নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নির্ধারিত সময়ের খেলা শেষ। যোগ করা সময়ও শেষ হওয়ার অপেক্ষায়। এমন সময় নেইমারের কর্নার কিক খুঁজে নেয় অরক্ষিত জোয়াও মিরান্ডার মাথা। সফল হেডে বল জালে পাঠাতে ভুল করেননি ইন্টার মিলান ডিফেন্ডার। শেষ সময়ে করা মিরান্ডার এই গোলেই সউদী আরবে অনুষ্ঠেয় প্রীতি ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে ১-০ গোলে হারায় ব্রাজিল।
চলতি বছরেই মেলবোর্নে অনুষ্ঠেয় দু’দলের মধ্যকার প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলকে একই ব্যবধানে হারিয়েছিল আর্জেন্টিনা। সেই হিসাবে সেলেসাও ভক্তরা এটাকে প্রতিশোধও ভাবতে পারেন। তবে চিরপ্রতিদ্ব›দ্বীদের বিপক্ষে এমন জয়ের পরও খুশি হতে পারছে না ব্রাজিল। হওয়ার কথাও না। ভারতীয় কন্টিনেন্টে টেলিভিশনে ম্যাচটি দেখায়নি। তবে চর্ম চক্ষুতে অথবা ইন্টারনেটের মাধ্যমে যারা এই ম্যাচের সাক্ষি হয়েছেন তারা ঠিকই বুঝেছেন জিতেও ব্রাজিলের আক্ষেপটা কোথায়।
জেদ্দার কিং আব্দুল্লাহ স্পোর্টস সিটি স্টেডিয়ামের সুপার ক্ল্যাসিকোয় মূলত খেলা হয়েছে তারকাময় ব্রাজিল বনাম তরুণ আর্জেন্টিনার মধ্যে। ব্রাজিল খেলেছে সেরা একাদশ নিয়ে। আক্রমণে ছিলেন নেইমার-জেসুস-ফিরমিনহোর মত বিশ্বসেরারা। মাঝমাঠে বার্সা-রিয়ালের জোট কুতিনহো-কাসিমিরো-আর্থার। রক্ষণে লুইস, মিরান্ডা, মারকুইনহস ও দানিলো। আর গোলপোস্টের নিচে ছিলেন বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষক আলিসন। অন্যদিকে মেসি-ডি মারিয়া-আগুয়েরো-হিগুয়েইনসহ তারকা খেলোয়াড়দের ছাড়াই খেলতে নামে আর্জেন্টিনা। আর্জেন্টিনার ২৮ জনের স্কয়াডে ১৯জনেরই দুইয়ের অধিক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা নেই। অভিজ্ঞদের মাঝে ছিলেন কেবল গোলরক্ষক রোমেরো ও ডিফেন্ডার নিকোলাস ওটামেন্ডি। তরুণ এই দলটিই ব্রাজিলের সঙ্গে লড়েছে চোখে চোখ রেখে। পুরো ম্যাচে ব্রাজিল লক্ষ্যে শট নেয় ১২টি, ১১ বার আর্জেন্টিনা। সবচেয়ে অবাক করা বিষয় হলো যে রক্ষণ নিয়ে আর্জেন্টিনার চিরায়ত দুশ্চিন্তা সেই রক্ষণই এদিন ছিল অটুট। ৯২ মিনিট ধরে নেইমার-কুতিনহোদের আক্রমণ সামলে রাখে লিওনেল স্কোলানির তরুণ শিষ্যরা।
ব্রাজিলের আক্ষেপটা এখানেই। দলটির ডিফেন্ডার লুইস তো বলেই ফেললেন, ‘আর্জেন্টিনার বিপক্ষে খেলা সব সময়ই কঠিন। কিন্তু এ ম্যাচে আমাদের ভালো খেলা উচিত ছিল। ওদের চেয়ে আমরা অনেক ভালো দল। কারণ আমরা প্রায় একই দল নিয়ে অনেক দিন ধরে খেলছি, অন্যদিকে ওরা একেবারে নতুন করে সবকিছু শুরু করছে।’
ব্রাজিলও যে কিছু পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে না, তা নয়। আগামী বিশ্বকাপ মাথায় রেখে বুড়োদের ছেঁটে ফেলা হয়েছে। এই স্কোয়াডে ত্রিশোর্ধ্ব মাত্র তিনজন। তবে দলের সবচেয়ে যে বুড়ো, সেই মিরান্ডাই শেষ পর্যন্ত জয়ের নায়ক। আগামী মাসে আর্ন্তজাতিক প্রীতি ম্যাচে ব্রাজিলের প্রতিপক্ষ উরুগুয়ে। একই সময়ে মেক্সিকোর মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।