পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
পিতৃহীন সন্তানদের ভরণপোষণ জোগাতে ‘খুনি’ সেজে তিন বছর ধরে জেল খেটে বের হয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় করুণ মৃত্যুর শিকার সেই মিনু আক্তারের দুই ছেলের পাশে দাঁড়িয়েছে ইস্পাত নির্মাণ শিল্প প্রতিষ্ঠান কেএসআরএম। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের কাছে পাঁচ লাখ টাকার চেক হস্তান্তর করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার কেএসআরএম এর গণমাধ্যম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম এ চেক হস্তান্তর করেন। এসময় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) সুমনী আক্তার উপস্থিত ছিলেন।
মিনু আক্তারের দুই সন্তানের মধ্যে বড় ইয়াসিন (১৩) আছে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ শিশু কিশোর সংশোধনাগারে। ছোট ছেলে গোলাপ (১০) দিনমজুর মামার আশ্রয়ে আছে। কেএসআরএম উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম বলেন, বিভিন্ন গণমাধ্যমে হতভাগ্য মিনু ও তার সন্তানদের দুর্দশার বিষয় জেনে প্রতিষ্ঠানের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত মানবিক সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন। তিনি আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন তাদের ভরণপোষণের দায়িত্ব নেওয়ার। এ কারণে জেলা প্রশাসকের কাছে দুই সন্তানের জন্য অনুদানের চেক হস্তান্তর করা হয়েছে।
মিনু আক্তারের বাড়ি কুমিল্লা জেলার ময়নামতি এলাকায়। তিনি সীতাকুণ্ডের জঙ্গল ছলিমপুর এলাকায় থাকতেন। তার স্বামী ট্রাকচালক বাবুল আক্তার ২০১৮ সালে মারা যান। সন্তানদের নিয়ে কঠিন সময় পার করছিলেন তিনি। এসময় তার সন্তানদের লালন পালনের জন্য নগদ এক লাখ টাকাসহ নানা সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথা বলে তাকে একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসাবে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়। তিনি তাতে রাজি হয়ে কারাগারে গেলেও কোন টাকা দেওয়া হয়নি। তিন বছর কারাভোগের পর বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে তিনি মুক্তিপান। মুক্তির কিছুদিন পর এক সড়ক দূর্ঘটনায় মারা যান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।