Inqilab Logo

রোববার ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৪ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ প্রণয়ন করেছে সরকার

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বাংলাদেশর দূর্যোগ ঝুঁকি মোকাবেলা, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব এবং টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা নিয়ে ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ও দূর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক’ কর্মশালা আজ অফিসার্স ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। গতকাল শুক্রবার নবম বিসিএস ফোরাম ও জাইকা আয়োজিত এ ওয়ার্কশপে ভূমি ও পানি ব্যবস্থাপনা, ভূ- প্রকৃতির ব্যবহার, খাদ্য নিরাপত্তা, উষ্ণতা বৃদ্ধি, কৃষি উৎপাদন, দারিদ্র বিমোচন এবং উপকূলীয় দূর্যোগসহ ভবিষ্যতের বিভিন্ন চ্যালেঞ্চ বিষয়ে আলোচনা করা হয়।
নবম বিসিএস ফোরামের সভাপতি মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়ার সভাপতিত্বে এ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। কর্মশালায় প্যানেলিস্ট হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা কমিশনের সাধারন অর্থনীতি বিভাগের সদস্য সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমদ, দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ কামাল, পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব কবির বিন আনোয়ার, এবং জাইকার চিফ রিপ্রেজেনটেটিভ মি: হিতোশি হিরাটা। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোহসীন এবং পরিকল্পণা কমিশনের যুগ্মপ্রধান মফিদুল ইসলাম । নবম ব্যাচের কর্মকর্তাগণ ছাড়াও সিভিল সার্ভিসের বিভিন্ন ব্যাচের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। এ ধরনের পরিকল্পনা বাংলাদেশে প্রথম ও বিশ্বে বিরল বলে অভিহিত করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তরা বলেন যে, বাংলাদেশ ব-দ্বীপ হওয়ার কারণে নদী ভাঙ্গন, সমুদ্র তলদেশের উচ্চতা বৃদ্ধি, উপকূলীয় বন্যা, মাটি ও পানির লবনাক্ততা বৃদ্ধি এবং খারার ফলে খাদ্য উৎপাদনে বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। একই সাথে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণ গৃহহীন হয়ে পড়ে এবং দরিদ্র হয়ে যায়। বক্তারা বলেন, দেশের উন্নয়নের অভিযাত্রাকে অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে এ সকল মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় টেকসই কর্মপরিকল্পনার অংশ হিসেবে ডেল্টা প্লান ২১০০ প্রণীত হয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, সুশাসন এবং কার্যকর স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক পানি ব্যবস্থাপনার ফলে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক দূর্যোগের ক্ষয় ক্ষতির মাত্রা সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসা সম্ভব।
এছাড়া জীববৈচিত্র সুরক্ষা, উন্নততর হাওর ব্যবস্থাপনা, নদী রক্ষা বাঁধ নির্মাণ, জনবসতি সুরক্ষা কর্মসূচি, বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ, সকল প্রাণী ও উদ্ভিদের জীন-ব্যাংক প্রতিষ্ঠা এবং বাণিজ্যিকভাবে লাভজনক প্রাকৃতিক সম্পদের সুরক্ষার মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা সম্ভব মর্মে বক্তারা একমত পোষণ করেন। বাংলাদেশ কে ‘ব-দ্বীপ’ হিসেবে উল্লেখ করে এর সুরক্ষায় গৃহীত স্বল্প মেয়াদী, মধ্য মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পণা নির্ধারণ এবং লক্ষমাত্রা বাস্তবায়ন কৌশল স্থির করার জন্য সরকারের দৃঢ় প্রত্যয়ে আলোচকগণ বিশেষভাবে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ডেল্টা প্লান বাস্তবায়নে বৃহৎ ৮০টি প্রকল্পসহ সমন্বতি সকল উদ্যোগে অর্থায়ন পরিকল্পনা নিয়েও কর্মশালায় মতবিনিময় করা হয়। এছাড়া ডেল্টা অ্যাক্ট প্রণয়ন ও ডেল্টা ফান্ড গঠনের বিষয়েও সরকারের পরিকল্পনাকে বিশেষভাবে সমর্থন করা হয়। একই সাথে সরকারের পরিকল্পিত গৃহায়ণ কর্মসূচিকে আরো দ্রুততার সাথে বাস্থবায়ন, জল ও স্থল পথে বহুমাত্রিক যোগাযোগ পথ তৈরি এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্চ মোকাবেলা করা সম্ভব মর্মে সকলে অভিমত পোষণ করেন।
নদী খনন, জল প্রবাহের সুনির্দিষ্ট গতিপথ নির্ধারণ, পয়:নিস্কাষণ ব্যবস্থার উন্নয়ন, নগর ব্যবস্থাপনা উন্নতকরণ এবং পুষ্টি ও জীবিকার উপর্যুক্ত ব্যবস্থার দিকে বিশেষ লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন বলে কর্মশালায় সুপারিশ করা হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সরকার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ