Inqilab Logo

রোববার, ২৩ জুন ২০২৪, ০৯ আষাঢ় ১৪৩১, ১৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গ্রাহক বাড়লেও লেনদেন কমেছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নানামুখী ব্যবহার আর সহজলভ্য হওয়ার কারণে গ্রামীণ জনজীবন অনেক সহজ হয়েছে। এ সেবার মাধ্যমে ঘরে বসেই করা যাচ্ছে অনেক কাজ। বাস ও ট্রেনের টিকিট থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন পরিশোধ করা যাচ্ছে মানুষের হাতের মুঠোয় থাকা ছোট্ট যন্ত্রটির মাধ্যমে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সেপ্টেম্বর মাসের হিসাব বলছে ৩ দশমিক ২ শতাংশ হারে গ্রাহক সংখ্যা বাড়লেও কমেছে লেনদেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ (সেপ্টেম্বর) হিসাব অনুযায়ী, দেশে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) বা মোবাইল ব্যাংকিংয়ের নিবন্ধিত গ্রাহক সংখ্যা ছয় কোটি ৬৭ লাখ ৪২ হাজার। যা আগের মাসে (আগস্ট) ছিল ছয় কোটি ৪৬ লাখ ৯৯ হাজার। তবে নিবন্ধিত গ্রাহকদের মধ্যে অনেক হিসাবই সক্রিয় নেই। সক্রিয় গ্রাহক রয়েছে তিন কোটি ১৪ লাখ ৫১ হাজার। এ মাসে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার কোটি এক লাখ ৫১ হাজার টাকা লেনদেন করেছেন গ্রাহকরা। মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এজেন্ট সংখ্যা দাঁড়িয়েছে আট লাখ ৬২ হাজার ১০৩ জনে।
চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে ৩০ হাজার ১৬৫ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের মাসে যার পরিমাণ ছিল ৩৪ হাজার ৩৯৯ কোটি টাকা। সেই হিসেবে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ হারে কমেছে এ মাসের লেনদেন।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে যেসব কাজ করা যায় সেগুলো হলো, রেমিট্যান্স পাঠানো, ক্যাশ ইন, ক্যাশ আউট, একজনের অ্যাকাউন্ট থেকে অন্যজনের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো, ইউটিলিটি বিল দেওয়া, মোবাইল ফোনের এয়ার টাইম কেনা, পণ্য ক্রয়ের ক্ষেত্রে মার্চেন্ট পেমেন্ট, সরকারি প্রতিষ্ঠানে বেতন দেওয়া, মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অন্যান্য ভাতা, বিমা প্রিমিয়াম, ডিপিএস দেওয়া ইত্যাদি
বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা যায়, সুবিধাবঞ্চিতদের ব্যাংকিং সেবার আওতায় আনতে ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং চালুর অনুমতি দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। পরের বছর পূর্ণাঙ্গ নীতিমালা করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। ১৯৯৯ সালে ইউরোপিয়ান ব্যাংকে সর্বপ্রথম মোবাইল ব্যাংকিং সেবা চালু হয়। মূলত, স্মার্টফোন উদ্ভাবনের পরে মোবাইল ওয়াপ (ওয়্যারলেস অ্যাপ্লিকেশন প্রটোকল) পদ্ধতির মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং শুরু হয়।
মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে সেপ্টেম্বর মাসে রেমিটেন্স এসেছে ৩০ কোটি ৭৮ লাখ টাকার। যা আগের মাসের চেয়ে প্রায় এক কোটি টাকা কম। আগস্ট মাসে ৩১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা রেমিটেন্স এসেছিল মোবাই ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে।
পৃথিবীর অন্যান্য দেশে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা মোবাইল অপারেটর ভিত্তিক হলেও বাংলাদেশে এ সেবা ব্যাংকভিত্তিক। ব্যাংকগুলো বিভিন্ন মোবাইল ফোন অপারেটরের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়ে এ সেবা দিচ্ছে। দেশের বর্তমানে ৫৭টি ব্যাংকের মধ্যে ২৯টি ব্যাংক মোবাইল ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন নিয়েছে। তবে বর্তমানে কার্যক্রম আছে ১৮টি ব্যাংকের।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: গ্রাহক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ