পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটলেও রাজধানীতে অধরাই থেকে যাচ্ছে খুনীরা। মোহাম্মদপুরের এক বাড়ির ভেতর থেকে ড্রামে ভর্তি অর্ধগলিত নারীর লাশ উদ্ধারের রেশ কাটতে না কাটতেই সবুজবাগ বেগুনবাড়ির একটি ফাঁকা জায়গা থেকে রাশেদ আকন্দ (৩০) নামের এক অটোরিকশা চালকের জবাই করা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল ভোরে লাশটি উদ্ধার করার পর ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মোহাম্মদপুরে ড্রামে ভর্তি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গতকাল পর্যন্ত জড়িতদের গ্রেফতার বা নিহতের পরিচয় উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। লাশ শনাক্ত না হওয়ায় ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে সংরক্ষন করে রাখা হয়েছে। এছাড়া গত ২২ অক্টোবর উত্তরার দিয়াবাড়ীর কাশবন থেকে ইমান শেখ ও কামাল শেখ নামে দু’জনের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হলেও গত ১০ দিনে জোড়া খুনের রহস্য উদঘাটন বা খুনীদের শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও তদন্ত ধামাচাপা পড়ে রয়েছে বলে অভিযোগ নিহতদের পরিবারের সদস্যদের।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিটি হত্যাকান্ডই গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হয়। কোন কোন হত্যাকান্ডের ঘটনা জড়িতদের গ্রেফতার ও নিহতকে শনাক্ত করতে সময় লাগলেও খুনীরা ছাড় পায় না।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল ভোর সাড়ে ৬ টাকর দিকে সবুজবাগ বেগুনবাড়ির একটি ফাঁকা জায়গা থেকে রাশেদ আকন্দ (৩০) নামের এক অটোরিকশা চালকের জবাই করা লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয় লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
সবুগবাগ থানার ওসি আবদুল কুদ্দুস ফকির দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, নিহতের গলা কাটা ও পেটে চারটি ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। নিহত রাশেদ গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা উপজেলার চিথলিয়া গ্রামের ছাদেক আকন্দের ছেলে। সবুজবাগ রাজারবাগ কালীবাড়ি এলাকায় রহিমের গ্যারেজে থাকতেন।
তিনি আরো জানান, রাশেদ ঢাকায় ব্যাটারী চালিত অটোরিকশা চালক ছিলেন। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গ্যারেজ থেকে রিকশা নিয়ে বের হয় রাশেদ। রাত ১টার দিকে গ্যারেজে ফেরার কথা থাকলেও আর ফেরেনি। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পাওয়া যায়নি। এলাকায় রাশেদের কোন শত্রু ছিল না। ধারণা হচ্ছে, তাকে মেরে রিকশা নিয়ে গেছে খুনীরা। অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতকারীরা অন্য কোথাও তাকে হত্যা করে লাশ ওখানে ফেলে রেখে যায়। এখনও খুনীদের শনাক্ত বা হত্যাকান্ডের কারন জানা যায়নি। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মোহম্মদপুর থানার ওসি (অপারেশনস) শরিফুল ইসলাম দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, মোহাম্মদপুরের এক বাড়ির ভেতর থেকে ড্রামে ভর্তি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় এখনও নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ত্রিশ বছর বায়সী ওই নারীকে শ্বাসরোধে হত্যার পর তার স্বামী লাশ ড্রামে ভরে পালিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে তথ্য পাওয়া গেছে। লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের পরিচয় শনাক্ত বা জড়িতদের গ্রেফতার কনরা সম্ভব না হলেও হত্যাকান্ড সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট করে কিছুই বলা যাবে না। আমরা খুনীদের গ্রেফতারের পাশাপাশি ওই নারীর পরিচয় উদ্ধারের চেষ্টা করছি বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য প্রতিবেশীরা বন্ধ ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে থানায় খবর দিলে গত ২৯ অক্টোবর সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে মোহাম্মদপুর উদ্যানের বি ব্লকের বাড়িতে যায় পুলিশ। পরে ড্রামের ভেতরে অর্ধগলিত লাশটি পাওয়া যায়। ওই নারীর শরীরের কোথাও আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ দেখে মনে হয়েছে হত্যাকান্ড ঘটেছে দুই থেকে তিন দিন আগে।
গত ২২ অক্টোবর দিয়াবাড়ীর কাশবন থেকে অর্ধগলিত দুটি লাশ উদ্ধার করে তুরাগ থানা পুলিশ। এরপর থেকে বিষয়টি নিয়ে পুলিশি তদন্তে কোন অগ্রগতি নেই। নিহত ইমানের স্ত্রী রোকসানা দাবি করেন, তার স্বামীর কোন শক্রু ছিল না। ঢাকার গাবতলীতে ট্রাকের শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন। গত ১৪ অক্টোবর থেকে খোঁজ পাচ্ছিলেন না স্বামীর। মোবাইল ফোনও বন্ধ ছিল। এরপর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ মর্গে গিয়ে স্বামীর গলিত লাশ সনাক্ত করেন। স্বামী হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি করেন তিনি।
তুরাগ থানার ওসি নূরুল মুত্তাকিন গতকাল বলেন, ইমান ও কামালের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দায়। নগরকান্দা থানায় তাদের বিরুদ্ধে আগে থেকেই মামলা ছিল। তবে তাদেরকে কারা, কেন, কিভাবে হত্যা করেছে সে বিষয়ে তদন্ত করা হচ্ছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ ঘটনায় একটি নিয়মিত মামলা হয়েছে। তদন্তে এখনও তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। মৃতদেহ পচে যাওয়ায় তাদের শরীরের আঘাত সনাক্ত করা যায়নি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।