‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল বাতিল ও পুনরায় পরীক্ষা গ্রহণ এবং প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) এক বিবৃতিতে তারা এই দাবি জানান।
বিবৃতিতে
বিএনপিপন্থী সাদা দলের শিক্ষকরা বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গঠিত তদন্ত কমিটির রিপোর্ট প্রদানের আগেই ফলাফল প্রকাশের ঘটনায় আমরা তীব্র ক্ষোভ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঁচটি ইউনিটের অধীনে প্রথম বর্ষ সম্মান শ্রেণিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। চারটি ইউনিটের পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হলেও গত তিন বছর ধরে ‘ঘ’ ইউনিটের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। আমরা আশা করেছিলাম কর্তৃপক্ষ এবার অভিযোগের সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য তদন্ত সম্পন্ন করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। কিন্তু এবারো আমরা কর্তৃপক্ষের দায় এড়ানোর প্রবণতা দেখলাম। সর্বমহলের সমালোচনার পরিপেক্ষিতে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলেও কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার আগেই ফলাফল প্রকাশ করা হলো। এ ফলাফল কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। প্রকাশিত ফলাফলে প্রশ্নপত্র ফাঁসের স্বপক্ষে প্রমাণাদি ইতোমধ্যে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। আমরা মনে করি ভর্তি পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা কেবল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম ও ঐতিহ্য রক্ষার জন্যই প্রয়োজন নয়, এর সাথে হাজার হাজার শিক্ষার্থীর স্বপ্ন ও ভবিষ্যৎ জড়িত। তাই অবিলম্বে বিতর্কিত ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল বাতিল করে নতুন করে ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণ এবং একই সাথে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ফাঁসের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জোর দাবি জানান তারা।
সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এ বি এম ওবায়দুল ইসলাম ছাড়াও বিবৃতিদানকারী শিক্ষকদের মধ্যে রয়েছেন- মো. লুৎফর রহমান, ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান, ড. সদরুল আমিন, ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ড. মোঃ আখতার হোসেন খান, ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. মো. আবুল কালাম সরকার, মো. আতাউর রহমান বিশ্বাস, ড. মো. শহীদুল ইসলাম, ড. মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম, মুক্তার আলি, মো. আল আমিন, ড. এ এস এম আমানুল্লাহ, ড. দিল রওশন জিন্নাত আরা নাজনীন, ড. মামুন আহমেদ, ড. মোহাম্মদ আলমোজাদ্দেদী আলফেছানী, ড. মোঃ মেহেদী মাসুদ, ড. মো. নুরুল আমিন, ইসরাফিল প্রামাণিক, ড. মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ, ড. মোঃ মহিউদ্দিন, ড. মোঃ গোলাম রব্বানী, ড. মো: আবদুর রশীদ, মো. মাহফুজুল হক, ড. লায়লা নূর ইসলাম, ড. কামরুজ্জামান, ড. মোঃ এমরান কাইয়ুম, ড. হায়দার আলী, ড. মো. এনামুল হক, ড. দিলীপ কুমার বড়ূয়া, ড. মো. মোশাররফ হোসাইন ভূঁইয়া, ড. মো. আসলাম হোসেন, রাশীদ মাহমুদ, ড. মোঃ মোজাম্মেল হক, আ কা ফিরোজ আহমদ, ড. মোঃ নুরুল ইসলাম, মোহাম্মদ সফিউল্ল্যাহ, ড. মোঃ সাইফুল ইসলাম, ড. বোরহান উদ্দীন খান, মো. মাহ্ফুজুল ইসলাম, তাহমিনা আখতার, ড. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, হোসনে আরা বেগম, ড. মোঃ আবুল বাশার, ড. শেখ নজরুল ইসলাম, ড. জামাল উদ্দিন আহমেদ, ড. মোঃ আতাউর রহমান মিয়াজী, মোঃ মুজাহিদুল ইসলাম, ড. ছিদ্দিকুর রহমান নিজামী, আহমেদ জামাল আনোয়ার, এ এস এম মহিউদ্দিন, এ বি এম শহিদুল ইসলাম, ড. সৈয়দ আলী আহসান, ড. নেভিন ফরিদা, ড. মোবাশ্বের মোনেম, ড. মুসলেহ উদ্দিন তারেক, ড. মোঃ আব্দুল কাদের, মোঃ মাজহারুল আনোয়ার, ড. মোঃ আবদুর রব, ড. মোঃ আবদুল কাইয়ুম, ড. মোঃ আবুল বাসার, কাওসার হোসেন টগর, ড. মোঃ আশরাফুল ইসলাম চৌধুরী, ড. মোঃ আনিছুর রহমান খান, ড. মোঃ কামরুল এহসান, ড. মোঃ সায়েদুল ইসলাম, ড. খোন্দকার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ, ড. আমিনুল ইসলাম ভূইয়া, ড. মোঃ খলিলুর রহমান, ড. বাবুনা ফায়েজ, ড. এ. এম. সরওয়ার উদ্দিন চৌধুরী, ড. এ.এ. মাহবুব উদ্দিন চৌধুরী, শামীম শামছি প্রমূখ।