রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকির কারণে উপকূলীয় ও হাওর এলাকায় টেকসই ওয়াশ কার্যক্রম বেশি চ্যালেঞ্জের মুখে। বিশেষত উপকূলীয় এলাকায় পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবণাক্ততা, আর্সেনিকের উপস্থিতি, ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ বেড়ে যাওয়া, পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় উন্নত ও স্বাস্থ্যসম্মত ল্যাট্রিন স্থাপন করা সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায় পানির তীব্র সঙ্কট এবং ব্যয়সাশ্রয়ী প্রযুক্তির উপকরণের অভাবে ওয়াশ কার্যক্রম বাস্তবায়ন দুরূহ ব্যাপার। তাই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-৬) অর্জনে নিরাপদ পানি, উন্নত স্যানিটেশন ও স্বাস্থ্যবিধি (ওয়াশ) নিশ্চিত করতে জনসচেতনতার পাশাপাশি সমন্বিত পরিকল্পনা ও উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত ‘টেকসই ওয়াশ কার্যক্রম : তৃণমূলের অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যৎ দিক নির্দেশনা’ শীর্ষক কর্মশালায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন। এসডিজি-৬ অর্জনে ওয়াশ কর্মসূচিকে জোরদার করা এবং সুপারিশসমূহ তুলে ধরার লক্ষ্যে ব্র্যাক এই আয়োজন করে।
অতিথি ও প্যানেল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত নেদারল্যান্ড দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি পিটার ডি ভ্রিস, ওয়াটার এইড-এর আবাসিক প্রতিনিধি ডা. খায়রুল ইসলাম, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ গোলাম মুকতাদির, এনজিও ফোরাম ফর পাবলিক হেলথ এর নির্বাহী পরিচালক এস এম এ রশীদ, ইউনিসেফ বাংলাদেশ এর ওয়াশ স্পেশালিস্ট মোহাম্মদ শফিকুল আলম এবং ব্র্যাকের কমিউনিকেবল ডিজিজ ও ওয়াশ কর্মসূচির পরিচালক ড. মো. আকরামুল ইসলাম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক ডা. মুহাম্মাদ মুসা। অনুষ্ঠানে এই সংক্রান্ত উপস্থাপনা তুলে ধরেন ব্র্যাকের ওয়াশ ও ম্যালেরিয়া কর্মসূচির প্রধান ডা. মুকতাদির কবির।
ডা. খায়রুল ইসলাম টয়লেট ব্যবস্থাপনায় জনবলের উপর গুরুত্বারোপ করেন। পিটার ডি ভ্রিস বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রচলিত টয়লেট ব্যবস্থাপনার পরিবর্তে নতুন উদ্যোগ, সক্ষমতা ও সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় করণীয় নিয়ে নেদারল্যান্ড সরকার বিনিয়োগে আগ্রহী।’
ডা. মুহাম্মাদ মুসা বলেন, এসডিজি অর্জন করতে হলে আমাদের কয়েকটি বিষয়কে অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য- দুর্গম ও পাহাড়ি এলাকার প্রতিবন্ধকতাগুলো নিরসনে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া, সরকারি- বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়, বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে ওয়াশ কার্যক্রম জোরদার করা এবং মাঠ পর্যায়ে ও নীতি নির্ধারণী পর্যায়ে আরও অ্যাডভোকেসি করা।
আলোচনায় সুপারিশ করা হয় স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশনে টেকসই ও নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার, পাহাড়ি ও দুর্গম এলাকায় পানির অভাব দূরীকরণে বিশেষ ব্যবস্থা, প্রত্যন্ত এলাকায় উন্নত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনার দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া, এসডিজি-৬ লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সংশ্লিষ্ট স্টেক হোল্ডারদের অংশীদারত্ব ও সমন্বয় বাড়ানো, সরকারের কর্মসূচির সঙ্গে স্থানীয় সুধীজনকে অন্তর্ভুক্ত করে জনসচেতনতা তৈরি, স্যানিটেশন সুবিধা বাড়াতে বেসরকারি পর্যায়ে উদ্যোক্তা সৃষ্টি, স্বাস্থ্যবিধি ও পয়ঃবর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সরকারের আরও অর্থ বরাদ্ধ বৃদ্ধি, দেশের বিভিন্ন স্কুল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ওয়াশ কর্মসূচি জোরদার করা ইত্যাদি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।