পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) নেতৃত্বে আদালত চত্বর থেকে সৈকত পাল নামে এক যুবককে অপহরণের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তবে পরিবারসহ সৈকত জীবন নিয়ে মারাত্মক শঙ্কায় রয়েছেন। পরিবারের অভিযোগ, সুরেশ সরিষা তেলের স্বত্বাধিকারী সুধীর সাহার ইন্ধনে মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের বিনিময়ে পল্টন থানার ওসি একটি গায়েবি মামলায় তাদেরকে হয়রানি করছেন। এদিকে মতিঝিল ক্রাইম ডিভিশন থেকে বলা হয়েছে, পল্টন থানার ওসিসহ পুলিশের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ যথাযথ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
সৈকত পাল বলেন, গত সোমবার আদালত এলাকা থেকে বের হওয়ার সময় অতর্কিতভাবে ৭ থেকে ৮ জন লোক তাকে টেনেহিঁচড়ে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করে। তাদের কারও গায়ে পুলিশের পোশাক ছিল না। একপর্যায়ে তারা তাকে মারধর শুরু করে। তার মাকেও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়। এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত আইনজীবী ও কোতোয়ালি থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে তাকে অপহরণের হাত থেকে রক্ষা করেন। বর্তমানে নিজেসহ পরিবারের সদস্যরা জীবন নিয়ে শঙ্কার মধ্যে রয়েছেন। হত্যার আশঙ্কায় সব সময় তাদেরকে পালিয়ে বেড়াতে হচ্ছে। তিনি বলেন, দুই হাজার ৩৩০ টাকা চুরির অভিযোগ এনে আজিজুল নামে এক ব্যক্তি তাকেসহ চারজনের বিরুদ্ধে মামলাটি করেন। বাদীর বাড়ি চাঁদপুর বলে এজহারে উল্লেখ করা হলেও এ নামের কাউকে তিনি চেনেন না। তার শ্বশুর সুধীর সাহা মোটা অঙ্কের অর্থ দিয়ে পল্টন থানার পুলিশকে ম্যানেজ করে তার বিরুদ্ধে এমন গায়েবি মামলা করিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, এক এক করে ৮টি মামলা দায়ের করে সুধীর সাহা তাদের জীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছেন। এ ঘটনায় তার অন্তঃসত্ত¡া স্ত্রী মানসিক ও শারীরিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেনের কারণে মামলা ও অপহরণের সকল কলকাঠি নেড়েছেন পল্টন থানার ওসি মাহমুদুল হক। ওসির নির্দেশেই ঊর্ধ্বতন কোন কর্মকর্তাকে অবহিত না করে আদালত চত্বরে সৈকতকে ধরে আনতে যান পল্টন থানার এসআই আব্দুল হান্নান ও সোমেন বড়ূয়া। ইতোমধ্যে তাদের দু’জনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এছাড়া দ্রæত ওসির ব্যাপারে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এমন একটি গায়েবি মামলা করা হলেও পুলিশের ঊর্ধ্বতন সকল কর্মকর্তাদের কাছে বিষয়টি গোপন করেছেন ওসি। এছাড়া অন্য এলাকায় কাউকে ধরতে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট থানার কর্মকর্তাদের অবহিত করার বিধান থাকলেও সেটিও তিনি অমান্য করেছেন।
সৈকতের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, পুলিশ সদস্যদের সিভিল ড্রেসে এসে আদালত চত্বর থেকে একজন বিচার প্রার্থীকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা খুবই নিন্দনীয়। এটা ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। আদালত চত্বর থেকে এভাবে কাউকে ধরে নেওয়ার নজির নেই। এ ঘটনায় আদালত ও বিচার সংশ্লিষ্টরাসহ পুরো দেশবাসী বিস্মিত।
মতিঝিল জোনের এডিসি শিবলী নোমান বলেন, অভিযোগের বিষয়টি পুলিশ গুরত্ব দিয়ে তদন্ত করছে। আর তদন্তে তিনি নিজেই নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অভিযুক্তদের বক্তব্য শোনা হচ্ছে। এছাড়া আদালত এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহসহ অন্যান্য আলামত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। খুব শীঘ্রই প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।
এ ব্যাপারে পুলিশের মতিঝিল ক্রাইম ডিভিশনের ডিসি আনোয়ার হোসেন বলেন, সিভিল ড্রেসে এভাবে আদালত প্রাঙ্গনে অভিযান চালানো কোনভাবেই কাম্য নয়। বিষয়টি খুব গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রত্যেকের দায় অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে পল্টন থানার ওসিসহ অভিযুক্ত পুলিশের কয়েকজন সদস্যের মোবাইল ফোনে কল করা হলে কেউ রিসিভ করেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।