বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দীর্ঘ ৭ বছর পর নরসিংদীর বহুল আলোচিত মেয়র লোকমান হত্যাকান্ড আবারো আলোচনায় উঠে এসেছে। গত ২ দিন ধরে বিষয়াটি ‘টক অব দ্যা টাউনে, পরিণত হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে লোকমান হত্যা মামলার একমাত্র পলাতক আসামী আ’লীগ নেতা মোবারক হোসেন মোবা ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পরার পর লোকমান হত্যা মামলা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় ওঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেগুলোতে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক লেখালেখি চলছে।
দীর্ঘ ৭ বছর মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশসহ মালয়েশিয়ায় আত্মগোপন করে থাকার পর হঠাৎ ঢাকায় ফিরে ডিবি পুলিশের হাতে ধরা পড়ার ঘটনাকে অনেকেই সন্দেহের চোখে দেখছেন। লোকজন বলছে আওয়ামীলীগ নেতা মোবারক হোসেন মোবা কোনো সাধারণ অপরাধী নয়। যেই মোবা লোকমানকে হত্যা করার জন্য ‘কিলিং স্কোয়াড’ গঠন করে আইনের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য বিদেশ চলে যেতে পারে, সেই মোবা ৭ বছর পর লোকমান হত্যা দিবসের প্রাক্কালে দেশে ফিরে পুলিশের হাতে ধরা পরার ব্যক্তি নয়। মোবা নিশ্চয়ই কোনো না কোনো মহলের গ্রীণ সিগন্যাল পেয়ে দেশে ফিরে থাকতে পারে। পুলিশের হাতে ধরা পরার বা ধরা দেয়ার ঘটনা হতে পারে মামলাও মামলার ওয়ারেন্ট মোকাবেলার একটি বহুমাত্রিক কৌশল। আর এর পেছনের কারণ হতে পারে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরীন দ্বন্ধের পরিবর্তন।
এক সময় যারা মেয়র লোকমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন তাদের অনেকে লোকমান পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। কেউ কেউ সরাসরি দ্বন্ধে জড়িয়ে পড়েছে। আবার অনেকেই নিস্ক্রিয়, নির্লিপ্ত আছে। লোকমান হত্যা মামলার আইনজীবীদের সূত্রে জানা গেছে হত্যা মামলাটি বর্তমানে হাই কোর্টের অ্যাপিলেট ডিভিশনে শুনানীর অপেক্ষায় রয়েছে। হত্যাকান্ডের পর পুলিশ এজাহারে বর্ণিত ১৪ জন আসামীর মধ্যে ১১ জনকে বাদ দিয়ে এবং এজাহার বহির্ভুত কয়েকজনকে সম্পৃক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে। মামলার বাদী এ ব্যাপারে নরসিংদী জজ কোর্টে একটি নারাজী পিটিশন দাখিল করলে আদালত বাদীর নারাজি না মঞ্জুর করে দেন। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে মোবাকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে দুটি মামলায়। একটি হচ্ছে লোকমান হত্যা মামলার পলাতক আসামী হিসেবে অপরটি হচ্ছে অস্ত্র মামলায়। আইনী সুযোগ না থাকায় তাকে লোকমান হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেয়া সম্ভব হয়নি। অস্ত্র মামলা দেখিয়ে তাকে ২ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। লোকমান সমর্থকদের দৃষ্টি এখন পুলিশের দিকে। বর্তমানে পুলিশ মোবাকে তাদের হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো স্বীকারোক্তি দিয়েছে বলে জানা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।