বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, অনতিবিলম্বে সংসদ ভেঙ্গে দিন। পদত্যাগ করুন। নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিন। নিজে বাঁচুন, দেশকে বাঁচান, দেশের জনগণকে বাঁচান। তারা বলেন, সরকারের তার যাবতীয় অবৈধ কর্মকান্ড আদালতের মাধ্যমে বৈধ করতে চাচ্ছেন। বিচার বিভাগের উপর প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা বন্ধ করুন। বর্তমানে থুবড়ে পড়ছে দেশের বিচার বিভাগ। গতকাল বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে মানববন্ধনে অংশ নিয়ে বক্তারা এসব কথা বলেন। আদালত বর্জন কর্মসূচিতে সরকার সমর্থিত আইনজীবীদের হামলার প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন।
সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন বলেন, বর্তমানে থুবড়ে পড়ছে দেশের বিচার বিভাগ। তাই বিচার বিভাগকে রক্ষার জন্যই সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি অতীতের মত সোচ্চার ভূমিকা পালন করছে। তিনি বলেন, আমরা আদালত বর্জনের কর্মসূচী দিয়েছিলাম, সেটা বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের কর্মসূচী ছিলো না। সেটা ছিল সকল আইনজীবীদের কর্মসূচী আইনজীবী সমিতির সিদ্ধান্তে। তিনি বলেন, ওখানে সরকারের বেতনভুক্ত কিছু কর্মচারীরা এসেছে। সে পক্ষে আওয়ামীলীগের সব আইনজীবীরা কিন্তু আসেনি। আজকের প্রোগ্রামটাও কিন্তু আইনজীবী সমিতির। বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের না। আজকে বিচার বিভাগ থুবড়ে পড়ছে। বিচার বিভাগ রক্ষার দায়িত্ব সুপ্রিম কোর্টের। সেজন্য আইনজীবী সমিতি বিষয়টিতে ভূমিকা রাখছে, অতীতেও রেখেছে, আগামি দিনেও রাখবে। ন্যাক্কারজনক ভাবে হাতুড়ি নিয়ে হামলা করেছেন, ভবিষ্যতে এসব থেকে বিরত থাকার আহবান জানান তিনি। সম্পাদক ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, দুদক মামলা দায়েরের এখতিয়ারই রাখেনা সে মামলায় রায় হচ্ছে। আগের সাত বছর, পরের দিন দশ বছর, এরপর গঠণতন্ত্র সংশোধন করা যাবে না এই মর্মে নির্দেশ। এ থেকে কি প্রমাণিত হয়? কি প্রমানিত হয়? সরকারের তার যাবতীয় অবৈধ কর্মকান্ড আদালতের মাধ্যমে বৈধ করতে চাচ্ছে। তিনি বলেন, সরকার তাদের অবৈধ কর্মকান্ড থেকে বাচার জন্য, রক্ষার জন্য খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে যা চলেনা সেই মামলায় তারা বিচার করার ব্যবস্থা করেছে। তিনি বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানকে দেশের সাধারণ মানুষ হৃদয়ের মধ্যমনি। আদালতকে ব্যবহার করে তাদেরকে বিএনপির নেতৃত্ব থেকে সরানো যাবে না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আদালতের আদেশে নেতা হননি। তাই বিএনপির নেতৃত্ব ইস্যুতে আদালত কি করলো, না করলো তা দেশের মানুষ কেয়ার করে না। আওয়ামীপন্থী আইনজীবীরা হাতুড়ি নিয়ে আদালত বর্জন চলাকালীন আইনজীবীদের ওপর হামলা করেছেন। অবিলম্বে এদের বিচার হবে। এসময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, তৈমূর আলম খন্দকার, মো: আখতারুজ্জামান, গোলাম মোস্তফা, গোলাম রহমান, রফিকুল ইসলাম তালুকদার রাজা, অ্যাডভোকেট আবেদ রাজা, ফারুক হোসেন, মনির হোসেন, ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, আইয়ুব আলী আশ্রাফী, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান, আনিছুর রহমান খান, শরিফ ইউ আহমদ প্রমুখ। মানবন্ধন শেষে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে একটি মিছিল বের করে আইনজীবীরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।