পঞ্চগড়-তেঁতুলিয়া মহাসড়কে দশ মাইল বাজার এলাকায় বাস-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গতকাল শুক্রবার রাত ৭.৩০টায় পঞ্চগড় থেকে ছেড়ে আসা তেঁতুলিয়াগামী ভাই-বোন এন্টারপ্রাইজ নামক একটি বাস দশ মাইল নামক স্থানে স্লিপার বোঝাই ট্রাকের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনস্থলেই নিহত হয় বাসের ১৩ জন যাত্রী। আহত হয় কমপক্ষে ৩০ জন। নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই বাসের ডান পাশের আসনে অবস্থান করছিলেন।
নিহতদের মধ্যে অনেকের মাথা শরীর হতে ছিন্ন হয়ে রাস্তায় পড়ে থাকা অবস্থায় পাওয়া যায়। ফলে লাশগুলো সনাক্ত করা মুশকিল হয়ে যায়। নিহতদের মধ্যে তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন এর গোয়াবাড়ি গ্রামের আব্দুর রশিদ এর ছেলে রাসেল (২০), গড়িয়াগছ গ্রামের সফিকুল এর পুত্র ইউনুস আলী ও তার ভাতিজা, এছাড়াও মাথাফাটা গ্রামের একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। অন্যান্যদের এখনো সনাক্ত করা যায়নি। স্থানীয় লোকজন বাসের যাত্রীদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে। এদের মধ্যে কর্তব্যরত ডাক্তার আরো ৬ জনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করে।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্স এর কর্মীরা ঘটনা স্থলে উপস্থিত হয়ে আহতদের উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে। তেঁতুলিয়া হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রায় ২ ঘন্টা পর মহাসড়কে বাস চলাচল স্বাভাবিক করে।
মাদারীপুরে নিহত ২
এদিকে মাদারীপুর জেলা সংবাদদাতা জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে মাদারীপুর-শরীয়তপুর-চাঁদপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের মহিষেরচর এলাকায় পিকআপ ভ্যান ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীসহ নিহত হয়েছেন দুইজন।
নিহতরা হলেন শরীয়তপুরের চরনিয়ামতপুর এলাকার মহজেল খানের ছেলে কবির খান (৩৫)। তিনি পেশায় ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালাতেন। অপরজন হলেন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার ঈশ^রদী এলাকার শফিজউদ্দিন মাতুব্বরের ছেলে মেজবাহ হাবিবুউল্লাহ (৩৫)। মেজবাহ মাদারীপুর ফায়ার সার্ভিসের একজন সদস্য ছিলেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শরীয়তপুরের মনোয়ারা থেকে ভাড়ায় চালিত একটি মোটরসাইকেলে করে মাদারীপুরে যাচ্ছিলেন মেজবাহ। মোটরসাইকেলটি মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেরচর এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি পিকআপ ভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় গুরতর আহত হয় দুইজন। স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে মারা যায় কবির। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মেজবাহ মারা যান।