পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
বিএনপি, গণফোরাম, জেএসডি ও নাগরিক ঐক্যের সমন্বয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হয়েছে। বিএনপি’র নেতৃত্বে একটি ২০ দলীয় জোট রয়েছে দীর্ঘদিন যাবত। এই জোটের সব দলই নয়া ফ্রন্টকে সমর্থন জানিয়েছে। ফলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংশ্লিষ্ট ও সমর্থিত দলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩০টির কাছাকাছি। বিএনপি একাই দেশের সর্বাধিক বড় ও জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তাই সার্বিকভাবেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক জোটে পরিণত হয়েছে নিঃসন্দেহে। উপরন্তু কিছু রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠন এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট হচ্ছে বলে মিডিয়ায় প্রকাশ। বিনাশর্তে যে কেউ এই ফ্রন্টে অংশগ্রহণ করতে চাইলে তাকে সাদরে গ্রহণ করা উচিৎ। এই নয়া ফ্রন্টের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে: ক্ষমতায় গেলে দেশে প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার স্থায়ী পথ সৃষ্টি করা। আর সেটা হলে দেশের সার্বিক উন্নতি ও শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে। তাই ফ্রন্টের লক্ষ্যগুলো সমগ্র দেশবাসীরও আশা-আকাক্সক্ষায় পরিণত হয়েছে। এমনকি মহান স্বাধীনতা যুদ্ধেরও চেতনা এই লক্ষ্যগুলো। তাই ফ্রন্টের ১১টি লক্ষ্যকে জাতীয় রক্ষাকবচ বলে আখ্যায়িত করেছেন বিশেষজ্ঞগণ। স্মরণীয় যে, তিনবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ও সর্বাধিক জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার আগে জাতীয় ঐক্য গড়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। সেমতে এই ফ্রন্ট গঠিত হয়েছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পর থেকে এর ঘোষিত ৭টি দাবি ও ১১টি লক্ষ্য নিয়ে দেশবাসীর মধ্যে ব্যাপক আলোচনা চলছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এর পক্ষে-বিপক্ষে অভিমত ব্যক্ত করছে। তবে সরকারি দলের নেতা-কর্মীদের সমালোচনা বেশি। ভোয়ার গত ১৫ অক্টোবর খবরের শিরোনাম হচ্ছে: ‘জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠন বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।’ যা’হোক, সরকার একদিকে নয়া ফ্রন্ট সম্পর্কে নানা কটূক্তি করছে, আবার বলছে, এই নয়া ফ্রন্টের আহ্বানে দেশের কেউ সাড়া দেবে না। তাই যদি হয়, তাহলে এই ফ্রন্ট ও তার নেতাদের সম্পর্কে কঠোর প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করা হচ্ছে কেন? দ্বিতীয়তঃ সরকারি জোট সম্প্রসারণ করার যে চেষ্টা করা হচ্ছে তাতে তো কেউ সমালোচনা করছে না। নিরপেক্ষ ও সকলের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করার জন্য বিশ্বের বহু শক্তি সংশ্লিষ্ট হয়েছে। আর নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তার ফলাফল কী হবে তা মোটামুটি সবারই জানা। সরকারও বুঝতে পেরেছে প্রতিদ্বদ্বীতাপূর্ণ নির্বাচন হলে তার রেজাল্ট কী হবে। তাই সরকারি জোট সম্প্রসারণের জোর চেষ্টা চলছে। একদা রাজাকার, ধর্মান্ধসহ নানা কটূক্তি করে জর্জরিত করেছিল যে হেফাজতকে, এখন তাকেই কাছে পাওয়ার জন্য সমঝোতা করেছে বলে সরকারের এক উপদেষ্টা ভারত সফরকালে বিবিসি বাংলার সাথে সাক্ষাৎকারে বলেছেন। কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেছেন, হেফাজতের বড় সমর্থক রয়েছে। তাই তাদের প্রয়োজন রয়েছে। হেফাজতের প্রধান নেতা মাওলানা শফীও স¤প্রতি বলেছেন, সরকার কওমি মাদরাসার সনদের স্বীকৃতি দিয়েছে এবং মাদরাসাকে অনেক আর্থিক সহায়তা করেছে। তাই আমি সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছি। এমনকি আওয়ামী লীগার হতেও আমার কোনো আপত্তি নেই। অর্থাৎ একদা যারা মাওলানা শফিকে তেঁতুল হুজুর বলে আখ্যায়িত করেছে, তারাই আজ তার চরম ভক্ত হয়ে গেছে। তেঁতুল হুজুর এখন ‘মধু হুজুর’-এ পরিণত হয়েছেন। এ ব্যাপারে ১৬ অক্টোবর এক দৈনিকে বলা হয়েছে, ‘পর্যবেক্ষকরা বলছেন, চারটি পন্থা প্রয়োগ করে হেফাজতে ইসলামকে আওয়ামী লীগ বশে এনেছে। এগুলো হলো- কওমি সনদকে মাস্টার্সের সমমানের স্বীকৃতি দেওয়া, হেফাজতের বিরুদ্ধে সারাদেশে দায়ের করা ৮৩টি মামলার সবগুলো নিষ্ক্রিয় করে রাখা, সংগঠনটির তহবিলে নিয়মিত দান-খয়রাত করা ও স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে অব্যাহত যোগাযোগের মাধ্যমে উষ্ণ সম্পর্ক তৈরি করা। এসব কারণে বিএনপি ও জাতীয় পার্টি নানাভাবে চেষ্টা করেও হেফাজতকে নিজেদের প্রতি সহানুভূতিশীল করে তুলতে পারেনি।’ অবশ্য হেফাজতের সকলেই মাওলানা শফীর সাথে একমত নন বলে অনুমেয়। কারণ, অনেকেই শাপলা চত্বরে রাতের অন্ধকারে সংঘটিত ঘটনা ভুলে যায়নি। যা’হোক, সরকার বিএনপির জোটকে দুর্বল করার লক্ষ্যে এই জোটের কাউকে কাউকে নানা প্রলোভন দেখিয়ে কাছে টেনে নিতে পারে। এমনকি শেষ দিকে নির্যাতনের মাত্রা আরও বাড়াতে পারে। অবশ্য তাতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ও বিএনপি জোটের কোনো ক্ষতি হবে না। তবুও এ ব্যাপারে সতর্ক থাকা দরকার। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের পরস্পরের মধ্যে গভীর সম্পর্ক সৃষ্টি এবং তা অটুট রেখে প্রজ্ঞা ও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবেলা করে শেষ ধাক্কা সামলাতে হবে। তাহলে কামিয়াবি নিশ্চিত। কারণ, জনগণ তাদের সাথে আছে। মানুষ চায়, ‘আমার ভোট আমি দেব, যাকে খুশি তাকে দেব’ এই নীতির বাস্তবায়ন। ‘আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব এবং তোমার ভোটও আমি দেব এবং যখন খুশি তখন দেব, দিনের ভোট রাতে দেব’ এই নীতি থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার লক্ষ্যেই জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট থেকে ৭টি দাবি ও ১১টি লক্ষ্য ঘোষণা করা হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অভিমত হচ্ছে: ড. কামালের নেতৃত্বে সরকার পরিবর্তন হলে বর্তমান ক্ষমতাসীনরা যতই অপকর্ম করে থাক না কেন, তবুও তাদের অবস্থা খারাপ হবে না। কারণ, তিনি একজন দক্ষ, বিচক্ষণ নেতা। তাই তার নেতৃত্বে থাকা দল বা জোটকে প্রতিহিংসা কায়েম করতে দেবেন না তিনি। তাই তাকে সরকারের তরফ থেকে কোন কটূক্তি কিংবা বাধা না দিয়ে গণতান্ত্রিক উপায়ে নতুন ফ্রন্টের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করার সুযোগ দেওয়া দরকার। এটা গণতান্ত্রিক অধিকারও।
রাজনৈতিক জোট গঠিত হয় কখনো আদর্শভিত্তিক, কখনো নির্দিষ্ট লক্ষ্যভিত্তিক, কখনো নির্বাচনভিত্তিক। এটা সব দেশেই হয়। এমনকি এ দেশেও হয়েছে ও হচ্ছে। যেমন: ভারতে মোদি সরকারকে হঠানোর জন্য প্রায় সব দল একট্টা হচ্ছে, যাদের মধ্যে আদর্শগত মিলের চেয়ে অমিলই বেশি। এমনকি অনেক দলের মধ্যে পারস্পরিক শত্রুতাও রয়েছে। তবুও তারা সেসব ভুলে গিয়ে কমন প্রতিপক্ষকে মোকাবেলা করার জন্য একত্রিত হচ্ছে। আবার অভিযুক্ত নেতাদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হওয়ার নজির বিশ্বে ভুরি ভুরি আছে। মালয়েশিয়ার প্রখ্যাত রাজনৈতিক আনোয়ার ইব্রাহিম কয়েক বছর আগে আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হয়ে কারাবন্দী ছিলেন। আবার তিনি এখন মুক্ত হয়ে এমপি হয়েছেন। তিনিই দেশটির ভাবী প্রধানমন্ত্রী। দেশটির কিংবদন্তি নেতা ডা. মাহাথির মোহাম্মদ নির্বাচনে জয়ী হয়ে ক্ষমতাসীন হওয়ার পর রাজাকে দিয়ে সাধারণ ক্ষমা করিয়ে নিয়ে আনোয়ারকে রাজনীতিতে পুনর্বাসন করেছেন। অথচ মাহাথিরই আনোয়ারকে অভিযুক্ত করে কারাবন্দীর ব্যবস্থা করেছিলেন। এ জন্যই বলা হয়, রাজনীতিতে স্থায়ী শত্রু-মিত্র বলতে কিছু নেই। কে কখন কার শত্রু, কার মিত্র হয় তার কোনো নির্দিষ্ট সীমা-পরিসীমা নেই। এ দেশেও তাই। এই দেশে বহু নেতাকর্মী নানা অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েও রাজনীতিতে পুনর্বাসিত হয়েছেন। সরকারি পদেও অধিষ্ঠিত হয়েছেন।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট বা ২০ দলীয় জোটের দলগুলোর জনভিত্তি দেখার আগে নিজেদের জোটের অবস্থা যাচাই করে দেখা দরকার। কারণ, সরকারি জোটের আওয়ামী লীগ ছাড়া বেশিরভাগ দল প্যাডসর্বস্ব। অবশ্য বহুল প্রচলিত প্রবাদবাক্য হচ্ছে: চালুন সুচেরে বলে, তোর মলদ্বারে ছিদ্র। প্রতিত্তোরে সুচ বলে, আমার তো ছিদ্র একটা, তোর তো অসংখ্য। এই অবস্থা আমাদের সমাজের সর্বত্রই। এমনকি রাজনীতিতেও। তাই রাজনৈতিকদের প্রতি মানুষ দিনদিন আস্থাহীন হয়ে পড়েছে। মেধাবীরা রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হচ্ছেন না। ফলে রাজনীতি ক্রমশ মেধাহীন হয়ে পড়ছে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোট ভাঙ্গা-গড়া নিয়েও ব্যাপক আলোচনা চলছে। কতিপয় মিডিয়া এসব নিয়ে সারাক্ষণ মত্ত হয়ে আছে। জোট বা দল ভাঙ্গা-গড়া কি নতুন বিষয়? নাকি শুধুমাত্র এ দেশেই হয়, অন্য দেশে হয় না? না, জোট বা দল ভাঙ্গা-গড়া বিশ্বের সর্বত্রই হয়, অন্তত যেখানে গণতন্ত্র আছে। ভারত একটি পুরাতন ও খুবই শক্তিশালী গণতান্ত্রিক দেশ। সেখানে তো এসব অহরহই ঘটে। তবুও এ দেশে ঐক্যফ্রন্টের দাবি ও লক্ষ্য নিয়ে আলোচনার করার চেয়ে এর ভাঙ্গা-গড়াকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। দেশের রাজনীতিতে আর একটি বিষয়ও বিস্ময়কর। তা হচ্ছে: যারা বলেন, ধর্মকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করা ঠিক নয়। এটা স্বাধীনতার স্বপ্ন ধর্মনিরপেক্ষতার পরিপন্থী। বাস্তবে তারাই নির্বাচন এলে পবিত্র হজ্ব পালন, বিভিন্ন মাজার জিয়ারত করার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু এবং ধর্মীয় লেবাস ধারণ করেন নির্বাচন পর্যন্ত। এসব করা হয় দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের ধর্মীয় সহানুভূতি আদায় করার লক্ষ্যে। অর্থাৎ রাজনীতিতে ধর্মকে ব্যবহার করে সকলেই। কিন্তু বদনাম হয় শুধুমাত্র ইসলাম পন্থীদের !
যা’হোক, যারা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের সম্পর্কে নানা কটূক্তি করছে, তারা কিন্তু এ পর্যন্ত ফ্রন্টের ঘোষিত ১১টি লক্ষ্যের বিষয়ে বিন্দুমাত্র সমালোচনা করেনি। আর তা করাও সম্ভব নয়। কারণ, ঘোষিত ১১টি লক্ষ্য দেশের প্রকৃত গণতন্ত্র ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার স্থায়ী পথ সৃষ্টি করার উপায়। তাই দেশের মানুষ এই লক্ষ্যকে সাদরে গ্রহণ করেছে। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী দলগুলোও বর্ণিত লক্ষ্যগুলো সম্পর্কে কিংবা দু’একটি পয়েন্ট এদিক-ওদিক করে ঘোষণা করতে বাধ্য হবে। উল্লেখ করা দরকার, এ দেশের মানুষ বহু প্রতিশ্রুতি দেখেছে। কিন্তু তার বেশিরভাগই বাস্তবায়ন হতে দেখেনি। তাই এই ব্যাপারে দেশবাসীকে আশ্বস্ত করা দরকার। শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। কিন্তু ১১টি লক্ষ্যের মধ্যে তার কোন উল্লেখ নেই। তাই বিষয়টি সংযুক্ত করা প্রয়োজন। সমগ্র শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজিয়ে আধুনিক তথা কর্মমুখী ও মানসম্পন্ন এবং নৈতিকতাপূর্ণ করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া দরকার। কারণ, এটা ছাড়া দেশের বেকারত্ব দূর ও দক্ষ জনবলের ঘাটতি পূরণ হবে না। এছাড়া, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়মিত ছাত্র রাজনীতি ও নির্বাচন করার বিষয়টি উল্লেখ করা দরকার। কারণ, এটা ছাড়া জাতীয় নেতৃত্ব সৃষ্টি হচ্ছে না। ফলে রাজনীতি অরাজনৈতিকদের করতলগত হচ্ছে। স্মরণীয় যে, মোট ভোটারের এক তৃতীয়াংশ নতুন ভোটার। তাদেরকে যে দল যত বেশি কাছে টানতে পারবে সে দল নির্বাচনে তত বেশি লাভবান হবে। অপরদিকে, দূষণ, দুর্ঘটনা ও যানজটের কারণে দেশের মারাত্মক ক্ষতি হচ্ছে। তাই এসব দূর না করতে পারলে কোন উন্নতিই ফলদায়ক হবে না। তাই এসব সংযুক্ত করা দরকার ঘোষিত লক্ষ্যের মধ্যে। সবশেষে আর একটি বিষয় না বললেই নয়। তা হচ্ছে: প্রচারেই প্রসার। তাই ভালো পণ্যেরও ব্যাপক প্রচার চালানো হয়। তদ্রুপ ঘোষিত লক্ষ্যগুলো যতই কল্যাণকর হোক না কেন, তা ব্যাপকভাবে প্রচার করে মানুষের কাছে পৌঁছানো দরকার।
লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।