ময়মনসিংহের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই যুবক নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন- আব্দুল্লাহেল কাফি (৩১) ও আলমগীর হোসেন গুতু (২৭)। শনিবার (৩ নভেম্বর) মধ্যরাতে মুক্তাগাছার ঝলই ব্রিজ এবং সদর উপজেলার সাহেব কাচারী বাজার এলাকায় পৃথক পৃথক ভাবে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, নিহত কাফি ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আমদালিয়া গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমান ছেলে। পুলিশের দাবি, কাফি মুক্তাগাছা উপজেলার শীর্ষ অস্ত্রধারী ওয়ারেন্টভূক্ত আসামী। তার বিরুদ্ধে থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
অপর দিকে নিহত আলমাগীর ময়মনসিংহ নগরীর কালিবাড়ী রোডের পুরাতন গুদারাঘাট এলাকার ইব্রাহিমের পুত্র। পুলিশের দাবি, আলমগীর শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, ডাকাতি ও ছিনতাই মামলা রয়েছে। এবং ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ওসি শাহ মোঃ কামাল আকন্দ। তিনি দাবি করেন, ডাকাতির প্রস্তুতিকালে পুলিশ গোপন সংবাদে ঘটনাস্থলে পৌছলে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি বর্ষণ করে। তখন পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা গুলি করতে করতে পালিয়ে যায়। এ সময় ঘটনাস্থল হতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী আব্দুল্লাহেল কাফিকে একটি কাঠের বাটযুক্ত এলজি ও ০২ রাউন্ড কার্তুজসহ আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
ওসি ডিবি আরো জানান, একই ভাবে সাহেব কাচারী বিসমিল্লাহ হ্যাচারি সংলগ্ন এলাকায় মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনাকালে কয়েকজন মাদক ব্যবসায়ী পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অতর্কিতভাবে গুলি বর্ষণ করে। তখন পুলিশও আত্মরক্ষার্থে গুলি বর্ষণ করে। পরে ঘটনাস্থল থেকে মাদক ব্যবসায়ী আলমাগীর কে আহত অবস্থায় পাওয়া যায়। এ সময় তার কাছ থেকে ২ কেজি গাজা ও ২ টি গুলির খোসা পাওয়া যায়। পরে তাকে চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকেও মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় এসআই নাজিম উদ্দিন, এএসআই মোঃ মজিদ, পুলিশ কনস্টেবল ইব্রাহীম, সাইদুল ইসলাম ও আরমান উদ্দিন সহ ৫ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছে। তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ লাইন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।