মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে জেতার জন্য তামিলদের মন জয় করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন সদ্য ক্ষমতাসীন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী মাহিন্দা রাজাপক্ষে। তার ফলে, দ্বীপরাষ্ট্রে তাদের জন্য আলাদা ভূখণ্ডের দাবি জানাতে গিয়ে গত ৩০ বছরে যে প্রচুর তামিলকে জেলে যেতে হয়েছে, এ বার হয়তো তারা সকলেই মুক্তি পেতে চলেছেন। রাজাপক্ষের ছেলে নমিল তার এক টুইটে এ কথা জানিয়েছেন।
নমিল টুইটে লিখেছেন, “এ ব্যাপারে সরকারি সিদ্ধান্ত খুব শীঘ্রই ঘোষণা করবেন প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা ও প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে।”
দ্বীপরাষ্ট্রে তামিলদের জন্য স্বতন্ত্র ভূখণ্ডের দাবিতে ৩০ বছর আগে সরব হয়েছিল ভেলুপিল্লাই প্রভাকরণের হাতে গড়া লিবারেশন টাইগার্স অফ তামিল ইলম (এলটিটিই)। তারই জেরে গত তিন দশকে বহু তামিলকে জেলে যেতে হয়। তাদের রাজনৈতিক বন্দির মর্যাদা দিতেও অস্বীকার করা হয়। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর হাতে প্রভাকরণ নিহত হওয়ার পর এলটিটিই কার্যত নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ায় শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন জেলে দীর্ঘ দিন ধরে বন্দি তামিলদের মুক্তির বিষয়টিও গুরুত্ব পায়নি তেমন ভাবে। ন’বছর আগে শ্রীলঙ্কার সেনাবাহিনীর হাতে যখন প্রভাকরণের মৃত্যু হয়, তখন মাহিন্দা রাজাপক্ষেই ছিলেন প্রেসিডেন্ট। তবে ওই সময় রাজাপক্ষেকে বার বার বলতে শোনা গিয়েছিল, লড়াইটা এলটিটিই-র বিরুদ্ধে, শ্রীলঙ্কায় থাকা তামিলদের বিরুদ্ধে নয়।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সেই দীর্ঘ দিন জেল-বন্দি তামিলদের তড়িঘড়ি মুক্তি দেওয়ার প্রয়োজনটা প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে বোধ করছেন অনাস্থা ভোটে জেতার জন্য।
সরকারি ভাবে, শ্রীলঙ্কার ২২৫ সদস্যের পার্লামেন্টে ১০০ জন এমপি-র সমর্থন রয়েছে প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষের পিছনে। আর গত ২৬ অক্টোবরের নির্দেশে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা যাকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে বরখাস্ত করেছেন, সেই রনিল বিক্রমসিংহের পক্ষে রয়েছেন ১০৩ জন এমপি।
দ্বীপরাষ্ট্রে তামিলদের প্রতিনিধিত্বকারী রাজনৈতিক দল ‘তামিল ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স’ (টিএনএ)-কে পাশে পাওয়াটা খুব জরুরি হয়ে উঠেছে প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষের কাছে। টিএনএ-র ১৫ জন এমপি রয়েছেন। শনিবার এক বিবৃতিতে টিএনএ জানিয়েছে, তারা অনাস্থা প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেবে। তাই জেলে বন্দি তামিলদের মুক্তি দিয়েই টিএনএ-র মন জয় করতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী রাজাপক্ষে। টিএনএ-র এক এমপি-কে উপমন্ত্রীর টোপ দেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যেই। রাজাপক্ষের ঘনিষ্ঠরা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীকে অনাস্থা ভোটে সমর্থন করার জন্য টিএনএ-র আরও চার এমপি আগ্রহ দেখিয়েছেন। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।