পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলগুলোর আধুনিকায়ন এবং ‘র’ সুগার থেকে পরিশোধিত চিনি উৎপাদনে কারিগরি ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে ভারত। এ লক্ষ্যে খুব শিগগিরিই ভারতের পক্ষ থেকে একটি সমন্বিত প্রস্তাব শিল্প মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হবে। এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে সহায়তার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে তা বাস্তবায়নের জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা হবে।
ভারতের খাদ্য সচিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনারসহ এক প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার (১ নভেম্বর) শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সাথে বৈঠককালে এ আগ্রহের কথা জানান। শিল্প মন্ত্রণালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে ভারতের খাদ্যসচিব রবিকান্ত, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বেগম পরাগ, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এ কে এম দেলোয়ার হোসেনসহ ভারতীয় প্রতিনিধিদলের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে দু’দেশের শিল্পখাতে সহায়তার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় বাংলাদেশের চিনি শিল্পের আধুনিকায়ন, ‘র’ সুগার থেকে রিফাইন্ড সুগার উৎপাদন, আখচাষিদের প্রশিক্ষণ, উচ্চ রিকভারীসম্পন্ন আখজাত হস্তান্তর এবং চিনি শিল্পের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের ওপর আলোচনা হয়।
বৈঠকে ভারতের খাদ্যসচিব রবিকান্ত বলেন, উচ্চ প্রযুক্তির আখচাষের মাধ্যমে ভারত উদ্বৃত্ত পরিমাণে চিনি উৎপাদন করছে। এ চিনি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে তারা প্রতিবেশি দেশগুলোসহ আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি করতে আগ্রহী। বাংলাদেশে চিনি উৎপাদনে ঘাটতি থাকায় তারা এদেশে অপরিশোধিত চিনি রপ্তানির জন্য শিল্পমন্ত্রীর সহায়তা চান। এক্ষেত্রে তারা প্রযুক্তিগত সহায়তার পাশাপাশি প্রয়োজনে ভারতীয় ‘লাইন অব ক্রেডিট’ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশকে আর্থিক সহায়তার প্রস্তাব দেন।
আমির হোসেন আমু বলেন, ভারতের জাতীয় মান নির্ধারণী সংস্থা এনএবিএল ইতোমধ্যে ২১টি পণ্যের অনুকূলে বিএসটিআই’র পরীক্ষণ সনদ গ্রহণ করেছে। আরও ১২টি পণ্যের পরীক্ষণ সনদ গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। তিনি দ্রুত এসব পণ্যের পরীক্ষণ সনদ গ্রহণ করতে ভারতীয় খাদ্য সচিব এবং হাইকমিশনারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকলের আধুনিকায়ন, উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ‘র’ সুগার পরিশোধনের সুযোগ তৈরি করতে ভারতের সহায়তার প্রস্তাবকে স্বাগত জানান। এ বিষয়ে একটি সমন্বিত প্রস্তাব পাওয়ার পর তা বাস্তবায়নে শিল্প মন্ত্রণালয়ের পক্ষ দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ নেয়া হবে বলে তিনি প্রতিনিধিদলকে আশ্বস্ত করেন।###শব্দ-২৯২
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।