রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
কোটালীপাড়া (গোপালগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় মিথ্যা মালার শিকার হয়ে ৪টি পরিবারের লোকজন গৃহছাড়া হয়ে পুলিশি ভয়ে পলাতক জীবন-যাপন করছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন উপজেলার পিড়ারবাড়ী গ্রামের ধর্ষণ ও হত্যা মামলার প্রধান আসামি পলাশ সরকারের স্ত্রী পুষ্প সরকার। তার স্বামী পলাশ সরকার গত ১৭ সেপ্টেম্বর একই বাড়ির মাধব সরকারের মেয়ে সীমা সরকার (১৬)কে ধর্ষণ করার ফলে সে আত্মহত্যা করে। এ ঘটনায় সীমার বাবা মাধব সরকার বাদি হয়ে ১৮ সেপ্টেম্বর পলাশ ও তার সহযোগি লিটন সরকারকে আসামি করে কোটালীপাড়া থানায় ১টি হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলা থেকে বাঁচতে তারা বিভিন্ন ফন্দি আটতে থাকে এবং ঘটনার এক মাস পরে পলাশের স্ত্রী পুষ্প সরকার মিথ্যা গল্প সাজিয়ে গোপালগঞ্জ আদালতে বাদি হয়ে একটি মামলা করলে কোটালীপাড়া থানার পুলিশ ১জনকে আটক করে। বাকি আসামিরা গ্রেফতারের ভয়ে বাড়িঘর ছেড়ে পলাতক জীবন-যাপন করেন। পুষ্প আদালতে দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছে, দুলাল, দিপংকর, দিলিপ, নারায়ণ ও রঞ্জন লোহার রড ও লাটি দিয়ে তার তল পেটে আঘাত করে নীলা ফোলা জখম করে। এ ঘটনার ৩দিন পরে কোটালীপাড়া হাসপাতালে ভর্তি হলে ১টি বাচ্চা প্রসব করেন। কিন্তু কোটালীপাড়া হাসপাতালের প.প কর্মকর্তা ডাঃ প্রেমানন্দ মন্ডল জানান, পষ্পের শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নাই। চিকিৎসকদের ধারণা বাচ্চাটির পূর্ণ বয়স না হওয়ায় পুষ্টিহীনতার কারণে মারা যেতে পারে। এ ব্যাপারে দিপক সরকার বলেন আমার বোনের হত্যা মামলার বিচার বাধাগ্রস্ত করতে মিথ্যা নাটক সাজানো হয়েছে। ওই এলাকার প্রশান্ত বাড়ৈ কৃষ্ণ মল্লিক বলেন পুষ্পকে মারপিট করা হয়েছে বলে যে মামলা করা হয়েছে সেটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং সাজানো কারণ আমরা সেখানে উপস্থিত ছিলাম। সীমা হত্যা মামলা থেকে বাঁচতে তারা এই পাল্টা মামলা করে মানুষগুলোকে হয়রানি করছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।