Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

গ্রামীণ সেতু উন্নয়নে ৩৪৪৬ কোটি টাকা বিশ্বব্যাংকের

ঋণ প্রস্তাব অনুমোদন বোর্ডসভায়

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

পল্লী এলাকার (গ্রামীণ) সড়ক যোগাযোগ উন্নত করতে ১০০ মিটার পর্যন্ত দৈর্ঘের সেতু নির্মাণ, বিদ্যমান সেতুর সংস্কার ও প্রতিস্থাপনে সাড়ে ৪২ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দেবে বহুজাতিক উন্নয়ন সংস্থা বিশ্বব্যাংক। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। এ ঋণের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে বিশ্বব্যাংকের বোর্ড সভা। গতকাল শুক্রবার সংস্থার সদর দফতর ওয়াশিংটনে পরিচালনা পরিষদের সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রকল্পটির আওতায় ৮৫ হাজার মিটার সেতু সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষনে কাজ করা হবে। ২৯ হাজার মিটার সেতুর প্রশস্ততা বাড়ানো বা প্রতিস্থাপন করা হবে। এর বাইরে আরও ২০ হাজার মিটার নতুন সেতু নির্মাণ করা হবে। এ প্রকল্পের কাজে ৫৫ লাখ দিন কর্মসৃজন হবে বলে জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক। সেতু সংস্কার ও উন্নয়নে সরকারের চলমান উদ্যোগে এ প্রকল্পটি সহায়ক হিসেবে কাজ করবে বলেও জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর চিমিয়াও ফ্যান সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, প্রকল্পটির আওতায় সেতু নির্মাণের মাধ্যমে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ নেটওয়ার্কের সংযোগ শক্তিশালী হবে। সড়ক ব্যবহারের সুযোগ বৃদ্ধি পেলে পল্লী অঞ্চলের মানুষের জীবন যাত্রার মান বাড়বে। এর ফলে পল্লীর লাখ লাখ মানুষ বাজার, হাসপাতাল ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারবে সহজে। এ প্রকল্পটি পল্লীর মানুষের জন্য সম্ভাবনার নতুন দরজা খোলে দেবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশে সড়কের ঘনত্ব সন্তোষজনক। মোট স্থলভূমির তুলনায় বাংলাদেশে সড়কের হার দক্ষিণ এশিয়ার ভারত, শ্রীলঙ্কা বা অন্যান্য দেশের তুলনায় বেশি। তবে দেশটির ইউনিয়ন ও উপজেলা সড়কে প্রতি সাড়ে ৪ কিলোমিটার পর পর গড়ে একটি করে সেতু প্রয়োজন। চাহিদার তুলনায় দেশটিতে সেতুর পরিমাণ একপঞ্চমাংশ কম। এ প্রকল্পের আওতায় ৬১ জেলায় সেতু নির্মাণ, প্রশস্ততা বাড়ানো ও সংরক্ষণে কাজ করা হবে। ১৯ উপক‚লীয় জেলায় সেতু নির্মাণে জলবায়ু সহনশীলতায় গুরুত্ব দেয়া হবে।
তুলনামূলক সহজ শর্তে ঋণ দানে সহায়ক প্রতিষ্ঠান আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থার (আইডিএ) তহবিল থেকে এ ঋণ দিচ্ছে বিশ^ব্যাংক। ৩০ বছরে এ ঋণ পরিশোধ করতে হবে। এর মধ্যে রেয়াতকাল ধরা হয়েছে ৫ বছর। রেয়াকাল পরবর্তী শূণ্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ ধরা হয়েছে। সুদের হার ধরা হয়েছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ। এর বাইরে ছাড় না হওয়া অর্থের শূণ্য দশমিক ৫ শতাংশ হারে ধরা হয়েছে কমিটমেন্ট ফি। সব মিলে এ ঋণে বছরপ্রতি আড়াই শতাংশ পর্যন্ত বাড়তি অর্থ পরিশোধ করতে হবে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ঋণ

৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
২৫ জানুয়ারি, ২০২৩
২৯ ডিসেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ