পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আর্থিক খাত বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, গবেষণা ও পরামর্শ সেবা প্রদানের আদর্শ প্রতিষ্ঠানের নাম বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (বিআইবিএম)। পেশাদারী ব্যাংকিং শিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান এটি। বলা হয়ে থাকে, ব্যাংকিংয়ে ক্যারিয়ার গড়ার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান বিআইবিএম। এ প্রতিষ্ঠানের পরিচালিত মাস্টার্স ইন ব্যাংক ম্যানেজমেন্ট (এমবিএম) বর্তমান সময়ে ব্যাংকার হওয়ার উচ্চাকাঙ্খা পোষণ করা তরুণদের কাছে বিআইবিএমের একটি জনপ্রিয় বিষয়। যে কোনো ব্যাকগ্রাউন্ডের একজন গ্রাজুয়েট ব্যাংক ব্যবস্থাপনায় মাস্টার্স (এমবিএম) করে সহজেই ব্যাংকে চাকরি পেয়ে যাচ্ছেন। এমবিএম-এর শিক্ষা পদ্ধতি বহুলাংশে প্রায়োগিক হওয়ায় এর শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিংয়ে দক্ষ হওয়ার সুযোগ বেশি পান। এছাড়া তাঁরা ব্যাংকিং খাতের দেশ-বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সান্নিধ্যে আসার সুযোগ পান।
এমবিএমের সাবেক সব শিক্ষার্থী সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক ছাড়াও বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। শিক্ষার্থীদের পঞ্চম সেমিস্টার শেষ হলেই বিআইবিএমে জব ফেয়ারের মাধ্যমে ব্যাংকে প্রবেশনারী অফিসার হিসেবে সরাসরি নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। বর্তমানে ২২ টি ব্যাচের ১ হাজারের বেশি সাবেক শিক্ষার্থী ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সুনামের সঙ্গে কাজ করছে। মূলত বিআইবিএম আয়োজিত দুই বছর মেয়াদি এমবিএম কোর্সটি করা থাকলে ব্যাংক সেক্টরে চাকুরী পাওয়া খুব সহজ। আবার মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ব্যাংকের পক্ষ থেকে বৃত্তি দেওয়া হয়।
বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমদ চৌধূরী বলেন, একজন শিক্ষার্থী এমবিএমে ভর্তি হলে নিবিড় পরিচর্যার মাধ্যমে তাকে সুযোগ্য ব্যাংকার হিসেবে গড়ে তোলা হয়। এ কারণে হাই কোয়ালিটির এসব মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চাকরিতে সব সময় অগ্রাধিকার পায়।
ঢাকা স্কুল অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (ডিএসবিএম) আওতায় পরিচালিত হয় এমবিএম কোর্স। ডিএসবিএমের পরিচালক মোহাম্মদ মহীউদ্দিন ছিদ্দিকী বলেন, গবেষণা ও প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন ভাবে বিআইবিএম ব্যাংক এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংযুক্ত। এমবিএমের কোর্স কারিকুলামে তা প্রয়োগ করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা ব্যাংকিংয়ের বাস্তব জ্ঞান এবং দক্ষতা পায়। যা পরবর্তী চাকরী জীবনে সাফল্য বয়ে আনে। বিআইবিএমে এমবিএমে নতুন ব্যাচ ভর্তির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। যে কোনো বিষয়ে স্নাতক উত্তীর্ণরা আবেদন করতে পারবেন। তার মোট স্কুলিং টাইম হতে হবে কমপক্ষে ১৬ বছর। তবে আবেদনের জন্য শিক্ষাজীবনে কমপক্ষে একটি প্রথম বিভাগ থাকতে হবে এবং কোনো তৃতীয় বিভাগ থাকলে হবে না। স্নাতকদের প্রথম বিভাগ ধরা হবে সিজিপিএ ৩.৫০ থেকে আর এসএসসি ও এইচএসসির ক্ষেত্রে ৪.০০-এর ওপরে প্রথম বিভাগ এবং ৩.০০ থেকে ৪.০০ পর্যন্ত দ্বিতীয় বিভাগ ধরা হবে। প্রতি বছর অক্টোবর - নভেম্বর মাসে ভর্তি বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। এছাড়া একই যোগ্যতায় এমবিএম (ইভেনিং) কোর্সে প্রতিবছর এপ্রিলে একটি ব্যাচ ভর্তি করা করানো হয়। এ বছর নতুন সেশনে ৫ নভেম্বরের মধ্যে ভর্তির আবেদন করতে হবে। ১০ নভম্বর হবে ভর্তি পরীক্ষা।
বিআইবিএমের এমবিএমের সাবেক শিক্ষার্থী বর্তমানে একটি বেসরকারি ব্যাংকে উচ্চ পদে কর্মরত এবং এমবিএম অ্যালামনাই সোসাইটির সাবেক সভাপতি এস এম ওয়ারী উল মোর্শেদ বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তাদের পাশাপাশি উঠতি নতুন ও উদ্যমী শিক্ষার্থীদেরও শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান এটি। তাই যারা ব্যাংকিংকে পেশা হিসেবে নিতে চান তাদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এমবিএম’র এই কোর্স। উল্লেখ্য, সবাইকেই ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে আসতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।