Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

বাতিলের দাবিতে বুড়িগঙ্গা প্রথম সেতুতে অবরোধ

টোল নির্ধারণে অসামঞ্জস্যতা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

টোলমুক্ত করার দাবিতে বুড়িগঙ্গা প্রথম চীন মৈত্রী সেতুতে অবরোধ করে সিএনজিচালিত অটোরিকশার চালকেরা। এতে করে ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। গতকাল মঙ্গলবার ভোর ৬টা থেকে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু হয়ে দুপুর পর্যন্ত চলে। এতে করে ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী হাজার হাজার যাত্রীকে সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগিরা জানায়, ভোর থেকে সেতুসংলগ্ন দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া এলাকায় কয়েকশ’ সিএনজি অটোরিকশার চালক অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে। এসময় শত শত যাত্রীকে পায়ে হেঁটে সেতুৃ পারাপার হতে দেখা যায়। সেতুর ইজারাদার আলম জানান, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপে দুপুরের পর অবরোধ তুলে নেয় অটোরিকশা চালকেরা। তবে সেতুর টোলমুক্তকরণ কমিটির আহ্বায়ক ইমদাদুল হক বলেছেন, অবৈধভাবে প্রতিটি সিএনজি অটোরিকশার কাছ থেকে ২৫ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে। অথচ এক মাস আগেও পাঁচ টাকা করে আদায় করা হতো। এই টোলের প্রতিবাদেই আমরা আন্দোলন করছি।টোলমুক্ত না করা পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। এই দাবি অস্বীকার করে সেতুর ইজারাদার এ আর শিপিং লাইনসের পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, সরকার নির্ধারিত রেটের বাইরে আমরা অতিরিক্ত টোল আদায় করছি না।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত কয়েকবারের তুলনায় এবার অনেক বেশি টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। আগে সিএনজি অটোরিকশার কোনো টোল ছিল না। এখন সেখানে ২৫ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। আবার এবার মোটরসাইকেলে নতুন করে ১৫ টাকা টোল ধার্য করা হয়েছে। যা অতীতে কখনওই ছিল না। আবার টোল নির্ধারণের ক্ষেত্রে বেষম্যও লক্ষ্য করা গেছে। বড় বাসের টোল ধরা হয়েছে ৩৫ টাকা। অথচ প্রাইভেটকারের টোল ধরা হয়েছে ৪০ টাকা। আগে প্রাইভেট কারের টোল ছিল ২০ টাকা। একইভাবে বড় বাসের টোল ৩৫ টাকা হলেও মাইক্রোবাসের টোল নির্ধারণ করা হয়েছে ৭৫ টাকা। এসব অসঙ্গতির জন্য অনেকেই সড়ক বিভাগের দুর্নীতিকে দায়ী করে বলেছেন, এমনও হতে পারে ইজারাদার নিজে ভূয়া কাগজ প্রদর্শন করছেন। তা না হলে টোলের হার এরকম হবে কেনো?
রাজধানীর পোস্তগোলা থেকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ইকুরিয়া পর্যন্ত যুক্ত প্রথম বুড়িগঙ্গা সেতু। গতকাল ভোর থেকে সেতু অবরোধ করে রাখায় রাজধানী থেকে খুলনা, বরিশাল, কেরানীগঞ্জ ও মুন্সিগঞ্জ রুটসহ দেশের দক্ষিণাঞ্চলে যান চলাচল বন্ধ ছিল। শুধু তাই নয়, গতকাল ইকুরিয়ায় অবস্থিত বিআরটিএ কার্যালয়েও কোনো গাড়ি যেতে পারেনি। তাদের কার্যক্রমও ব্যাহত হয়েছে বলে জানান একজন কর্মকর্তা।
ঢাকা-মুন্সীগঞ্জ বাস মালিক সমিতির এক নেতা বলেন, হঠাৎ করে এভাবে টোল বাড়ানোর কারণে সব ধরনের যানবাহন চলাচলে অসুবিধার সৃষ্টি হচ্ছে। সড়ক বিভাগ কোন হিসাবে এই টোল নির্ধারণ করেছে আমাদের মাথায় আসছে না। পোস্তগোলার বাসিন্দা আবুল হোসেন বলেন, গত তিন দিন ধরেই টোল আদায় নিয়ে বিশৃঙ্খলা চলছে। প্রকৃত টোল আদায়কারী খোরশেদ নাকি তার ভাই আলম- এ নিয়েও বিভ্রান্তি আছে। প্রথম দিন থেকেই টোল আদায়ের জন্য সেতু দখলের একটা প্রতিযোগিতা দেখা গেছে দুই ভাইয়ের মধ্যে। একটা গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কে এ ধরণের একটা সেতুর টোল নিয়ে এরকম বিভ্রান্তি থাকা মোটেও উচিত নয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সেতু

১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১১ জানুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ