বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পরিবেশ দূষণের কারণে ২০১৫ সালে বাংলাদেশে ২ লাখ ৩৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে উল্লেখ করে বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ বন্ধে অবিলম্বে কার্যকর ও কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা)। গতকাল শুক্রবার দুপুরে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে এ দাবি জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশে পরিবেশ দূষণ জ্যামিতিকহারে বেড়েই চলেছে। সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়- ২০১৫ সালে বাংলাদেশে পরিবেশন দূষণের কারণে ২ লাখ ৩৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু ওই বছরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোট মৃত্যু সংখ্যা ছিলো ২১ হাজার ২৮৬ জন এবং নানা রোগব্যাধিতে মৃতের সংখ্যা ছিলো ৮ লাখ ৪৩ হাজার। সেই তুলনায় বায়ূদূষণের কারণে মৃত্যের সংখ্যা অন্যান্য দূষণজনিত কারণে মৃত্যুর সংখ্যা থেকে বেশি।
বক্তারা বলেন, এ গবেষণায় মোট ১৭৮টি দেশের মধ্যে সার্বিক জীবনমানের ভিত্তিতে পরিবেশগতভাবে সুরক্ষিত দেশেগুলোর তালিকায় বাংলাদেশে অবস্থান ১৬৯তম এবং শুধু বিশুদ্ধ বাতাসের নিরিখে করা পৃথক তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৭৮তম। নেতিবাচক অর্থে আমরা বায়ুদূষণের ক্ষেত্রে চ্যাম্পিয়ন অবস্থায় রয়েছি। বক্তরা আরও বলেন, সারাদেশে কমবেশি ১০ হাজার ইটভাটা রয়েছে এবং প্রায় অর্ধেক রয়েছে ঢাকা শহরের আশেপাশে। নিম্নমানের কয়লা জ্বালানি হিসেবে ব্যবহার করার ফলে ইটভাটা থেকে নির্গত কালো ধোঁয়া কমপক্ষে ৩০ শতাংশ বায়ুদূষণের জন্য দায়ী।
পরিবেশ দূষণের হাত থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করার জন্য অবিলম্বে দাবি বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বক্তারা আরও বলেন, আমরা জানি জলবায়ু পরিবর্তন অন্যতম কারণ বায়ুদূষণ। জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সৃষ্ট দূষণের দায়ভার যদিও আমাদের কম ছিল, কিন্তু তা আস্তে আস্তে বৃদ্ধি পাচ্ছে। কারণ আমাদের দেশে বায়ুদূষণের মাত্রা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিজ্ঞানীদের ভবিষ্যবাণী মতে- যদি গ্রিন হাউজ গ্যাস নির্গমনের মাত্রা এখনই কমিয়ে আনা না যায় তাহলে আগামী ১২ বছরের মধ্যেই পৃথিবীতে ভয়াবহ বিপর্যয় নেমে আসবে।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইটের বিকল্প জ্বালানি হিসাবে কংক্রিট ব্লকের ব্যবহার বাড়াতে হবে, কাঠ পোড়ানো বন্ধ করতে হবে, ১৬ বছরের ও তার বেশি ব্যবহৃত যানবহন ব্যবহার বন্ধ করতে হবে, সব বড় সড়কের পাশে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে হবে, মাটিবাহী ট্রাক ও গরুর গাড়ি থেকে বালি ও মাটি পড়া বন্ধ করতে হবে, সারাদেশে গাছ লাগানো বৃদ্ধি করতে হবে, ধুমপান হ্রাস করতে হবে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) সহসভাপতি অধ্যাপক এম ফিরোজ আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ডা. মোহাম্মদ আব্দুল মতিন, যুগ্ম সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম মোল্লাহ, মিহির বিশ্বাস প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।