বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও ঐক্যফ্রন্ট নেতা ব্যারিষ্টার মইনুল হোসেনকে রংপুরের আদালতে নেয়ার সময় আদালত চত্বরে আওয়ামীলীগ ও বিএনপি কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষের ঘটনায় পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। রোববার রাতেই কোতয়ালী থানায় দু’টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুই মামলায় দেড়’শ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং রোববার রাতেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ৫ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
কোতোয়ালি থানা সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রবিরোধী, সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং পুলিশের কাজে বাধা দেয়ার অভিযোগে কোতয়ালী থানার এসআই জিয়াউর রহমান বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। এছাড়া দলীয় নেতাকর্মীদর ওপর হামলার অভিযোগে মহানগর ছাত্রলীগের সদস্য আনিছুর রহমান আনিছ বাদী হয়ে ২৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ৪০ জনকে আসামি করে আরেকটি মামলা করেন। মামলার প্রেক্ষিতে রোববার রাতেই পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বিএনপির দশ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। এ ঘটনায় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন করে গ্রেফতার আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৬ অক্টোবর মধ্যরাতে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একাত্তর টিভির টক-শোতে সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টিকে উদ্দেশ করে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের এক মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় ২২ অক্টোবর ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের বিরুদ্ধে রংপুরে মামলা দায়ের করে নারী অধিকারকর্মী মিলি মায়া। ওই মামলায় ওইদিন রাতেই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়। গত ২৫ অক্টোবর তার জামিনের আবেদন করেছিল জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কয়েকজন আইনজীবী। ওই সময় মামলার নথি না আসায় জামিনের শুনানি হয়নি। গতকাল রোববার রংপুরের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালতে তার জামিনের শুনানির দিন ধার্য্য ছিল।
আদালতে ব্যারিস্টার মইনুলকে হাজির করার সংবাদে রোববার সকাল ৯টা থেকেই রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতের গেটে অবস্থান নেয় আওয়ামীলীগ এবং সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আদালতে হাজির করার সময় রংপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সামনেই ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের উপর হামলার চেষ্টা করে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ব্যারিস্টার মইনুলকে উপর্যপুরি জুতা ও ডিম নিক্ষেপ করে। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের প্রধান ফটক দখলে নিয়ে ঝাড়ু মিছিল ও বিক্ষোভ করে আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় আওয়ামীলীগ ও বিএনপি পন্থি আইনজীবিসহ কর্মী সমর্থকদের সংঘর্ষ বাঁধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাবার বুলেট ও ৫ রাউন্ড টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।