Inqilab Logo

শুক্রবার ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২০ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বেহাল দশা গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প : গৃহহীন ৩০ পরিবার

লালমনিরহাট থেকে মোঃ আইয়ুব আলী বসুনীয়া | প্রকাশের সময় : ১২ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

বেহাল দশা দহগ্রাম আঙ্গরপোতা গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের। সারাদেশের ন্যায় লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-আঙ্গোরপোতা ইউনিয়নে নির্মিত হয় দহগ্রাম গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প। সিভিআরপি’র এ প্রকল্পে গৃহহীন ৮০টি পরিবারের বসত বাড়ি নির্মাণের মধ্যে ৩০টি বসত বাড়ি নিমার্ণের কাজ আজও শেষ হয়নি। ফলে সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে আঙ্গোরপোতা-দহগ্রামের সুবিধাভোগী গৃহহীন ৩০টি পরিবার।

পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম-১ গুচ্ছগ্রাম সুবিধাভোগী সংগঠনের সভাপতি সাইদুল ইসলাম বলেন, গুচ্ছগ্রাম ২য় পর্যায়ে (সিভিআরপি) প্রকল্পে প্রথমে ৫০টি ও পরে ৩০টি ঘর নিমার্ণের অর্থ বরাদ্দ পায় পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুর কুতুবুল আলম। কিন্তু কোটি টাকা ব্যয়ে দহগ্রাম বড়বাড়ী এলাকায় প্রথম দফায় ৫০টি ঘরের নির্মাণ কাজ কিছুটা ভালো হলেও পরের ৩০টি ঘরের নির্মাণ কাজ দায়সারা ভাবে করা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী ওই প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার দায়িত্ব ইউএনও নুর কুতুবুল আলমের থাকলেও তিনি ঘর গুলোতে মাটি ভরাটের কাজ দেন স্থানীয় দহগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সাইদুল ইসলামকে। এ ছাড়া ঘর গুলো নিম্ন মানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করা হয়েছে। ওই ইউ-পি সদস্য মাটি ভরাটের কাজ আজও সম্পন্ন করতে পারেননি। ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গৃহহীনদের বাসস্থান প্রকল্পের সুফল পাচ্ছে না পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রামের গৃহহীন ৩০টি পরিবার।

অপর দিকে ইউএনও নুর কুতুবুল আলম ওই প্রকল্পের কাজ শেষ না করেই কাগজ-কলমে তা সম্পন্ন দেখিয়ে পদোন্নতি পেয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক হয়ে ঠাকুরগাঁওয়ে বদলী নিয়ে চলে যান। যে কারণে ওই প্রকল্পের সুবিধা ভোগী ৩০টি গৃহহীন পরিবার আজও আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর গুলোতে উঠতে পারেনি। বর্তমানে তারা অতি কষ্টে মানবেতর জীবনযাপন করছে।

ওই প্রকল্পের সুবিধা ভোগী আব্দুর ছাত্তার বলেন, আশ্রায়ন প্রকল্পে এসে দেখি ঘরে থাকার মতো কোনো ব্যবস্থা নেই। ঘরের ভিতর শেয়াল কুকুরসহ বিভিন্ন পোকা-মাকরের বসবাস। ঘর বরাদ্দ পাওয়ার পরে নিজের ঘাম ঝড়ানো আয়ের টাকায় ঘরে মাটি ভরাট করেছি।

পাটগ্রাম উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা উত্তম কুমার নন্দি জানান, শ্রমিক দিয়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের মাঠ এবং ঘরে মাটি ভরাটে বরাদ্ধের সমুদ্বয় বিল ইতিমধ্যে (৭০ টন গম) দেয়া হয়েছে। এখনও সেখানে মাটি ভরাট হলো না কেন তদন্ত করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে।

পাটগ্রামের বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম বলেন, এখানে আমি আসার মাত্র কয়েক দিন হয়েছে, বিষয়টি সম্পর্কে আমার কিছুই জানা নেই। তবে সড়েজমিনে গিয়ে সেখানকার সমস্যা সমাধান করে সুবিধা ভোগীদের ঘরে উঠার ব্যবস্থা করার আশ্বাস প্রদান করেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ