রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
নুরুল আলম বাকু, দামুড়হুদা (চুয়াডাঙ্গা) থেকে
কেরু চিনিকলের গো-খাদ্য তৈরির প্রকল্পটি দীর্ঘদিন যাবৎ বন্ধ অবস্থায় পড়ে থেকে নষ্ট হচ্ছে। চালু করার উদ্যোগ নেই চিনিকল কর্তৃপক্ষের। যন্ত্রপাতি সরিয়ে প্রকল্পের স্থানে গড়ে তোলা হয়েছে চিনি রাখার গুদাম। সংশ্লিষ্টদের সঠিক পরিকল্পনা ও উদাসীনতার কারণে প্রকল্পটির অকাল মৃত্যুতে লাভজনক প্রকল্পটি পরিণত হয়েছে লোকসানের বোঝায়। জানা যায়, ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের পর থেকেই নানা অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কারণে এশিয়া মহাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও দেশের সর্ববৃহৎ চুয়াডাঙ্গার দর্শনা কেরু চিনিকল বছরের পর বছর লোকসান গুনতে শুরু করে এবং আজ পর্যন্ত যা অব্যাহত রয়েছে। চিনিকলের লোকসান বাঁচাতে বিভিন্ন সময়ে হাতে নেয়া হয় নানা প্রকল্প। তারই ধারাবাহিকতায় ১৯৯০-৯১ সালের দিকে কেরু চিনিকলের অভ্যন্তরে ফ্যাক্টরি সংলগ্ন স্থানে মিলের চিটাগুড় ব্যবহার করে গো-খাদ্য উৎপাদনের একটি প্রকল্প হাতে নেয় চিনিকল কর্তৃপক্ষ। এতে মেশিনারিজ ক্রয় ও বিল্ডিং নির্মাণে খরচ হয় ১০ লক্ষাধিক টাকা। এ প্রকল্পে চিনিকলের চিটাগুড়ের সাথে বাজার থেকে সরিষার খৈল, গম, গমের ভূষি, ইউরিয়া সার ইত্যাদি কিনে তা দিয়ে গো-খাদ্য তৈরি শুরু হয়। এসবের মিশ্রণ দিয়ে মেশিনের সাহায্যে গো-খাদ্য হিসাবে হাফ ইঞ্চি পুরু ৫ ইঞ্চি বাই ৬ ইঞ্চি মাপের কেক তৈরি শুরু হয়। এ খবর আশপাশে ছড়িয়ে পড়লে গরু-ছাগলের মালিকরা এসব কেক কিনে গরু-ছাগলের খাওয়াতে শুরু করে। এ খাদ্য গরু ছাগলেরও খুব প্রিয় হওয়ায় চাহিদা বাড়তে থাকে। জানা যায়, ওই সময় অনেক খামারি এ কেক নেয়ার জন্য আগাম টাকা দিয়ে যেতেন। ছাগলের ফার্ম মালিকরাই বেশি কিনতেন। ৫ বাই ৬ ইঞ্চি মাপের একেকটি কেক ৫ টাকায় বিক্রি হতো। চিনিকলের স্টোরের অধীনে চলতো এটি এবং এ প্রকল্পের পুরো দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন ফ্যাক্টরি ম্যানেজার। জানা যায়, উৎপাদিত গো-খাদ্য প্রকল্পটি অল্পদিনেই একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ নেয়। এ প্রকল্পটি চালানোর জন্য নির্দিষ্ট কোনো লোকবল না থাকায় শুরু হওয়ার মাস ছয়েক পর থেকেই ভাটা পড়ে উৎপাদনে। এ প্রকল্পটি অপার সম্ভাবনাময় হওয়া সত্ত্বেও সংশ্লিষ্টদের উদাসীনতা ও চরম অবহেলার কারণে প্রকল্পটি মুখ থুবড়ে পড়ে। অবশেষে বন্ধ হয়ে যায় এর উৎপাদন কার্যক্রম। এরপর অজ্ঞাত কারণে আর প্রকল্পটি চালু করার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি চিনিকল কর্তৃপক্ষ। আর সেই থেকেই অযতেœ অবহেলায় দীর্ঘদিন পড়ে থেকে নষ্ট হতে থাকে এর মূল্যবান কলকব্জা। সর্বশেষ ২০১৩-১৪ মাড়াই মৌসুমে অবিক্রিত চিনি রাখার জন্য গো-খাদ্য প্রকল্পের স্থানে নতুন গুদাম তৈরি করার সময় যন্ত্রপাতিগুলো সরিয়ে ফেলা হয়। আর এভাবেই অকাল মৃত্যু ঘটে চিনিকলের একটি সম্ভাবনাময় লাভজনক প্রকল্পের। এব্যাপারে কেরু চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন বলেন, ৮০’র দশকে ওটা চালু করা হয়েছিল। পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে গেছে। ওইসব যন্ত্রপাতি বর্তমানে কি অবস্থায় আছে আমার জানা নেই। তবে ভবিষ্যতে প্রকল্পটির আধুনিকায়ন করে চালু করা হতে পারে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।