পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আগামী ৭ নভেম্বরের পর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দেশ চালাবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু। তিনি বলেন, আপনাদের (আওয়ামী লীগ) ভূমিকার ওপর নির্ভর করছে দেশের মানুষ শান্তিতে থাকবে কিনা। আন্দোলন এখনও শুরু হয় নাই। ৭ নভেম্বরের আলোচনার পর দেশ কিভাবে চলবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সেটা নির্ধারণ করবে। গণতন্ত্র কিভাবে আমরা ফিরাবো তা নির্ধারণ করবে। সোমবার (৫ নভেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে জিয়াউর রহমান সমাজ কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল রাজবন্দিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, আপনি তো গণতান্ত্রিক সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দাবি করেন, সংবিধানের কথা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত যতবার বলেন অন্য কেউ এতো বার বলে না। কিন্তু সংবিধানে আমার বাকস্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে, লেখার স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে, সভা-সমাবেশে নিশ্চিত করা হয়েছে, আপনি তো সেটা মানেন না।
ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা নামের যে আইন করেছেন তা সংবিধানে সাংঘর্ষিক। আপনি তা পাশ করিয়েছেন। তাহলে সংবিধান এখন কোথায়? দুদু বলেন, স্বাধীনতা ঘোষকের পরিবার আজ আওয়ামী লীগ শাসনকালে নিশ্চিহ্ন করার মহাপরিকল্পনা চলছে। সারা দেশে নব্বই হাজারের অধিক যে মামলা হয়েছে, যার আসামি প্রায় ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশ লাখ। যারা জেলে রয়েছেন তাদেরকে মুক্তি দেন।
আসামির কাঠগড়ায় শেখ হাসিনাকে দাঁড় করানো হবে এমন হুমকি দিয়ে কৃষক দলের এই সাধারণ সম্পাদক বলেন, ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমসহ পাঁচ থেকে ছয় শতাধিক নেতাকর্মী গুম অথবা নিখোঁজ। এখন আপনি যদি মনে করেন আপানার শাসনকালের পরে আর কোন শাসনকাল নাই সেটা ভুল করবেন। সে শাসনকাল যখন পরিবর্তন হবে তখন তো আমরা আমাদের নেতাকর্মী যারা গুম, খুন হয়েছে তাদের ফেরত চাইবো। ফেরত যদি না দিতে পারেন আসামির কাঠগড়ায় আপনাকে দাঁড়াতে হবে।
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের ওপর হামলার বিষয়ে সাবেক এই ছাত্রনেতা বলেন, গ্রেফতার করেছেন, যেটি জামিনযোগ্য মামলা সেটি জামিন তো দেন নাই বরং তাকে রংপুরে নিয়ে আপনার কর্মী বাহিনীদের লেলিয়ে দিয়েছেন। তার ওপর বন্দি অবস্থায় আক্রমণ করা হয়েছে। এগুলা ভালো দৃষ্টান্ত না। এগুলো গণতান্ত্রিক শাসনের সাথে যায় না। এগুলো স্বৈরশাসকের কাজ। আপনি নিজেকে গণতান্ত্রিক দাবি করবেন, আবার স্বৈরশাসকের কাজ করবেন, দুইটা এক সাথে যায় না।
সংগঠনের সভাপতি এম. গিয়াস উদ্দিন খোকনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব, সুকুমার বড়ুয়া, স্বনির্ভর বিষয়ক সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।