পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মাকে গুলি করে খুনের ঘটনায় ছেলেকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটিও উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার রাতে গ্রেফতার মাঈনুল ইসলাম ওরফে মাঈনুদ্দীন মাঈনু (২৯) বীর মুক্তিযোদ্ধা সামশুল আলম মাস্টারের ছেলে। তিনি এরশাদের জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পটিয়া পৌরসভার মেয়র ছিলেন। গত ১৩ জুলাই তিনি মারা যান। গত মঙ্গলবার পটিয়া পৌর সদরে নিজ বাড়িতে ছেলের গুলিতে নিহত হন সামশুল আলম মাস্টারের স্ত্রী জেসমিন আক্তার (৬০)। এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে বাদী হয়ে মাঈনুদ্দীনকে আসামি করে পটিয়া থানায় মামলা করেন।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের প্রধান লেফটেন্যান্ট কর্নেল এমএ ইউসুফ জানান, জেসমিন আক্তারকে গুলি করে দ্রুত পালিয়ে মাঈনুদ্দীন পটিয়ার পাশের উপজেলা চন্দনাইশের দোহাজারিতে চলে যান। সেখান থেকে পরিচিত এক ‘বড় ভাইয়ের’ মাধ্যমে সাতকানিয়ায় গিয়ে একটি কারখানায় আশ্রয় নেন। গ্রেফতার এড়াতে মাঈনুদ্দীন তার মোবাইল ফোন সেট ফেলে দেন। এরপর ঢাকায় চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
সাতকানিয়ার কেরাণীহাট থেকে সে ঢাকাগামী বাসে উঠলেও টিকিট না কেটে বাস সুপারভাইজারের সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে গাড়িতে উঠেছিল। ওই বাস কর্ণফুলী সেতু এলাকায় পৌঁছার পর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে অভিযানে গিয়ে সাতকানিয়া এলাকার একটি গুদাম থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি উদ্ধার করা হয়।
র্যাবের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, গ্রেফতারের পর মাঈনুদ্দীনের মধ্যে মাকে খুন করার জন্য কোন ধরনের অনুশোচনা দেখিনি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছে, হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পিস্তলটি তিনি তার বাবার অফিস থেকে সংগ্রহ করেছিলেন। সেটি বৈধ নাকি অবৈধ তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। টাকা-পয়সা-সম্পত্তি নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে প্রথমে সে তার বোনকে গুলি করে। গুলিটি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। পরের গুলিটি তার মায়ের চোখের নিচে বিদ্ধ হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের কারণ সম্পর্কে র্যাব অধিনায়ক এম এ ইউসুফ জানান, সামশুল আলম মাস্টার জীবিত থাকা অবস্থায়ই মাঈনুদ্দীন উচ্ছৃঙ্খল ও নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এজন্য ছেলের ওপর তিনিও বিরক্ত ছিলেন। ছেলেকে বাদ দিয়ে তার সম্পত্তি স্ত্রী ও মেয়ের নামে রেখে যান। গত ১৩ জুলাই সামশুল আলম মাস্টার মারা যাওয়ার পর তাদের মধ্যে সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।