গুলিস্তানের বিস্ফোরণে নিহত ১৬ জনের নাম-পরিচয় পাওয়া গেছে
রাজধানীর গুলিস্তানের সিদ্দিক বাজার এলাকায় ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এ
টঙ্গি থেকে ঢাকায় গাড়ি প্রবেশে বাধা দেয়ায় হেঁটে গন্তেব্যে রওনা দিয়েছেন সাধারণ মানুষ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ঢাকা বিভাগীয় জনসভাকে ঘিরে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে। এদিকে টঙ্গী থেকে গাড়ি ঢাকায় ঢুকতে দিচ্ছেন না পুলিশ ও স্থানীয় শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীরা।
এতে টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা ছাড়িয়ে হাজার হাজার গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। যানজটে পড়ে চরম দুর্ভোগে পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।
রায়হান নামে এক ব্যাংক কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, টঙ্গীর গাজীপুরা থেকে হেঁটে তিনি উত্তরায় গিয়ে অফিস করেছেন। নির্ধারিত সময়ের চেয়েও দেড় ঘণ্টা দেরিতে তিনি অফিসে পৌঁছেছেন।
তিনি বলেন, পুলিশ ও স্থানীয় ক্ষমতাসীন দলের নেতারা কাগজপত্র দেখাসহ বিভিন্ন অজুহাতে গাড়ি আটক দিচ্ছেন। এতে তার মতো অনেককেই অপ্রত্যাশিত ধকলের মুখোমুখি হতে হয়েছে।
এ ব্যাপারে টঙ্গী থানার ওসি কামাল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে টঙ্গীর টিআই (প্রশাসন) সিরাজুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় মহাসমাবেশের কারণে গাড়ি ধীর গতিতে চলছে। টঙ্গী থেকে ঢাকামুখী গাড়ি আস্তে আস্তে যাওয়ায় যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জনসভায় জড়ো হতে থাকেন ঐক্যফ্রন্টের নেতাকর্মীরা। রাজধানীসহ ঢাকার আশপাশের জেলা থেকে নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে উদ্যানে প্রবেশ করেন।
এ সময় তাদের হাতে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ছবিসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন দেখা যায়।
সমাবেশস্থল থেকে নেতাকর্মীরা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি জানাচ্ছেন।
এ ছাড়া গণসংগীতও পরিবেশন করা হয়েছে। মূলত জনসভাস্থলকে উজ্জীবিত করে রাখার চেষ্টা করছেন শিল্পীরা।
পাশাপাশি মঞ্চ থেকেও নেতাকর্মীরা প্রতিবাদী বক্তব্য দিয়ে সভাস্থলকে জাগিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন।
নেতাকর্মীরা ‘বন্দি আছে আমার মা, ঘরে ফিরে যাবে না’, ‘হামলা করে আন্দোলন, বন্ধ করা যাবে না’ ইত্যাদি স্লোগান দিচ্ছেন।
এ ছাড়া খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগানযুক্ত ব্যানারও দেখা যাচ্ছে নেতাকর্মীদের হাতে।
দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জনসভা শুরু হয়েছে। এ সভা থেকে সাত দফা দাবি আদায়ে আগামী দিনের কর্মসূচি ও নতুন বার্তা দেবে ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন এ জোট।
ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন জনসভায় প্রধান অতিথি থাকবেন এবং প্রধান আলোচক থাকবেন ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জনসভায় প্রথমবারের মতো কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগের কাদের সিদ্দিকী যোগ দেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।