বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
স্টাফ রিপোর্টার : ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন শেষ পর্যন্ত মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের দায়িত্ব নিচ্ছে। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আগামী ৫ নভেম্বর সোমবারের মধ্যে দুই সিটি কর্পোরেশনকে এ ফ্লাইওভারটির দায়িত্ব বুঝে নেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। ইতোমধ্যে এই মর্মে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। গত ২২ অক্টোবর এক সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এ কমিটি ঘোষণা করেন। কমিটিকে ৫ নভেম্বরের মধ্যে এ ফ্লাইওভারটি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ফ্লাইওভারটির দায়িত্ব বুঝে নিতেও প্রস্তুত ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন। স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (নগর উন্নয়ন) মোহাম্মদ মাহবুব হোসেনকে আহ্বায়ক করে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী এবং এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলীকে এই কমিটির সদস্য করা হয়েছে। এছাড়া মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারের প্রকল্প পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল সদস্যসচিব হিসেবে এ কমিটিতে রয়েছে।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরাতুল্লাহ ইনকিলাবকে বলেন, আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনকে এই ফ্লাইওভারটির দায়িত্ব বুঝে নেয়ার নির্দেশনা দিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। সে মতে আমরা ফ্লাইওভারটির দায়িত্ব বুঝে নিতে প্রস্তুত রয়েছি।
জানা যায়, নকশা অনুমোদনের পর থেকেই মগবাজার মৌচাক-ফ্লাইওভার নিয়ে নানা ত্রুটি দেখা দেয়। এর মধ্যে ফ্লাইওভারে ট্রাফিক সিগন্যাল, বৈদ্যুতিক বাতি নষ্ট, বৃষ্টিতে পানিবদ্ধতা, বাম দিকে স্টিয়ারিং, যানজট লেগে থাকা, ওঠা-নামার র্যাম্প জটিলতাসহ নামার লুপে যানজট লেগেই থাকে। যা ফ্লাইওভারের ওপরে চলাচলকারীদের জন্য ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় ময়লা পানি জমে পরিবেশদূষণ হচ্ছে।
সভায় প্রকল্প পরিচালক জানান, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্প ২০১৭ সালে নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পরই ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়। কিভাবে ফ্লাইওভারটির রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে এ বিষয়ে সিটি কর্পোরেশনের প্রকৌশলীদের বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) থেকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনীয় নথিপত্রও দেওয়া হয়েছে তাদের। সভায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব জানান, যানজট নিরসনে এ ফ্লাইওভারটি নির্মাণ করা হয়। তাই ফ্লাইওভারটি সুশৃঙ্খল পরিচালনা করার জন্য রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন।
সভায় সভাপতি বলেন, ফ্লাইওভারটি জনসাধারণের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সরকার জনস্বার্থ বিবেচনায় দেশি ও বিদেশি অর্থায়নে সুপরিকল্পিতভাবে নির্মাণকাজ সম্পূর্ণ করেছে এবং নগরবাসী এর সুফল ভোগ করছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের (এলজিইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ও উড়াল সড়কটির প্রকল্প পরিচালক সুশান্ত কুমার পাল বলেন, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভারটির কাজ ২০১৭ সালে শেষ হলেই ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের কাছে হস্তান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। কিন্তু ওই সময় থেকে নানা জটিলতা সৃষ্টি হয়। সর্বশেষ গত মাসে ফ্লাইওভারটি হস্তান্তরের জন্য ৫ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি করে দেয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তাফা বলেন, এ ব্যপারে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি হয়েছে, সে কমিটি রিপোর্ট দিলে মন্ত্রণালয় ফ্লাইওভারের দায়িত্ব বুঝিয়ে নেওয়ার জন্য আমাদের চিঠি দিবে। তবে ফ্লাইওভারের দায়িত্ব নিতে এখন আমরা প্রস্তুত।
এ বিষয়ে ডিএসসিসির অতিরিক্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বলেন, মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার হস্তান্তরের বিষয়ে প্রাথমিক একটা সভা হয়েছে। সেখানে হস্তান্তরের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জানা গেছে, মগবাজার-মৌচাক উড়াল সড়কটির বাংলামোটর, মগবাজার, তেজগাঁও, মালিবাগ রেলগেট, রামপুরা অংশ পড়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) আওতায়। আর বাকি অংশ মৌচাক, মালিবাগ মোড়, রাজারবাগ, শান্তিনগর অংশ পড়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) আওতায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।