মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রণসজ্জা শেষ ভারতের একমাত্র বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ আইএনএস বিক্রমাদিত্যের। আগামী ২৩ অক্টোবর কোচি বন্দর থেকে সমুদ্রে নামানো হবে ভারতের এই যুদ্ধজাহাজকে। কয়েক দিন পরই এই এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারকে নিয়ে যাওয়া হবে কর্নাটকে তার নিজের বন্দর কারওয়ার-এ।
২০১৩ সালে ভারতীয় নৌসেনায় যোগদানের পর এই নিয়ে দ্বিতীয়বার আগাগোড়া মেরামতির কাজ করা হল বিক্রমাদিত্যের। এই পর্যায়ে কাজ চলেছে লাগাতার পাঁচ মাস। খরচ পড়েছে ৭০৫ কোটি টাকা। সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় বিক্রমাদিত্যের মতো যুদ্ধজাহাজের পুরো মেরামতি করা সম্ভব হয় না। সেই কারণে তাকে নিয়ে আসতে হয় ড্রাই ডকে। সেক্ষেত্রে জাহাজের তলদেশেও মেরামতির কাজ করা সম্ভব হয়। সমুদ্রে ভাসমান অবস্থায় ডুবুরি নামিয়ে শুধু ছোটখাট মেরামতির কাজই সম্ভব হয়।
এই পর্যায়ের কাজ ভারতীয় নৌবাহিনীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, পরবর্তী নিয়মমাফিক মেরামতির জন্য ২০২০ বা ২০২১ সাল নির্দিষ্ট করা ছিল। কোচিতে অবশ্য জাহাজটিকে যেভাবে সারানো হয়েছে, তাতে সেই বাধ্যবাধকতা আর নেই। তাই আগামী পাঁচ-ছয় বছর কোনও বিরতি ছাড়াই সমুদ্রে ভেসে বেড়াতে পারবে আইএনএস বিক্রমাদিত্য, এমনটাই জানাচ্ছেন সেনাকর্তারা।
কিছুদিন আগেই টেকনোডায়নামিকা নামের একটি রুশ কোম্পানিকে এই যুদ্ধজাহাজে মেরিন হাইড্রলিক সিস্টেম বসানোর দায়িত্ব দিয়েছিল ভারত। ২০১৯ সালের মে মাসের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে সেই কাজও। জিএস ১ এম এফ এবং জি এস ৩ নামের দুটি হাইড্রলিক সিস্টেম লাগানো হচ্ছে বিক্রমাদিত্যে। প্রথমটি হেলিকপ্টার ওঠা-নামা, দ্বিতীয়টি যুদ্ধবিমান ওঠা-নামার কাজে সাহায্য করবে। যন্ত্র লাগানোর পর তার মহড়া ভারতেই হবে বলে জানিয়েছিল রুশ সংস্থাটি।
২০১৪ সালে রাশিয়ার থেকে এই এয়ারক্র্যাফট ক্যারিয়ারটি কেনে নৌসেনা। জাহাজটিতে ৩০ টি মিগ যুদ্ধবিমান ও ছ’টি হেলিকপ্টার রাখা যেতে পারে। ২৮৪ মিটার লম্বা ও ৬০ মিটার উচ্চতার এই যুদ্ধজাহাজ ২০ তলা বাড়ির সমান উঁচু, ওজন ৪০০০০ টন। পৃথিবীতে খুব কম দেশের কাছেই আছে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ বা এয়ারক্র্যাফ্ট ক্যারিয়ার। বিভিন্ন মহাসাগরে বিস্তীর্ণ অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করা যায় এই যুদ্ধ জাহাজের সাহায্যে। সূত্র: টিওআই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।