Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

টেস্টে কিপিংয়ে ফিরছেন মুশফিক

স্পোর্টস রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

অনেক দিন থেকেই দেশের ক্রিকেটের আলোচিত ইস্যু টেস্টে মুশফিকুর রহিমের কিপিং। দলের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ও মিডল অর্ডারের বড় ভরসা তিনি, দল তার কাছে চায় বড় ইনিংস। লম্বা সময় কিপিং করে ব্যাটিংয়ে লম্বা ইনিংস খেলা কঠিন। ব্যাটিং ও কিপিংয়ের ফাঁকে বিশ্রামটুকুর জন্যই টেস্টে তাকে ব্যাট করতে হচ্ছিল ৬ নম্বরে। তাতে তার ব্যাটিং সামর্থ্যরে সেরাটা তিনি নিজে ও দল পাচ্ছে কিনা, এটি ছিল সবসময়ের প্রশ্ন। তবে মুশফিক বরাবরই জানিয়েছেন, কিপিং তিনি চালিয়ে যেতে চান, একসঙ্গে দুটি ভার বইতে আপত্তি নেই। অবশেষে গত বছর তাকে কিপিংয়ের ভার থেকে মুক্তি দেওয়ার কঠিন সিদ্ধান্তটি নেয় দল। সেই সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে এই সিরিজের আগ পর্যন্ত ৬ টেস্টে মুশফিক খেলেছেন কেবল ব্যাটসম্যান হিসেবেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেকনিক্যাল কারণে ৬ নম্বরে খেলা ছাড়া অন্য টেস্টগুলোয় ব্যাট করেছেন চার নম্বরে।

টেস্টে কিপিং ছাড়ার পর নতুন উচ্চতায় উঠেছিল কুমার সাঙ্গাকারা ও ব্রেন্ডন ম্যাককালামের ব্যাটিং ক্যারিয়ার। এ রকম উদাহরণ আছে আরও। মুশফিকের ক্ষেত্রেও ভাবনাটি ছিল এমনিই। বিস্ময়করভাবে হয়েছে উল্টো। কিপিং ভার কমানোর পর কমে গেল তার ব্যাটের ধার! কিপিং না করা এই টানা এই ৬ টেস্টের ১২ ইনিংসে ব্যাটসম্যান মুশফিককে পাওয়াই যায়নি সেভাবে। ফিফটি মোটে একটি! টেস্ট ক্যারিয়ারের সামগ্রিক চিত্রও একইরকম অদ্ভুত। কিপিং করা টেস্টে তার ব্যাটিং গড় ৩৬.৬০, কিপিংয়ের চাপমুক্ত থেকে ব্যাটিং গড় ২৪.৪৭। দীর্ঘমেয়াদে কিপিং ছেড়ে শুধু ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলে গেলে রেকর্ড বদলাতো কিনা, সেই প্রশ্ন থাকতে পারে। তবে আপাতত সেটি দেখা হচ্ছে না। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিলেট টেস্ট দিয়ে কিপিংয়ে ফেরা মোটামুটি নিশ্চিত।

টেস্টে কিপিং করা নিয়েই সপ্তাহ দুয়েক আগে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুশফিক বলেছিলেন, ‘আমি এখনও বিশ্বাস করি, কিপিংটা আমার ব্যাটিংয়ে অনেক সাহায্য করে। পেছন থেকে যখন আমি দেখি, তখন তা আমার অধিনায়কত্ব ও ব্যাটিংয়ে অনেক সহায়তা করে। সব ব্যাটসম্যানেরই একটা প্রস্তুতি থাকে না? নক করা বা এমন কিছু, আমার প্রস্তুতিতে কিপিংটা বড় অংশ।’ এদিনও তার কণ্ঠে শোনা গেল অনেকটা একই রকমের কথা। কিপিং না করা টেস্টে যেখানে ব্যাটিং ভালো হওয়ার কথা, সেটি উল্টো হওয়ার কারণ কিছুটা আন্দাজ করা যায় মুশফিকের ভাবনা থেকেই, ‘আমার কোনোটাতেই আপত্তি নেই। তবে আমার ভালোর জন্য কিপিং ছাড়ার কথা বলেছেন অনেকে। কিন্তু আমি নিজে তো জানি, কোনটায় আমার আত্মবিশ্বাস বেশি থাকে!’

তবে মুশফিকের চাওয়া বা কিপিং না করে তার বিবর্ণ পারফরম্যান্স নয়, তাকে কিপিংয়ে ফেরানোর বড় কারণ সাকিব আল হাসানের না থাকা। দলের সঙ্গে সিলেটে আসা নির্বাচক হাবিবুল বাশার বললেন টিম কম্বিনেশনের কথাই, ‘সাকিব না থাকা মানে একই সঙ্গে একজন স্পেশালিস্ট ব্যাটসম্যান ও স্পেশালিস্ট বোলার হারানো। একজন বাড়তি ব্যাটসম্যান কিংবা বাড়তি বোলার, একাদশে দল যেটিরই প্রয়োজন মনে করুক, সেই বিকল্প রাখতেই মুশফিককে কিপিংয়ে ফেরানোর ভাবনা। দল নির্বাচনে সেটিই ছিল আলোচনায়।’

পারিপার্শ্বিক সব কিছু মিলিয়েই তাই প্রিয় কিপিং গ্লভস ফিরে পাচ্ছেন মুশফিক। দল অপেক্ষায় টেস্টে তার ব্যাটিং ধারাবাহিকতা ফিরে পাওয়ারও।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মুশফিক

১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২
৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ