পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজার মহা-অষ্টমীতে সাড়ম্বরে উদযাপিত হলো কুমারী পূজা। গতকাল বুধবার সকাল থেকে এ পূজাকে কেন্দ্র করে মন্ডপে মন্ডপে অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ, আরতি নিবেদন করেছেন পূজারীরা। কুমারী পূজা মাতৃরূপে ঈশ্বরের আরাধনা বলে মনে করেন সানতন ধর্মাবলম্বীরা। দুর্গাপূজার অষ্টমিতে কুমারী কন্যাকে জীবন্ত প্রতিমা করে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে রামকৃষ্ণ মিশনসহ সারাদেশের মন্ডপে মন্ডপে পালিত হয় কুমারী পূজা। আজ বৃহস্পতিবার মহানবমী ও কাল দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
কুমারী পূজাকে ‘মাতৃরূপে’ ঈশ্বরের আরাধনা বলে মনে করেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। দুর্গাপূজার অষ্টমীতে কুমারী কন্যাকে প্রতিমা হিসেবে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে পালিত হয় এ পূজা। মূলত সাত থেকে আট বছরের অজাতপুষ্প, সুলক্ষণা, ব্রাহ্মণ, অবিবাহিত কুমারী কন্যাকে প্রতিমা বানিয়ে পূজা করা হয়। বুধবার কুমারী পূজা উপলক্ষে সরেজমিনে রাজধানীর রামকৃষ্ণ মঠে গেলে দেখা যায়, ঢাক, খোল, করতালের বাজনা আর উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে মঞ্চে অধিষ্ঠিত করা হচ্ছে কুমারীকে। নিবেদন করা হচ্ছে শ্রদ্ধা। এর সঙ্গে রয়েছে বিরামহীন ঢাকের আওয়াজ, থেমে থেমে চলে কাসর ঘন্টা, শঙ্খনাদ আর উলুধ্বনি। রাজধানীর বাইরেও সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নারীতে পরমার্থ দর্শন ও পরমার্থ অর্জন-এ বিশ্বাস নিয়ে দুর্গোৎসবের অষ্টমী তিথিতে সর্ববিদ্যাস্বরূপিনী’ কুমারী রূপে দেবী দুর্গার বন্দনায় পূজা-অর্চণা ও আরাধনায় মেতে উঠেন।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, যে ত্রিশক্তির বলে বিশ্বব্রমান্ড সৃষ্টি-স্থিতি-লয়ের চক্রে আবর্তিত হচ্ছে, সেই শক্তি বীজ আকারে কুমারীতে নিহিত। সেই বিশ্বাস থেকেই দেবী দুর্গার কুমারীরূপের আরাধনা করেন ভক্তরা। সাধক রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব বহু বছর আগে নিজের স্ত্রী সারদা দেবীকে মাতৃজ্ঞানের পূজা করেছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় উপমহাদেশের মিশন ও মঠগুলোতে চলে আসছে কুমারী পূজা পালনের রেওয়াজ।
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস নারীর সম্মান, মানুষের সম্মান আর ঈশ্বরের আরাধনাই কুমারী পূজার শিক্ষা। এরই মাঝে চলে ভক্তিগীতি-জাগো দুর্গা, দশভুজা জগজ্জননী মা’, শারদা শারদা রাগে’, দুর্গতিনাশিনী দুর্গা মা, শুভমতিদায়িনী দুর্গা মা। আর দুর্গাপূজার মন্ডপে চলে চন্ডি পাঠের মাধ্যমে দেবীর অর্চণা। বলা আছে- সব স্ত্রীলোক ভগবতীর এক-একটি রূপ। শুদ্ধাত্মা কুমারীতে ভগবতীর বেশি প্রকাশ। প্রথা ও নিরাপত্তার কারণে মেয়েটির নাম এবং পরিচয় পূজা সূচনার আগে প্রকাশ করা হয় না। গতকাল সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের মধ্যে মহাষ্টমীর বিহিত পূজা, দুপুরে মহাষ্টমীর মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং কেন্দ্রীয় কারাগারে কারাবন্দীদের মধ্যে বেলা ১১টায় খাদ্য বিতরণ করা হয়। পুণ্যার্থীরা কুমারী মায়ের সামনে প্রার্থনায় সমবেত হন। এ উপলক্ষে রামকৃষ্ণ মিশন ও এর আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়। আজ মহানবমী ও পরশু দশমী পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
পূজার পর প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এক নারী পূজারী বলেন, এ কুমারী পূজার মাধ্যমে আমরা প্রার্থনা করি পুরা বিশ্ব যেন নারী জাতিকে শ্রদ্ধা করে, সম্মান করে। কারণ দেশে ইদানিং নারীদের প্রতি সহিংসতা অনেক বেড়েছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি। আরেক পূজারী বলেন আমরা সাক্ষাৎ মায়ের পূজা করি। এটা ঠাকুরের আদর্শ। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।