Inqilab Logo

রোববার ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চীনের নৌবাহিনীতে শিগগিরই যুক্ত হচ্ছে ছয়টি বিমানবাহী রণতরী

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

২৮ অক্টোবর চীনের প্রথম নিজস্বভাবে তৈরি বিমানবাহী রণতরী ডালিয়ান বন্দর ছেড়ে তৃতীয় মহড়ায় সমুদ্রে বের হয়েছে। টাইপ ০০১এ এই রণতরীটিকে ২০১৯ সালের শুরুর দিকে নৌবাহিনীতে সংযুক্ত করা হতে পারে বলে মনে করছে মার্কিন ডিফেন্স ডিপার্টমেন্ট। এর মাধ্যমে চীনের বিমানবাহী রণতরীর সংখ্যা দুটিতে দাঁড়াবে এবং বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এ ধরনের রণতরীর বহর এখন চীনের নিয়ন্ত্রণে।
নতুন মহড়ায় রণতরীর অস্ত্র সিস্টেম, নিয়ন্ত্রণ সিস্টেম এবং যোগাযোগ সিস্টেমগুলো পরীক্ষা করা হবে। চীনা নৌবাহিনীর কর্মকর্তা ওয়াং ইউনফেই গ্লোবাল টাইমসকে এ কথা বলেন।
৫৫ হাজার টনের রণতরীটির নাম দেয়া হতে পারে শানডোং। চীনের প্রথম বিমানবাহী রণতরী লিয়াওনিংয়ের আধুনিক সংস্করণ এটা। লিয়াওনিং সাবেক-ভারিয়াগ শ্রেণীর রণতরী যেটা আশির দশকে রাশিয়াতে নির্মিত হয়। কিন্তু সেটা কখনই নৌবাহিনীতে কমিশন করেনি চীন।
১৯৯৮ সালে অসম্পূর্ণ রণতরীটি কিনে নেয় চীন। পরে লিয়াওনিংকে বাহিনীকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২০১২ সালে। জে-১৫ জঙ্গিবিমান এবং হেলিকপ্টার বহন করতে পারে এটা। ২০১৮ সালের এপ্রিলে প্রথমবারের মতো মহড়ায় পশ্চিম প্রশান্ত মহাসাগরে লিয়াওনিংকে মোতায়েন করা হয়েছিল।
লিয়াওনিংয়ের ডিজাইন ও সীমাবদ্ধতাগুলো শানডোংয়েও থাকবে। এগুলোতে নিক্ষেপকের ঘাটতি রয়েছে, ধনুকের মতো বাঁকা রানওয়ে দিয়ে এখানে বিমানগুলো উড়ানো হয়। ফলে এই সীমাবদ্ধতাগুলো লিয়াওনিংয়ের সক্ষমতাকে সীমিত করে দিয়েছে যে কত ওজনের বিমান তারা বহন করতে পারবে এবং কত ওজনের অস্ত্রপাতি ও জ্বালানি বহন করতে পারবে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রের বহরে এই মুহূর্তে সবচেয়ে বড় বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। তাদের বাহিনীতে ১০টি বড় এ ধরনের রণতরী রয়েছে। ফ্রান্স, ব্রিটেন, ভারত ও রাশিয়ার একটি করে বিমানবাহী রণতরী রয়েছে। কিছু কিছু নৌবাহিনী বহুমুখী আগ্রাসী জাহাজ ব্যবহার করে, যেগুলো থেকে ফিক্সড-উইং বিমান চালানো যায়।

সাংহাইতে তৃতীয় যে বিমানবাহী রণতরী তৈরি হচ্ছে, সেটাতে নিক্ষেপক থাকবে বলে জানা গেছে। চীনের সামরিক শক্তি নিয়ে মার্কিন প্রতিরক্ষা ডিপার্টমেন্টের ২০১৮ সালের বার্ষিক রিপোর্টে বলা হয়েছে, “চীনের পরবর্তী প্রজন্মের রণতরীগুলো সম্ভবত আরও দীর্ঘ সময় সক্রিয় থাকবে। এগুলো আরও বিভিন্ন ধরনের বিমান, আগাম সতর্কতা ব্যবস্থা, সাবমেরিন-বিরোধী যুদ্ধের আকাশযান সংযুক্ত থাকবে”।
এই রণতরীগুলো বাহিনীতে যুক্ত হলে প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগর এলাকায় চীনের শক্তি অনেক বেড়ে যাবে। অফিস অব নেভাল ইন্টেলিজেন্সের চীন বিষয়ক বিশ্লেষক জেসি কারোটকিন ২০১৪ সালে বলেছিলেন, “২০২০ সাল নাগাদ, ক্যারিয়ার-ভিত্তিক বিমানগুলো বহরের অভিযানে সহায়তা করবে এবং সীমিত মাত্রায় প্রতিরক্ষা ভূমিকাও পালন করবে”।
২০১৮ সালের চীন বিষয়ক রিপোর্টে পেন্টাগন বিষয়টি ব্যাখ্যা করেছে: “এই অগ্রগতিগুলো চীনের আগ্রহের এলাকায় এবং এর বাইরেও রণতরীগুলোর হামলার সক্ষমতা বাড়াবে”। সূত্র : সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চীন


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ