বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যেন মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা না পায় সেজন্য অপারেটরগুলোকে ব্যবস্থা নিতে বলেছে (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) বিটিআরসি। স্থানীয় সূত্র জানায়, ক্যাম্পের অভ্যন্তরে ও বাইরে রোহিঙ্গাদের হাতে হাতে মোবাইল। বিভিন্ন অপারেটরের প্রায় সাত লক্ষাধিক মুঠোফোন তাদের হাতে রয়েছে। এসব মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তারা চুরি, ডাকাতি, খুনসহ নানা অপরাধ সংঘটিত করছে। এমনকি রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন গোপন তথ্য তারা এই মুঠোফোনের মাধ্যমে পাচার করছে। স্থানীয়দের অপারেটরগুলোর প্রতি দীর্ঘদিনের দাবি ছিল, যেন তারা রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে মোবাইল নেটওর্য়াক বন্ধ রাখেন। দীর্ঘদিন পর হলেও এ দাবি আলোর মুখ দেখতে যাচ্ছে বলে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার সচেতন মহল।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, গত কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী যেন মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা না পায় এ বিষয়ে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোকে নির্দেশনা সংক্রান্ত চিঠি পাঠিয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালে মোবাইল কোম্পানিগুলোর নেটওয়ার্ক কাভারেজ কক্সবাজার সীমান্তের জিরো লাইনের মধ্যে রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
এরপর ২০১৭ সালে উদ্ভুত পরিস্থিতি এবং রাষ্ট্রীয় গুরুত্ব বিবেচনায় কক্সবাজার এবং উখিয়া এলাকায় অস্থায়ীভাবে বিটিএস স্থাপনের অনুমতি দেয়া হয়। এছাড়া সীমান্তবর্তী এলাকা এবং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সিম বিক্রির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সময় বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। রোহিঙ্গাদের কাছে সিম বিক্রির বিষয়ে সেই সময়ের টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমও অপারেটরদের সতর্ক করেছিলেন।
বায়োমেট্রিক নিবন্ধন ছাড়া সিম বিক্রির কোনো সুযোগ নেই উল্লেখ করে চিঠিতে জানানো হয়, বিভিন্ন নিরাপত্তা সংস্থা বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন সিম বিক্রি ও ব্যবহারের তথ্য পেয়েছে। চিঠিতে অপারেটরগুলোকে মোবাইল নেটওয়ার্ক যেন মিয়ানমার পর্যন্ত না পাওয়া যায় এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর মোবাইল নেটওয়ার্ক সুবিধা বন্ধ করে বিটিআরসিকে জানাতে বলা হয়েছে।
কুতুপালং মধুরছড়ার রোহিঙ্গা মাঝি এম ফয়েজুর রহমান বলেন, মোবাইল ফোনের মাধ্যমে আমরা আত্মীয়-স্বজন ও নানাজনের খবর নিতাম। নেটওর্য়াক বন্ধ হলে তা পারবোনা। মুঠোফোনের মাধ্যমে শিবিরে বিভিন্ন অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি এড়িয়ে যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।