পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মাগুরায় নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না ৪ লেন সড়ক নির্মাণ কাজ। সড়ক নির্মাণে দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার যাবতীয় নির্মাণ সামগ্রী এবং লোকবল নিয়োগ করেছেন। কিন্তু জমির মূল্য নির্ধারণে জটিলতা, সড়কের পাশের গাছ ও বিদ্যুৎ লাইন অপসারণ না করায় যথা সময়ে কাজ শেষ করা যাচ্ছে না। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বলছে, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হওয়ায় লোকজন আসল তথ্য না জানায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে। যানবাহন চলাচল ও সাধারণ মানুষ যে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে তার দায়ভার কে নেবে?
জানা গেছে, জেলা প্রশাসকের তত্ত¡াবধানে তার কার্যালয়ের সার্ভের মাধ্যমে জমির মূল্য নির্ধারণের কথা ছিল। কিন্তু সেটি না করে সদর সাব রেজিস্ট্রি অফিসের মাধ্যমে জমির মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ফলে অধিগ্রহণ করা জমির মূল্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা কম নির্ধারণ হওয়ায় জটিলতা দেখা দিয়েছে।
শহরের পাশ্ববর্তী পারনান্দুয়ালী এলাকার ৩০ জন জমির মালিক অভিযোগ করেন, ঢাকা-খুলনা হাইওয়ের পাশে তাদের ৭৬ দশমিক ০৯ শতক জমি অধিগ্রহণের জন্য সরকার মূল্য মাত্র ৯৬ হাজার টাকা শতক করে নির্ধারণ করে। মূল্য কম নির্ধারণ করায় ভুক্তভোগীরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে গত বছরের ১ ডিসেম্বর রেজিস্ট্রি হওয়া জমির দলিলসহ আবেদন করেন। ওই এলাকায় প্রতি শতক বাণিজ্যিক জমির বর্তমান বাজারমূল্য কমপক্ষে ১০ থেকে ১২ লাখ টাকা বলে জানান তারা।
মাগুরার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আক্তারুন্নাহার জানান, আবেদনের প্রেক্ষিতে পুনরায় ওই জমির মূল্য নির্ধারণ করে মন্ত্রণালয়ে অতিরিক্ত টাকা চেয়ে আবেদন করতে হবে। আর অতিরিক্ত টাকা প্রাপ্তির পরই ওই জমি অধিগ্রহণ করা হবে। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলী ওবায়দুল ইসলাম জানান, সড়ক নির্মার্ণের সকল সামগ্রী থাকলেও রাস্তার পাশের গাছ এবং বিদ্যুৎ লাইন সরিয়ে না ফেলায় তাদের কাজে সমস্যা দেখা দিয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ মার্চ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাগুরার জনসভায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ৪ কিলোমিটার রাস্তা ৪ লেন করাসহ মোট ১০ কিলোমিটার মহাসড়ক প্রশস্থ করার ঘোষণা দেন। ৬২ কোটি টাকা ব্যয় বরাদ্দে ওই প্রকল্পের কাজ আগামী বছরের জুন মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
ইতোমধ্যে রামনগর থেকে আবালপুর পর্যন্ত বিভিন্ন অংশে রাস্তা প্রশস্থকরণ কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু শহরের ৪ কিলোমিটার অংশে কিছু জমি অধিগ্রহণ সম্পন্ন না হওয়ায় ৪ লেনের কাজ করতে পারছেনা ঠিকাদার এমনটাই জানালেন মাগুরার সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম। এর ফলে নির্ধারিত সময়ে ৪ লেনের কাজ সম্পন্ন না হওয়ার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, পরিবহন ও জনগণ ভোগান্তিতে পড়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।