Inqilab Logo

শুক্রবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১, ১২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিসর্জনে শেষ হলো হিন্দুদের দুর্গোৎসব

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০২১, ৬:৩৫ পিএম

বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো হিন্দুর সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। শুক্রবার বিকাল ৪টায় বুড়িগঙ্গার ওয়াইজঘাটের বীণাস্মৃতি স্নানঘাটে শাহজাহানপুর বাংলাদেশ রেলওয়ে পূজা কমিটির প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে রাজধানীতে দেবীকে বিদায় জানানোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।

ষষ্ঠী তিথিতে ‘আনন্দময়ীর’ আগমনে এ উৎসবের সূচনা হয়। দশমী তিথিতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে তা শেষ হলো। দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে এসেছেন। গিয়েছেন পালকি চড়ে।

ঢাকেশ্বরী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত ধর্মদাস চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের বলেন, মহিষাসুর বধ করার মধ্য দিয়ে শুক্রবার বিজয়ী হয়েছেন দুর্গা মা। সে কারণেই আমাদের আনন্দের দিন, আমরা উৎসব করি। জাতি, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষ সবাইকে বিজয়ার শুভেচ্ছা জানাই।

ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ বিভাগের কমিশনারের উপ-কমিশনার জসিম উদ্দীন মোল্লা বলেন, প্রতিমা বিসর্জন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সব ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি নৌ-পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করছেন।

অন্য বছরের মতো করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এ বছর যে শোভাযাত্রা হয়নি। এ বছর ঢাকা মহানগরে ২৩৮টি মণ্ডপে পূজা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিমা বিসর্জনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পূজারিদের।

নবরাত্রির ষষ্ঠ দিন সোমবার দুর্গ পূজার মূল আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছিল এবার। মহা নবমী পেরিয়ে শুক্রবার সকালে বিজয়া দশমীর ‘বিহিত পূজায়’ ষোড়শপ্রচার পূজার পাশাপাশি দেবী প্রতিমার হাতে জরা, পান, শাপলা ডালা দিয়ে আরাধনা করা হয়।

সবশেষে দর্পণ বিসর্জনের সময় প্রতিমার সামনে একটি আয়না রেখে তাতে দেবীকে দেখে তার কাছ থেকে সাময়িক সময়ের জন্য বিদায় নেন ভক্তরা। মূলত এর মধ্য দিয়ে দেবীর শাস্ত্রীয় বিসর্জন সম্পন্ন হয়। মন্ত্র উচ্চারণের মাধ্যমে প্রতিমা থেকে ঘটে এবং ঘট থেকে আবার ভক্তের হৃদয়ে ‘মাকে’ নিয়ে আসাকে বিসর্জন বলে।

শ্বশুরালয়ে ফেরার আগে দুর্গতিনাশিনী দেবী দূর্গাকে সিঁদুর, পান আর দুর্বা দিয়ে বরণ কর নেন নারী পূণ্যার্থীরা। এর মধ্য দিয়ে জরা কাটিয়ে পৃথিবী যেন শস্য-শ্যামল হয়ে ওঠে, সেই প্রার্থনা করা হয়।

ঘাটে আসার পর ভক্তরা শেষবারের মতো ধূপধুনো নিয়ে আরতিতে মেতে ওঠেন। শেষে পুরোহিতের মন্ত্রপাঠের মধ্য দিয়ে দেবীকে নৌকায় তুলে বিসর্জন দেওয়া হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: হিন্দুদের দুর্গোৎসব
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ