রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ভোলায় গৃহহীনদের বসবাসের জন্য সব উপজেলায় ২১০৭ টি ঘড় দেয়া হচ্ছে সরকারিভাবে। যাদের জমি আছে, ঘর নেই, তাদের বসবাসের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে এসব ঘর দেয়া হবে। মোট ২১০৭ টি পরিবারের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের তত্ত¡াদানে এসব গৃহ প্রস্তুত করা হচ্ছে। জেলান ভোলা সদর উপজেলা ৫১২, দৌলতখান ১৯৩ বোরহানউদ্দিন ১৬২, তজুমুদ্দিন ৪০৫, লালমোহন ৪৩২, চরফ্যাশনে ৩৪৫ ও মনপুরা ৫৮ টি ঘর দেয়া হয়।
বাস্তবায়ন হচ্ছে জেলা প্রশাসনের তত্বাবদানে। প্রতিটি ঘর সাড়ে ১৬ ফুট বাই সাড়ে ১৫ ফুট করে নির্মান হচ্ছে। ঘরগুলোর ফ্লোর পাঁকা, সামনে খোলা বারান্দা, আরসিসি পিলার, পাশে ও উপরে টিন দিয়ে ণির্মিত হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে স্যানেটারি ল্যট্রিনের সু-ব্যবস্থা। প্রত্যেকটি ঘর নির্মান ব্যয় ধরা হয়েছে ১ লাখ টাকা করে। জেলা রাজস্ব বিভাগের সুত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
এর মাধ্যমে সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও ভাসমান মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। উন্নয়ন ঘটবে এসব পরিবারের কয়েক হাজার মানুষের জীবনমানের বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকি। প্রচন্ড খুশি সমাজের অসহায় মানুষগুলো ঘর পেয়ে।
এ ব্যাপারে লালমোহন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাবিবুল হাসান রুমি জানান, উপজেলার ৯ টি ইউনিয়নের গৃহহীন পরিবারের চাহিদামত স্থানে সরকারের নিয়ম অনুযায়ী এসব ঘর করে দেয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসক মহোদয়ও কাজ সরজমিনে তদারকি করছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে গৃহহীনদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে গৃহ নির্মানের প্রায় ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানান তিনি এ সব ঘড় প্রাপ্তির ফলে সমাজের অবহেলিত মানুষগুলোর সামাজিক মূল্যায়ন বৃদ্ধিসহ প্রত্যাহিক জীবনের দূর্ভোগ থেকে মুক্তি মিলবে। কাজের গুনগত মান বজায় রাখার জন্য নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিকি। তিনি সরেজমিনে লালমোহন উপজেলার বিভিন্ন কাজ পরিদর্শন করেন। এতদিন ঘর না থাকায় স্ত্রী আর সন্তানদের নিয়ে অনেক কস্ট করে দিন যাপন করছেন। কিন্তু এখন সরকারিভাবে তাদের ঘর তৈরি করে দেয়ার কথা শুনে আনন্দের বন্যা বইছে গৃহহীনদের মাঝে। এমনই কথা জানালেন রিকশা চালক মো. ইউছুফ। সে আরও বলেন ছেলে, মেয়ে ও স্ত্রী নিয়ে কোন রকমের একটি ঝুপড়ীর মধ্যে বাস করতেন। অর্থের অভাবে ঘর করতে পারেননি। বর্ষা মৌসুমে ও শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হত তাদের। এখন সরকারের দেয়া ঘরে থাকবেন। আর কষ্ট পেতে হবেনা তাদের। সে কথা ভাবতেও তাদের আনন্দ হচ্ছে। এ ঘড় প্রদানের কারনে সরকারের প্রতি অনেক খুশি গৃহহীনরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।