পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
প্রবহমান নদীগুলোতে বাঁধ দেয়ার প্রতিবাদে ভারতীয় টিভি চ্যানেলের প্রদর্শন পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। খবরে বলা হয়, নিম্ন আদালতের রায় উল্টে দিয়ে ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর সম্প্রচার নিষিদ্ধের আদেশ পুনর্বহাল করেছে পাকিস্তানের সর্বোচ্চ আদালত। পাকিস্তানের মধ্যদিয়ে প্রবাহিত নদীগুলোতে ভারতের বাঁধ নির্মাণের কারণে তাদের চ্যানেলগুলো নিষিদ্ধের সিদ্ধান্তটি সমর্থনযোগ্য বলে মন্তব্য করেছেন পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসার। এ বাঁধগুলো তাদের বিরুদ্ধে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাকিস্তানের। অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারত। ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ও চলচ্চিত্রের জনপ্রিয়তা আছে পাকিস্তানে। কিন্তু দুদেশের মধ্যে উত্তেজনা চলাকালে এর আগেও সেগুলো নিষিদ্ধ করেছিল পাকিস্তান। খবরে প্রকাশ, লাহোর হাইকোর্টের আগের রায় উল্টে দিয়ে বিচারপতি নিসার বলেছেন, “পাকিস্তানমুখি পানির প্রবাহ সঙ্কুচিত করছে ভারত। তাদের চ্যানেলগুলো আমরা কেন বন্ধ করবো না?” পাকিস্তানের ৮০ শতাংশেরও বেশি সেচভিত্তিক কৃষিজমি সিন্ধু নদ ও এর উপনদী, শাখানদীগুলোর ওপর নির্ভরশীল। এসব নদীর অধিকাংশেরই উৎস হিমালয় পর্বতমালা। ১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো ভারতীয় চলচ্চিত্রের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল পাকিস্তান। ২০০৮ সালে ওই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হলেও তারপর থেকে বিক্ষিপ্তভাবে নিষেধাজ্ঞা ফের বহাল করা হচ্ছিল। ২০১৬ সালে ভারত অধিকৃত বিরোধপূর্ণ অঞ্চল কাশ্মিরে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ বিক্ষোভকারীদের কঠোর হাতে দমন করার পর সব ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল ও রেডিওর সম্প্রচার ফের বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।