বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রেন্ট-এ-কার ড্রাইভার হেলাল উদ্দিন হত্যায় জড়িত অভিযুক্ত শুভ, শান্ত ও শহিদ আফ্রিদীকে আটক করেছে র্যাব ১৪। গত বুধবার বিকেলে ঢাকার তেজগাঁও নাখালপাড়া এলাকা থেকে হাফিজুর রহমান শুভ (১৪), আবু কাউসার শান্ত (১৮) ও শহীদ আফ্রিদি নামে তিন কিশোরকে আটক করে র্যাব। জানা গেছে, গাড়ি ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে “ঢাকা মেট্রো-গ-২১-২৮২৩” নম্বরের একটি প্রাইভেটকার ভাড়া করেন। গাড়ি ছিনতাইয়ের মূল পরিকল্পনাকারী হাফিজুর রহমান শুভ (১৪)। সে দশম শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র। তাঁর সহযোগী আবু কাউসার শান্ত (১৮) ও শহীদ আফ্রিদি (১৮) তেজগাঁও কলেজের একাদশ বিজ্ঞান বিভাগের শ্রেণির ১ম বর্ষের ছাত্র। একই কোচিং সেন্টারে ক্লাশ করার সুবাধে এখন তারা বন্ধু। উদ্দেশ্য ছিল তিনজন মিলে গাড়ি বিক্রির টাকা দিয়ে ব্যবসা করবেন। কিন্তু গাড়িটি বিক্রি করতে না পাড়ায় তাদের আশা পুরণ হলোনা বলে জানান র্যাবের হাতে আটককৃত হত্যা মামলার অভিযুক্ত আসামী শুভ, শান্ত ও শহিদ আফ্রিদী তিন কিশোর।
র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের সাংবাদিকদের জানান, ঢাকা থেকে নিয়ে আসা রেন্ট-এ-কারের ড্রাইভার হেলাল উদ্দিনকে চোরাই ২টি সিমের মাধ্যমে কথা বলে ৮হাজার টাকায় ভাড়ার কথা বলে ২৭ সেপ্টেম্বর রাত ৮টার দিকে ঢাকা মগবাজার এলাকা থেকে হবিগঞ্জের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। পরে রাত ২টার দিকে হবিগঞ্জ জেলার সায়েস্তাগঞ্জ এলাকায় চা খাওয়ার কথা বলে ড্রাইভারকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায়। প্রথমে লোহার রড দিয়ে পিছন থেকে শুভ ডাইভারকে আঘাত করে। পরে তিন বন্ধু মিলে দাঁড়ালো ছুঁিড় দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে তাকে। পরে হত্যাকারীরা নিহত ড্রাইভারের লাশ গাড়ির পিছনের ঢালায় ভরে এনে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের বি.বাড়িয়া সদর উপজেলার মালিহাতি নামক স্থানে লাশ ফেলে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যায় তিন বন্ধু। এ ঘটনার পরদিন ২৮ সেপ্টেম্বর সকালে বি.বাড়িয়া সদর থানার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে। হত্যার ঘটনাটি বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রচার হলে মিডিয়ার মাধ্যমে জানতে পেরে নিহত ড্রাইভারের স্ত্রী সংশ্লিষ্ট থানায় এসে যোগাযোগ করে তাঁর স্বামীর লাশ সনাক্ত করে। পরে স্ত্রী বাদি হয়ে অজ্ঞাত নামা আসামী করে গত ১ অক্টোবর বি.বাড়িয়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- (০৬) ১/১০/২০১৮ইং।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ওই হত্যার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে তাদের পরিকল্পনার বিভিন্ন বিষয় র্যাবকে অবগত করেন। র্যাবের এ অভিযানে র্যাব-১৪, ভৈরব ক্যাম্পের অধিনায়ক অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যোবায়ের, সিনিয়র সহকারি পরিচালক চন্দন নাথ ও সহকারি পরিচালক এএসপি জুয়েল চাকমার নেতৃত্বে র্যাব ভৈরব ক্যাম্পের একটি টিম ঢাকা তেজগাঁও নাখালপাড়া এলাকা থেকে আটক করে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।