর জানা গেছে, বিমানটির গতি নির্নয়ের যন্ত্রটি পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার আগের চার ফ্লাইটে এর এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটর ভালোভাবে কাজ করছিল না বলে তথ্য পাওয়া গেছে। আর বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়ার সময়ও এয়ার ইন্ডিকেটর কাজ করছিল না বলে জানিয়েছে ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি কমিটি। গতি নির্নয় করতে না পারায় বিমানের পাইলট বুঝতে পারেননি ঠিক কত গতিতে বিমানটি চলছিল।
লায়ন এয়ারের জেটি ৬১০ বিমানটি ১৮৯জন যাত্রী নিয়ে যাত্রা শুরু করেছিল। রাজধানী জাকার্তা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়নের কিছুক্ষন পরেই সেটি রাডার থেকে হারিয়ে যায়। পরে জানা যায় বিমানটি নিকটস্থ জাভা সাগরে পতিত হয়েছে এবং যাত্রীদের সকলেই নিহত হয়েছেন।
ইন্দোনেশিয়ার ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি কমিটির প্রধান সোয়েরজান্তো তাহজোনো বলেন, এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটর সম্পর্কে প্রকৃত তথ্য জানতে আমরা এনটিএসবি এবং বোয়িংয়ের সঙ্গে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।
সোমবার কমিটির ক্যাপ্টেন নুরকাহিয়ো উতোমো বলেন, বিধ্বস্ত বিমানের শেষ ৪ উড়ালেই এয়ার স্পিড ইন্ডিকেটরে সমস্যা পেয়েছি আমরা। এমনকি যে ফ্লাইটে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে সেটাতেও সমস্যা ছিল।
ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা যেন প্রতিরোধ করা যায় সে বিষয়ে কাজ করতে আমরা এনটিএসবি এবং বোয়িংকে আহ্বান জানিয়েছি। বিধ্বস্ত বিমানটির ককপিটে দুটি এয়ারস্পিড ইন্ডিকেটর ছিল বলে নিশ্চিত করেছেন উতোমো। একটি ছিল পাইলটের জন্য এবং অপরটি কো-পাইলটের জন্য।
সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে ইন্দোনেশিয়ার কর্তৃপক্ষ নিহতদের সজনদের ক্ষোভের শিকার হয়েছেন। তারা প্রশ্ন তুলেছেন, কেনো এত সমস্যা থাকার পরেও বিমানটি উড্ডয়নের অনুমতি দেয়া হল। এখনো দুর্ঘটনার কারণ খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়ে এক নিহতের আন্তীয় নাজিব ফুকোনি বলেন, আমরা জানি এ শোক কত ভয়াবহ। একবার নিজেকে আমাদের স্থানে ভেবে দেখুন। লায়ন এয়ারের মালিক রুসদি কিরন মিটিংয়ে উপস্থিত ছিলেন। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ স্বজনরা তাকে উঠে দাড়াতে বললে, তিনি হাত জোর করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সূত্র: সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।