Inqilab Logo

রোববার, ২৮ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মহানবমী পালিত আজ বিসর্জন

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

শারদীয় দুর্গোৎসবের গতকাল ছিল ৪র্থ দিন। এ দিন মহানবমীর পূজা পালন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার বিজয়া দশমীর মধ্যদিয়ে এ দুর্গাপূজা উৎসবের শেষ হবে। চন্দ্রের নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় মহানবমী কল্পারম্ভ ও বিহিত পূজা। শাস্ত্র অনুযায়ী, শাপলা, শালুক ও বলিদানের মাধ্যমে দেবীর মহানবমী পূজা হয়ে থাকে। নানা আচারের মধ্যদিয়ে মহানবমীর পূজা শেষে যথারীতি অঞ্জলি নিবেদন ও প্রসাদ বিতরণ করা হয়। মূলত চতুর্থ দিন মহানবমীই পূজার শেষ দিন। তবে বিজয়া দশমীর দিনেও বেশকিছু আনুষ্ঠানিকতা থাকে।
নবমী সন্ধিক্ষণে অনুষ্ঠিত হয় সন্ধিপূজা। মহিষাসুর নিধনের সময় দেবী দুর্গা প্রচন্ড ক্রোধে কৃষ্ণবর্ণ রূপ ধারণ করেছিলেন। তাই পূজার এই আচারের সময় দেবীকে চামুন্ডা রূপে পূজা করা হয়েছে, অর্থাৎ যিনি চন্ড ও মুন্ডের বিনাশিনী। পূজার এই মুহূর্তটি আরও একটি কারণে স্মরণীয়। দেবী দুর্গার আশির্বাদ নিয়ে শ্রীরামচন্দ্র এই মুহূর্তেই রাবণকে বধ করেছিলেন।
সকাল ৯টা ৫৭ মিনিট ১০ সেকেন্ডের মধ্যে দেশের প্রতিটি মন্ডপে দেবী দুর্গার মহানবমী কল্পরম্ভ ও মহানবমী বিহিত পূজা সমাপন হয়। দেবীকে ১০৮টি নীলপদ্ম, অপরাজিতা ফুল ও যজ্ঞের মাধ্যমে পূজা দেওয়া হয়। ১০৮টি বেলপাতা, আম কাঠ ও ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়। পূজা শেষে ভক্তরা দেবীর চরণে অঞ্জলি দেন। অঞ্জলি দেওয়া শেষে প্রসাদ গ্রহণ করেন ভক্তরা। নবমী পূজার মাধ্যমে মর্তের সন্তানরা সুখে থাকার জন্য সম্পদ লাভ করেন বলে শাস্ত্রে উল্লেখ আছে। পাশাপাশি ভক্তরা মায়ের কাছে আশীর্বাদ চাইবেন দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায়।
রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনে মহানবমী মায়ের পূজা দেওয়া হয় গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা ১৫ মিনিটে। প্রতিদিনের মতো সন্ধ্যায় দেশের প্রতিটি মন্ডপে আরতি প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। আর সারাদিন চলবে চন্ডীপাঠ। আজ পূজার শেষ দিন, বিজয়া দশমী। ওইদিন মর্ত্য ছেড়ে কৈলাশে স্বামীগৃহে ফিরে যাবেন দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গা। বিজয়া দশমীতে দুর্গাদেবীর দশমী বিহিত পূজা সমাপন ও দর্পণ বিসর্জন অনুষ্ঠিত হবে। এদিনই প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে শারদীয় দুর্গোৎসব।
বিসর্জনের উদ্দেশে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গন থেকে কেন্দ্রীয় বিজয়া শোভাযাত্রা বের হবে বিকেল ৪টায়। এর আগে রাজধানীর ২৩৪টি পুজামন্ডপের অধিকাংশই এসে জমা হবে পলাশীর মোড়ে। সেখান থেকে সম্মিলিত বাদ্যি-বাজনা ও পুজা-অর্চনার মধ্য দিয়ে শুরু হবে বিজয়ার শোভাযাত্রা। এরপর সদরঘাটের ওয়াইজঘাটের বুড়িগঙ্গা নদীর জলে একে একে বিসর্জন দেওয়া হবে প্রতিমা।
আজ সাপ্তাহীক সরকারি ছুটির দিনেই পড়েছে বিজয়া দশমীর দিন। শারদীয় দুর্গোৎসব ও বিজয়া দশমী উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আবদুল হামিদ সকাল সাড়ে ১১টা থেকে বেলা সাড়ে ১২টা পর্যন্ত বঙ্গভবনে হিন্দু স¤প্রদায়ের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন।
ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের কেন্দ্রীয় পূজামন্ডপে বেলা ১২টায় স্বেচ্ছায় রক্তদান আয়োজিত হবে। মন্ডপে মন্ডপে রয়েছে পুষ্পাঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগআরতিসহ নানা ধর্মীয় অনুষ্ঠানমালা। এছাড়া দেশজুড়ে দুর্গোৎসব চলাকালে মনডপে মন্ডপে আলোকসজ্জা, আরতি প্রতিযোগিতা, স্বেচ্ছায় রক্তদান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ