বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকারি চাকরিজীবীদের স্বল্প সুদে গৃহঋণ দিতে বেতন ব্যবস্থা ম্যানুয়াল থেকে ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারে (ইএফটি) পরিবর্তনে চিঠি দিয়েছে সরকার। অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাজেট অনুবিভাগ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে এ চিঠি দিয়েছে। একই সঙ্গে প্রত্যেকটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনলাইনে বেতন বিল দাখিলের বিষয়ে প্রশিক্ষণ আয়োজনের বিষয়েও চিঠিতে বলা হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সূত্র জানায়, সরকারি চাকরিজীবীদের বেতন ইএফটিতে আনতে আরও কয়েক বছর সময় লাগবে। ঋণের আবেদনপত্রে এ বিষয়ে সুর্নিদিষ্ট কোনো শর্ত দেয়া না থাকলেও বেতন ব্যবস্থা অটোমেশন ছাড়া সরকারি চাকরিজীবীরা এ ঋণ নিতে পারবে না।
অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সরকার চলতি অর্থবছরে গৃহ ঋণের জন্য পাঁচশ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছে। তারা মনে করছে চলতি অর্থ বছর এর চেয়ে বেশি ঋণ দেয়া সম্ভব হবে না। কারণ কর্মচারীদের বেতন অটোমেশন না হওয়ায় পাঁচশ কোটি টাকা ঋণ দিতে যে সংখ্যক আবেদন প্রয়োজন হবে এর চেয়ে বেশি সংখ্যক আবেদনই পাওয়া যাবে না।
অবশ্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর দফতর, কেবিনেট ডিভিশন, প্রেসিডেন্টের কার্যালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের চাকরিজীবীরা ইএফটি মাধ্যমে নিজস্ব উদ্যোগে অনলাইনে নিজ নিজ বেতন বিল দাখিল করতে পারছেন। কিন্তু বাকি ৩৯ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত চাকরিজীবীদের বেতন ইএফটি আওতায় আসেনি। এ ছাড়া চারটি বিভাগীয় শহরসহ অর্থ মন্ত্রণালয়ে কর্মরত সব চাকরিজীবীরা বর্তমানে ইএফটির মাধ্যমে বেতন পাচ্ছেন।
জানা গেছে, যারা ইএফটির আওতায় এসেছেন তারা রিহ্যাবের সদস্য আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে রেডি ফ্ল্যান্ট কিনতে পারবেন। তবে ঋণ পেতে ফ্ল্যাট কেনার প্রস্তাবটি রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী, জনতা, অগ্রণী ও রূপালী ব্যাংক এবং বাংলাদেশ হাউস বিল্ডিং ফাইন্যান্স কর্পোরেশন বোর্ডের অনুমোদন লাগবে। গত সপ্তাহ থেকে এসব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ওয়েবসাইটে গৃহঋণের আবেদনপত্র পাওয়া যাচ্ছে। যাতে সরকারি চাকরিজীবীরা সহজে আবেদন করতে পারেন। সূত্র জানায়, অর্থ মন্ত্রণালয় এবং চারটি বিভাগীয় শহরে ইএফটির মাধ্যমে বেতন দেয়া পাইলট প্রকল্প শেষ করতে সময় লেগেছে প্রায় দুই বছর। সারাদেশে এ ব্যবস্থা ছড়িয়ে দিতে আরও কয়েক বছর লেগে যেতে পারে।
সূত্রটি আরও জানায়, ইএফটির আওতায় সব সরকারি চাকরিজীবীদের নিয়ে আসতে অবশ্যই সময় লাগবে। একটি নতুন নিয়ম চালু হলে অবশ্যই সময় লাগবে। কারণ বিষয়টি বোঝাতেই কয়েক মাস লাগবে। তা না হলে এ ঋণ নেয়ার বিষয়ে আগ্রহী হবে না চাকরিজীবীরা। সরকারি কর্মচারীদের জন্য গৃহ নির্মাণ ঋণ প্রদান নীতিমালা-২০১৮’ আওতায় ব্যাংক থেকে পাঁচ শতাংশ সরল সুদে (সুদের ওপর সুদ নয়) সর্বোচ্চ ৭৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ পাবেন সরকারি কর্মচারীরা।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, চাকরি স্থায়ী হওয়ার পাঁচ বছর পর থেকে চাকরিজীবীরা এ ঋণের যোগ্য হবেন। আর আবেদনের জন্য সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৫৬ বছর। এ ঋণের সীমা ঠিক করা হয়েছে ২০-৭৫ লাখ টাকা। ঋণ পরিশোধের জন্য সর্বোচ্চ সময় হবে ২০ বছর। এ ঋণের জন্য ব্যাংক ১০ শতাংশ হারে সরল সুদ নেবে। তবে ঋণ গ্রহীতাকে দিতে হবে ৫ শতাংশ। সম্প্রতি চারটি সরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ও একটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই করে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ। প্রসঙ্গত, দেশে মোট সরকারি ও আধা চাকরিজীবীর সংখ্যা প্রায় ২৪ লাখ। এরমধ্যে আপাতত ১২ লাখ চাকরিজীবী গৃহঋণ সুবিধা নিতে পারবেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।