পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
জিয়া পরিবারের উপর নিপীড়ন, নির্যাতন ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দল। গতকাল (মঙ্গলবার) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার সামনে এই মানববন্ধন হয়। এসময় সাদা দলের শিক্ষকেরা দেশে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং তারেক রহমান সহ সব নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান। সেইসাথে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান।
কলা অনুষদের সাবেক ডিন প্রফেসর ড. সদরুল আমিন বলেন, সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে কারাবন্দী করেছে। আমি তার অবিলম্বে মুক্তির দাবি জানাই। তিনি বলেন, এমনি পরিস্থিতিতে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় তারেক রহমানকে জড়ানো হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশে। শুরু হয়েছে ভূয়া ও মিথ্যা মামলা। আমরা এসব বন্ধ করে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি জানাই। ভোট দিয়ে জনপ্রিয়তা যাচাই করুন। ক্ষমতার মালিক জনগণ।
সভাপতির বক্তব্যে ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, দেশে চলছে আজ দমন-পীড়নের রাজনীতি, গুম-খুনের রাজনীতি, দেশে চলছে ভয়াবহ দুঃশাসন। গণতন্ত্র ধ্বংস। দুর্নীতি সর্বত্র গ্রাস করেছে। বাক-স্বাধীনতা তো হরণ করেছে সরকার। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. মাইদুল ইসলাম সরকারের সমালোচনা করায় তাকে রিমান্ডে নিয়েও নির্যাতন করেছে এই সরকারের বাহিনী। স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের জন্য দেশ স্বাধীন হলেও দেশের জনগণকে দমন করতে সর্বশেষ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নামে ডিজিটাল দমন আইন পাস করে বর্তমান সরকার দমন নীতির শেষ পেরেকটিও মেরে দিয়েছে।
তিনি বলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের নেই। কিন্তু এই মামলায় তারেক রহমানের নাম ছিল না। তাকে জড়ানো হয়েছে জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্য। আদালতের ঘাড়ে বন্দুক রেখে সরকার জিয়া পরিবারকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখতে চায়। তারেক রহমান এবং তার জনপ্রিয়তায় তারা নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারে না। কারণ ক্ষমতা হারানোর ভয়? ক্ষমতা তো জনগণের হাতে। ভোট দিলে ক্ষমতায় যাবেন আর না দিলে যাবেন না। সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে, খালেদা জিয়া মুক্ত না হলে, হামলা-মামলা বন্ধ না হলে দেশে কোনো নির্বাচন হতে পারে না। শেখ হাসিনার অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু হয় না।
সাদা দলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও যুগ্ম আহ্বায়ক ড. লুৎফর রহমানের পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সাদা দলের প্রচার সচিব প্রফেসর ড. মো: ছিদ্দিকুর রহমান খান, ড. জাহাঙ্গীর, ড. শহীদুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সিনেট সদস্য প্রফেসর ড. মোর্শেদ হাসান খান, ড. মো: আবদুর রশিদ, প্রফেসর মো: আতাউর রহমান বিশ্বাস, প্রফেসর মো: আবুল কালাম সরকার, প্রফেসর ড. আল মোজাদ্দেদী আলফেছানী, মো: আলামিন, আলমগীর হোসেন সম্রাট, ইস্রাফিল প্রামাণিক রতন, আল আমিন, ড. মহিউদ্দীন, ড. এবিএম শহীদুল ইসলাম, শামীম, নুরুল আমিন, মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, মো: মিজানুর রহমান সহ শতাধিক শিক্ষক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।