পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর উত্তরার ১৪ সম্বর সেক্টরের কাশবন থেকে উদ্ধার হওয়া গলিত লাশ দুটি সনাক্ত করেছে তার পরিবার। মৃতদেহের পরনে থাকা পোশাক থেকে তাদের পরিচয় সনাক্ত করার দাবি করেছেন স্বজনরা। নিহত দুজন হলেন, ইমন সেখ (৩৫) ও কামাল সেখ (৩৫)। তারা পেশায় ট্রাক শ্রমিক ছিলেন। দুজনেরই গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের নগরকান্দায়। অন্যদিকে ৪৮ ঘণ্টা পর তাদের লাশ সনাক্ত হলেও কারা কেন হত্যা করেছে তার রহস্য এখনও উন্মোচন হয়নি। সেই সঙ্গে তাদেরকে গুলি করে না অন্য কোন ধারাল অস্ত্র দিয়ে তাদেরকে হত্যা করা হয় তাও সনাক্ত করা যাচ্ছে না।
তুরাগ থানার পরিদর্শক (অপারেশন) দুলাল হোসেন জানান, কামাল ও ইমানের বিরুদ্ধে ফরিদপুরের নগরকান্দা থানা দুটি ডাকাতির মামলা রয়েছে।
পুলিশ বলছে, নিহতদের পরিবার থেকে কেউ মামলা করবেন। তবে পরিবারের লোকজন ঘটনায় ব্যাপক আঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।
গতকাল নিহত ইমনের স্ত্রী রোকসানা ও কামালের স্ত্রী চাঁদনি আক্তার সাংবাদিকদের বলেন, তারা এখনও বুঝতে পারছেন না কারা কেন তাদের স্বামীকে হত্যা করল। তারা এখন লাশ দিয়ে দাফন করতে এমনকি মামলা করতেও ভয় পাচ্ছেন।
দুই পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাদের সন্দেহে, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যরা তাদেরকে আটক করেছিল। এরপর তাদেরকে হত্যা করে ওই কাশবনে লাশ ফেলে রাখা হয়। এদিকে তাদেরকে গুলি করে না ছুরি মেরে বা শ্বাস রোধ করে হত্যা করা হয়েছে সে বিষয়টিরও এখন পর্যন্ত সুরাহা করতে পারছে সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগ।
সোহরাওয়ার্দীর ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক অধ্যাপক, ডা. এ এম সেলিম রেজা বলেন, ওই দুজনের মৃতদেহ পচে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে যে, তাদের শরীর থেকে মাংস খসে পড়ছে। এ অবস্থায় কোন ভাবেই তাদেরকে কিভাবে হত্যা করা হয়েছে তা জানা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে রহস্যজনক মৃত্যুর পর দুজনের লাশ উদ্ধার হলেও গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ ঘটনায় তুরাগ থানায় কোন মামলা হয়নি।
তুরাগ থানার ওসি নুরুল মোত্তাকীন বলেন, স্বজনরা সোমবার রাতে সোহরাওয়ার্দি মর্গে এসে দুজনের পরিচয় সনাক্ত করে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা রয়েছে। পরিবারের লোকজন মামলা করবেন।
নিহত ইমন সেখের বাবার নাম আজম সেখ। ইমানের মা আছিরন ও স্ত্রী রোকসানা গ্রামের বাড়ি থেকে এসে তার পরিচয় সনাক্ত করেন। গতকাল বিষয়ে জানতে চাইলে ইমামের স্ত্রী রোকসানা বলেন, তার স্বামীকে হত্যা করা হয়েছে। মর্গে গিয়ে পোশাক দেখে তাকে সনাক্ত করেছি। গত ১৪ অক্টোবর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা আতঙ্কের মধ্যে আছি। এই বলে তিনি আর কোন কথা বলতে চাননি।
স্ত্রী রোকসানা দাবি করেন, ইমান ঢাকার গাবতলি এলাকায় থাকত। তার বিরুদ্ধে ডাকাতির অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, অভিযোগ সত্য নয়। তার স্বামী ট্রাক শ্রমিক ছিল। চার মাস আগে তার স্বামী ঢাকায় আসে। গত ১৪ অক্টোবর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। কামালের বাবার নাম জলির সেখ। রাজধানীর কদমতলী এলাকায় স্ত্রী চাঁদনি আক্তারকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি। স্বামীর হত্যার বিষয়ে জানতে চাইলে চাঁদনি দাবি করেন, গত ১৪ অক্টোবর দুপুরে ফরিদ ও মনির নামে দুজন তার স্বামীর মোবাইলে ফোন করে দেখা করতে বলে। তাদের সঙ্গে দেখা করতে সেদিন বেলা তিনটার দিকে বাসা থেকে বের হয়ে যান তিনি। এরপর আর ফেরেনি। সোমবার রাতে মর্গে এসে স্বামীর পরনের পোশাক দেখে লাশ সনাক্ত করার দাবি করেন তিনি। গত শনিবার গভীর রাতে রাজধানীর উত্তরা ১৬ নম্বর সেক্টরে কাশবনের ভেতর থেকে দুই যুবকের গলিত লাশ উদ্ধার হয়। এরপর থেকে লাশ দুটি মর্গে সোহরাওয়ার্দি মর্গে পড়ে ছিল শনাক্ত হওয়ার অপেক্ষায়। এরপর বিভিন্ন গণমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশ পেলে অনেক পরিবার সোহরাওয়ার্দি মর্গে গিয়ে ওই লাশ দুটি দেখে তাদের স্বজনদের খোঁজ করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।