বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
তৈরি পোশাক শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি আট হাজার টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। মালিক শ্রমিক সব পক্ষ বিষয়টি মেনে নিয়েছে। কিন্তু কিছু শ্রমিক নেতা, এনজিও ও দুষ্কৃতিকারী বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে পোশাক খাতকে অস্থির করার পায়তারা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান। গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিজিএমইএ কার্যালয়ে ‘পোশাক শিল্পের নূন্যতম মজুরি ও বর্তমান পরিস্থিতি’ নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দাবি করেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএর সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, মঈনুদ্দিন আহমেদ ও মাহমুদ হাসান খান প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, কারখানা সংস্কার, মজুরি বৃদ্ধিসহ নানা কারণে ২০১৪-১৮ সাল চার বছরে প্রায় ১২শ’ পোশাক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। আমাদের আশঙ্কা ভবিষ্যতে আরও অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে। তাই নতুন মজুরি কাঠামো বাস্তবায়ন বিশাল চ্যালেঞ্জ। তারপরও তথা কথিত শ্রমিক নেতারা মিথ্যা তথ্য দিয়ে এ খাতকে অস্থির করার পায়তারা করছে। তিনি বলেন, সম্প্রতি ‘জাতীয় গার্মেন্ট শ্রমিক ফেডারেশন’ নামের একটি সংগঠন বিভিন্ন ভুল তথ্য সম্বলিত প্রচারপত্র বিলি করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করছে।
সিদ্দিকুর রহমান বলেন, নানান চাপের মুখে ২০১০-১৮ সাল পর্যন্ত পোশাক শিল্পের মজুরি বৃদ্ধির হার ৩৮১ দশমিক ৩৫ শতাংশ করা হয়। যা বাস্তবায়ন করতে হিমশিম খেয়েছেন পোশাক মালিকরা। এর আগে গত ১৩ সেপ্টেম্বর দেশের তৈরি পোশাক শিল্পের শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করে সরকার।
ঘোষণা অনুযায়ী, দেশের প্রধান রফতানি খাত তৈরি পোশাক শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি নির্ধারণ করা হয় আট হাজার টাকা। এর মধ্যে বেসিক চার হাজার ১০০ টাকা; বাড়ি ভাড়া ২০৫০ টাকা; চিকিৎসা ভাতা ৬০০ টাকা; যাতায়াত ভাতা ৩৫০ টাকা; খাদ্য ভাতা ৯০০ টাকা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।