পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বাংলাদেশ ইনিস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সেমিনারে উপস্থাপিত এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতের ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের নেতৃত্ব প্রদানের ক্ষমতা সন্তোষজনক নয়। তবে ব্যাংকে কর্মরতদের একটি বড় অংশ জানিয়েছে, কিছু ক্ষেত্রে ব্যাংকের ব্যবস্থাপকদের নেতৃত্ব খুব ভালো এবং আরও ভালো করার সুযোগ রয়েছে। গবেষণা প্রতিবেদনে যোগ্য নেতৃত্ব ও সুশাসনের উন্নয়নে ব্যাংকিং খাতে বিশেষ প্রশিক্ষণ জরুরী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘লিডারশীপ অ্যাপ্রোসেস, অ্যান্ড ইমোশনাল ইন্টেলিজেন্স : দ্যা কেস অব দ্যা ব্যাংকিং ইন্ডাস্ট্রি অব বাংলাদেশ’ শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে এক গবেষণা প্রতিবেদনে এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিআইবিএমের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) ড. শাহ মো. আহসান হাবীব। গবেষণা দলে আরও ছিলেন বিআইবিএমের অনুষদ সদস্য এসকে নাজিবুল ইসলাম; বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম; বিআইবিএমের সহযোগী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র পন্ডিত; বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক শাকিল এজাজ; আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক লিমিটেডের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান মো. মাজহারুল ইসলাম। গবেষণা দল শতাধিক ব্যাংকের শাখা এবং ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওপর জরিপ করে এ প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন বিআইবিএমের নির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস. এম মনিরুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএমের চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক প্রফেসর ড. বরকত-এ-খোদা, পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর হেলাল আহমদ চৌধুরী; বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং বিআইবিএমের সুপারনিউমারারি প্রফেসর মো. ইয়াছিন আলী; সাউথ ইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. কামাল হোসেন; মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সফিউল আজম; ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইবিএ’র প্রফেসর ড. এ. কে. এম. সাইফুল মজিদ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিআইবিএমের প্রফেসর এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন এবং পরামর্শ) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী। তিনি ব্যাংকিং খাতের নেতৃত্ব এবং কমপ্ল্যায়েন্স ব্যবস্থাপনার ওপর জোরারোপ করেন।
গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকিং খাতের ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের নেতৃত্ব গড়পড়তা এবং সন্তোষজনক। বিশেষ করে ঋণগ্রহীতা চিহ্নিতকরণ, খেলাপী ঋণ আদায়, লক্ষ্য নির্ধারণ, ডেভেলমেন্ট ব্যাংকিং, সক্ষমতা বৃদ্ধি, স্বচ্ছতা প্রণয়ন এবং ব্যাংকারদের প্রমোশনের ক্ষেত্রে ব্যাংকের বোর্ড সদস্য, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা এবং শাখা ব্যবস্থাপকদের নেতৃত্বে ব্যাংক কর্মীরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রে গড়পড়তা এবং সন্তোষজনক বলে উল্লেখ করেছেন। তবে এটিকে আরও খুব ভালো এবং অত্যন্ত ভালো করার সুযোগ রয়েছে বলে গবেষণা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
এসএম মনিরুজ্জামান বলেন, ব্যাংকের দক্ষ এবং কার্যকরী নেতৃত্বের সংকটের কারণে খেলাপী ঋণ, তারল্য সংকট এবং অনিয়মের ঘটনা ঘটেছে। এসব বন্ধ করতে যোগ্য নেতৃত্ব প্রয়োজন। একজন দক্ষ ব্যবস্থাপক অলাভজনক ব্যাংককে অল্প সময়ের মধ্যে লাভজনক করতে পারেন।
ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, ব্যাংকের যারা নেতৃত্ব দেবে তাদের ব্যাংকিং ধারণা স্পষ্ট থাকতে হবে। ব্যাংকিং সম্পর্কে পুরো ধারণা না থাকলে অধস্তনদের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারবে না। ৯০ শতাংশ সিদ্ধান্ত সঠিক হলে মনে করতে হবে সে ভালো নেতা। সফলতা সবাইকে ভাগ করে নিলে আগামী দিনে কাজে সুবিধা হবে।
হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, পরিচালনা পরিষদ এবং শীর্ষ ব্যবস্থাপনার মধ্যে ভালো সম্পর্ক জরুরী। যোগ্য নেতৃত্বই একমাত্র ব্যাংকিং খাতের বিপর্যয় রোধ করতে পারে।
মো. ইয়াছিন আলি বলেন, বাংলাদেশে ব্যাংকিং খাতের উচ্চ পর্যায়ে নেতৃত্বেও সংকট প্রকট। সব কাজে দক্ষতা থাকলেও নেতৃত্বের গুণাবলী না থাকলে কাজে লাগবে না।
এম. কামাল হোসেন বলেন, যোগ্য নেতৃত্বের অভাবে বর্তমানে ব্যাংকিং খাতের কিছুটা সংকট তৈরি হয়েছে। কিছু বড় ব্যাংকিং খাতের অনিয়মের জন্য ব্যাংকাররা আংশিকভাবে দায়ী। ব্যাংকিং খাতের বিভিন্ন ধরণের পরিবর্তন হচ্ছে, এ সময়ে নেতৃত্বের পরিবর্তনও দরকার।
মো. সফিউল্লাহ আজম বলেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের বিভিন্ন ধরণের চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়। নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার, বোর্ড এবং ব্যবসায়িক চাপ থাকবে তা মোকাবেলার মতো নেতৃত্ব দরকার। ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের না বলার ক্ষমতা থাকতে হবে। ড. এ. কে. এম. সাইফুল মজিদ ব্যাংকে সুশাসনের ওপর জোরারোপ করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।