বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
চট্টগ্রামে হঠাৎ করে গ্যাস সঙ্কট দেখা দিয়েছে। গতকাল (রোববার) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নগরীর অধিকাংশ এলাকায় গ্যাস ছিল না। এতে করে বিপাকে পড়েন গৃহিনীরা। দিনভর বাসাবাড়িতে চুলা জ্বলেনি, হয়নি রান্নাবান্না। গ্যাসনির্ভর কারখানাগুলো ছিল প্রায় অচল। সিএনজি ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের চাপ না থাকায় দীর্ঘ লাইন ছিল যানবাহনের।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড-কেজিডিসিএলের ম্যানেজার (কাস্টমার অ্যান্ড মেইনটেইনেস) ইঞ্জিনিয়ার অনুপম দত্ত জানান, সিলেটের বিবিয়ানায় প্রধান লাইনে সমস্যার কারণে চট্টগ্রামজুড়ে গ্যাস সঙ্কট রয়েছে। ইতিমধ্যে প্রধান লাইনে কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে গ্যাস সরবরাহ স্বাভাবিক হবে।
সকাল থেকে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় বাসাবাড়িতে গ্যাস সঙ্কট দেখা দেয়। চকবাজার, বহদ্দারহাট, কোতোয়ালী, বাকলিয়া, জামালখানসহ প্রায় এলাকায় সকাল ৯টা থেকে গ্যাস নেই। এর ফলে চুলা জ্বালাতে পারেননি গৃহিণীরা। কেউ কেউ মাটির চুলায় রান্না করেন। বিপাকে পড়েছে গ্যাস-নির্ভর হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোও। নগরীর দেওয়ান বাজারের বাসিন্দা মো. ফয়সল জানান, গ্যাস না থাকায় দিনভর বাসায় রান্না হয়নি। শুকনো খাবার খেয়ে থাকতে হয়েছে পরিবারের সদস্যদের।
আসকারদিঘীর দক্ষিণ পাড়ের বাসিন্দা বনানী বড়–য়া বলেন, সকাল ৯টার দিকে চুলা জ্বালাতে গেলে দেখি গ্যাসের চাপ নেই। এর কিছুক্ষণ পর একেবারেই গ্যাস চলে যায়। রাতেও গ্যাস আসেনি। হোটেল-রেস্তোঁরাতেও খাবার মেলেনি। নগরীর বেশিরভাগ এলাকায় এভাবে দিনভর ভোগান্তি পোহাতে হয় নগরবাসীকে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।